সোহাগ ইস্যুতে যা বললেন সালাউদ্দিন
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এতদিন সবচেয়ে বড় কলঙ্ক ছিল ক্রিকেটে, মোহাম্মদ আশরাফুলের এবং সাকিব আল হাসানের। এবার কলঙ্কের দাগ লাগল ফুটবলে। আর্থিক জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে দুই বছর নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। করা হয়েছে জরিমানা।
শনিবার (১৫ এপ্রিল) গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে এ প্রসঙ্গে কথা বলেছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
সোহাগের নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা সালাউদ্দিনের কাছে দুঃসংবাদ। তিনি বলেছেন, ‘একটা দুঃসংবাদের জন্য কারণে আমরা সবাই একত্রিত হয়েছি। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সেক্রেটারি নিষিদ্ধ হয়েছেন। আপনারা যেমন খবরটি গতকাল পেয়েছেন, একই সময়ে আমিও জেনেছি। গতকাল কিছু ডকুমেন্ট পড়েছি, এখনো পুরো শেষ করতে পারিনি। যেহেতু সাসপেন্ড করেছে, এই ব্যাপারে যা করা দরকার আমরা করেছি।’
বাফুফের অবস্থান কী হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে সভাপতি বলেন, ‘আমি জরুরি সভা করতে চেয়েছিলাম। সিনিয়র সহ-সভাপতিসহ তিনজন দেশের বাইরে (কাজী নাবিল আহমেদ শুধু দেশের বাইরে আছেন, বাকিরা ঢাকার বাইরে) থাকায় করতে পারিনি। কালকে বোধহয় পৌঁছাবে। পরশু সভা করে তারপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। বাদ বাকি অ্যাকশন কী হবে, তার জন্য দুই দিন অপেক্ষা করতে হবে।’
সালাউদ্দিন যোগ করেন, ‘আজ ও কাল ফিফা বন্ধ, সোমবার খুলবে। এরপর ফিফার সেক্রেটারির সঙ্গে আলাপ করব। পরের দিন নিজেরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত জানাব।’ ফিফার রায় আসার কতদিন আগ থেকে পুরো ঘটনা জানতেন? এই প্রশ্নের উত্তরে দেশের ফুটবল প্রধান বলেন, ‘ওরা যখন জুরিখে (সুইজারল্যান্ডের) গেছে তখনই জানি, কিন্তু আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানতাম না।’
বাফুফে প্রধানকেও সোহাগ পাশে পাচ্ছেন, এটা স্পষ্ট সালাউদ্দিনের বক্তব্যে। আজ তার ভাষ্য ছিল এমন, ‘যেহেতু ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে, তাই অফিসিয়াল হিসেবেই ধরেছি। জানতাম এথিকস কমিটি যখন এর পেছনে লেগেছে, তখন একটা কিছু করবেই। আমি কাল রাতে সোহাগের সঙ্গে কথা বলেছি, সে মনে করছে তার উপর অবিচার করা হয়েছে। সে আমাকে কোর্টে (আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত) যাওয়ার কথা জানিয়েছে।’
এমএমএ/