তুর্কমেনিস্তানকে হারাতে চান ছোটনের শিষ্যরা
বাংলাদেশের নারী ফুটবল মানেই চোখ ধাঁধানো মন জুড়ানো খেলা। সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সেখানে নতুন করে বাতাস লাগে। জোয়ার তৈরি হয়। কিন্তু সেখানে হঠাৎ করে নেমে আসে ঘন অন্ধকার। অর্থের অভাবে সাবিনা-কৃষ্ণারা খেলতে যেতে পারেননি অলিম্পিক বাছাই ফুটবলের মতো আসর। এ নিয়ে দেশে তোলপাড়। প্রশ্নবানে জর্জরিত বাফুফের কর্তারা। কিন্তু এ ঘটনার পরপরই আবার অনূর্ধ্ব-১৭ নারী দল ঠিকই খেলতে গিয়েছে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ বাছাই আসর। এখানে অবশ্য বাফুফে শুধু বিমান ভাড়া বহন করেছে। বাকি সব খরচ এএফসির।
প্রতিকূলতার মাঝে খেলতে গিয়ে বাংলাদেশের মেয়েরা নিজেদের সেরাটা আগের মতো করে তুলে ধরতে চায়। আগামীকাল (২৬ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরের জালান বিসারা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬ টায় মাঠে নামবে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে। বাংলাদেশের এই দল থেকেই কৃষ্ণা-সানজিদাদের উত্থান হয়েছে। এবার তাদের উত্তরসূরি রুমারা। দেশের বাইরে তাদের খেলার নেই কোনো অভিজ্ঞতা। আগামীকালই বলা যায় তাদের অভিষেক হবে। কিন্তু নার্ভাস নন তারা। অভিষেকটা তারা রাঙাতে চান জয়ে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সিঙ্গাপুরে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে আমরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েই এসেছি। এখানে আসার পর মেয়েরা সবাই সুস্থ আছে। কাল (২৬ এপ্রিল) আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। প্রথম ম্যাচ। মেয়েরা প্রস্তুত। আশা করি মেয়েরা তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলবে এবং জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে ইনশাআল্লাহ। আমরা দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি।’
একেতো বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের দেশের বাইরে খেলার নেই কোনো অভিজ্ঞতা। আবার প্রতিপক্ষ হিসেবে তুর্কমেনিস্তান সর্ম্পকেও নেই কোনো ধারণা। কোচ বলেন, ‘আমরা সব সময় যেটা করে থাকি। প্রতিপক্ষ যেই থাকুক তাদেরকে আমরা শক্তিশালী মনে করে থাকি। সম্মান জানাই। কিন্তু আমাদের মেয়েরা যদি তাদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারে তাহলে অবশ্যই আমরা জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ব।’
বাংলাদেশ এই আসর খেলতে যাওয়ার আগে ঘরের মাঠে সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ আসরে রানার্সআপ হয়েছিল। এই অভিজ্ঞতাই তাদের বড় পুঁজি। বাংলাদেশ খেলছে ‘ডি’ গ্রুপে। এই গ্রুপের অপর সদস্য স্বাগতিক সিঙ্গাপুর। স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরের খেলা ৩০ এপ্রিল।
এমপি/এসজি