রূপগঞ্জ টাইগার্সকে রেলিগেশনের শঙ্কায় ফেলে সিটি ক্লাবের রক্ষা
আগের দিন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে ঢাকা লিওপার্ডসের শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ২ রানের। কিন্তু তারা ১ রানও নিতে না পেরে পরে হেরেছিল ১ রানে। আজ (১৪ এপ্রিল) একই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব ও সিটি ক্লাবের ম্যাচে। রূপগঞ্জ টাইগার্সের ৮ উইকেটে করা ২৩১ রানের জবাব দিতে নেমে সিটি ক্লাবের শেষ বলে প্রয়োজন ছিল ২ রানের। হাতে উইকেট ২টি। স্ট্রাইকে ৩৯ বলে ২৮ রান করা রবিউল হক। অপরপ্রান্তে ৩১ বলে ৩১ রান করা ইরফান হোসেইন। বোলার আলাউদ্দিন বাবু। যার প্রথম ৫ বলে এই দুই ব্যাটসম্যান নিয়েছিলেন ১০ রান। প্রয়োজন ছিল ১২ রানের। তাই শেষ বলে ২ রান নিতে পারলে জয়। ১ রার নিলে টাই। আর কোনো রান নিতে না পারলেও আগের দিনে লিওপার্ডসের ১ রানের হারের মতো পরাজয় মেনে নেওয়া। কিন্তু আজ রবিউল তার দলকে হাসিয়েছেন। কাট করে শর্ট পয়েন্টে খেলেই তারা দুইবার জায়গা বদল করে নিয়ে উল্লাসে মেতে উঠেন।
এই দুই ব্যাটসম্যান মিলেই সিটি ক্লাবের জয়ের রাস্তা তৈরি করে দেন। ৪০.৪ ওভারে ১৭১ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের ক্ষণ গণনা করছিল। একমাত্র শাহরিয়ার খান কমল ৬৯ রান করেন। এসময় রবিউল ও ইরফান জুটি বেঁধে দলকে শেষ পর্যন্ত জয়ের পথে নিয়ে যান। তারা নবম উইকেট জুটিতে ৯.২ ওভারে অবিচ্ছিন্ন থেকে ৬১ রান যোগ করেন। অতিরিক্ত থেকে আসে ২৫ রান । রূপগঞ্জ টাইগার্সের নাসুম ৩৬, নাঈম হাসান ৪৮ ও হাসান মাহমুদ ৫০ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
এর আগে ফতুল্লা খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাব খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। ৮ উইকেটে করে মাত্র ২৩১ রান। কোনো ব্যাটসম্যানই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৩ রান আসে ওপেনার ইমরানুজ্জামানের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া শামীম হোসেন পাটোয়ারী ৩৯, আলাউদ্দিন বাবু ৩৭, অঙ্কিত ২৬, অধিনায়ক নাঈম ইসলাম ২৩ ও মুমিনুল হক ২১ রান করেন। সিটি ক্লাবের পক্ষে রাফসান আল মাহমুদ ১৯ ও রবিউল হক ৫৪ রানে নেন ২টি করে উইকেট।
এই জয়ের ফলে সিটি ক্লাবের রেলিগেশন লিগ এড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৮। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান আটে। অপরদিকে সুপার লিগের লড়াইয়ে শামিল হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে হেরে গিয়ে রূপগঞ্জ টাইগার্স এখন রেলিগেশন লিগ খেলার শঙ্কায় পড়েছে। ১০ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে তারা আছে নয়ে। ম্যাচসেরা হয়েছেন রবিউল হক।
এমপি/এসজি