রান বন্যার ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে খুলনার জয়
আসরের উদ্বোধনী দিন দ্বিতীয় ম্যাচে বিপিএল ফিরেছে টি-টোয়েন্টিট মেজাজে। রান বন্যার ম্যাচে তারকা সমৃদ্ধ মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকাকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মাহমুদউল্লাহর দল মিনিষ্টার গ্রুপ ঢাকা পুরো ফায়দা তুলে নেয় স্কোর বোর্ডে ৬ উইকেটে ১৮৩ রান সংগ্রহ করে। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের দল খুলনা টাইগার্স ১৯ ওভারের শেষ বলে ছক্কা মেরে জয় তুলে নেয় ৫ উইকেটে। আন্দ্রে রাসেলের বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন মেহেদী হাসান।
বিপিএলের ফুরচুন বরিশাল ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের উদ্বোধনী ম্যাচ ছিল লো-স্কোরিং। যা টিভি সেটের সামনে বসে দেখা দর্শকরা চরম বিরক্ত হয়েছিলেন। বিপিএলে লো-স্কোরিং যেন চির চেনা চরিত্র। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচেই রান বন্যায় ভেসেছে। এই ম্যাচ নিয়ে আগ্রহও ছিল সবার।
একদিকে মিনিস্টার গ্রুপ তারকা সমৃদ্ধ। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তামিম ইকবাল, মাশরাফি বিন মর্তুজা ( ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে খেলেননি।) আন্দ্রে রাসেল, মোহাম্মদ শাহজাজাদ, মোহাম্মদ নাঈম।
অপরদিকে খুলনা টাইগার্স কিন্তু সেরকম তারকা সমৃদ্ধ নয়। সবেধন নীলমনি মুশফিকুর রহিম। সেই মুশফিকুর রহিমের দলই বাজিমাত করে। তাও বড় রান তাড়া করে।
১৮৩ রান তাড়া করতে নেমে খুলনা ওপেনার উইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ও রনি তালুকদার। ৮ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর এই দুই ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৭২ রান যোগ করেন মাত্র মাত্র ৬,৪ ওভারে। ফ্লেচার মাত্র ২৩ বলে ১ ছক্কা ও ৭ চারে ৪৫ রান করে রাসেলের শিকার হয়ে ফিরে গেলেও রনি তালুকদার তুলে নেন ফিফটি। ৩১ বরে ৫০ রান করার পর তিনি আউট হন এবাদতের বলে ৬১ রানে। তার ৪২ বলের ইনিংসে ছিল ফ্লেচারের মতো ১ ছক্কা ৭ চার। রনির এই ইনিংস দলপতি মুশফিকুর রহিমের (৮ বলে ৬ রান) ব্যর্থতা ভারী হতে দেয়নি। রনি আউট হওয়ার পর ইয়াসির আলী রাব্বিও ফিরে যান দ্রুত। ফলে ২১ বলে প্রয়োজন পড়ে ৩১ রানের। থিসারা পেরেরা এসেই ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন। সেই ওভারের ৩ বল খেলে ৭ রান নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রাখেন। উদানার করা পরের ওভারে ১২ রান তুলে নিলে জয় নাগালেই চলে আসে খুলনার। ১২ বলে ১২ রান। থিসারা পেরেরা ও মেহেদী হাসান দুই জনেই মারমুখি তখন। আন্দ্রে রাসেলের করা ইনিংসের ১৯ নম্বারে মেহেদী হাসানর চার ছক্কা মেরে প্রয়োজনয়ি ১২ রান তুলে নেন। এই দুইজন ষষ্ট উইকেট জুটিতে মাত্র ১৫ বলে ৩৩ রান যোগ করে অবিচ্ছিন্ন থাকেন। থিসারা ১৮ বলে ৬ চারে ৩৬ মেহেদী হাসান ৫ বলে ১টি করে চার ও ছক্কা মেরে ১২ রান করে অপরাজিত থাকেন। জয় সূচক রান আসে ছক্কা থেকে। ঢাকার আন্দ্রে রাসেল ও এবাদত ২টি করে উইকেট নেন।
তার আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবালের কাম ব্যাক ফিফটিতে মজবুত ভীত তৈরি হয় ঢাকার। তামিম ইকবাল আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শাহজাদকে নিয়ে ৮.১ ওভারে ৬৯ রান এনে দেন। জুটি ভাঙে শাহজাদ ৪২ রান করে রান আউট হলে। ২৭ বলে ৮ চারে তিনি এই রান করেন। দীর্ঘ প্রায় এক বছরের কাছাকাছি সময় পরে মাঠেছ ফিরেই তামিম ইকবাল ফিফটি তুলে নেন ৪১ বলে ৭ চারে। কিন্তু ফিফটি করার পর তিনি আর এগুতেই পারেননি। পরের বলেই তাকে ফিরিয়ে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। পরবর্তীতে দলপতি মাহমুদউল্লাহ ২০ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩৯ রান করলে দলের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৮৩ পর্যন্ত গিেেয়ছিল। খুলনার হয়ে কামরুল ইসলাম রাব্বি ৪৫ রানে নেন ৩ উইকেট। ম্যাচ সেরা হয়েছেন রনি তালুকদার।
এমপি/এমএমএ/