বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১২৭ রান
পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রান করেছে বাংলাদেশ।
সদ্য শেষ হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপে ব্যর্থতাকে সাথে নিয়ে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। এ ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হয় সাইফ হাসানের। মোহাম্মদ নাইমের সাথে ইনিংস উদ্বোধন করেন দেশের ৭২তম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা সাইফ।
প্রথম ওভারে মাত্র ২ রান তুলতে পারেন নাইম ও সাইফ। দ্বিতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলেই বিদায় নেন নাইম। পাকিস্তানের পেসার হাসান আলির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে আউট হওয়ার আগে। ৩ বলে ১ রান করেন নাইম।
নাইমের পথ ধরে তৃতীয় ওভারে ফিরেন অভিষিক্ত সাইফও। পাকিস্তানের আরেক পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিমের বলে প্রথম স্লিপে ফখর জামানকে ক্যাচ দেন সাইফ। ৮ বল খেলে মাত্র ১ রান করেন সাইফ। ১০ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চরম বিপদে পড়ে বাংলাদেশ।
তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত, বাংলাদেশের বিপদ আরও বাড়িয়ে দেন। পঞ্চম ওভারে ওয়াসিমকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন টেস্ট মেজাজে খেলে ১৪ বলে ৭ রান করা শান্ত।
১৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর ধাক্কা সামলে উঠার পথ খুঁজছিলো বাংলাদেশ। দলকে সেই পথে নিয়ে যান আফিফ হোসেন ও অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। চতুর্থ উইকেটে ২৬ বলে ২৫ রানের জুটি গড়েন তারা। মাহমুদুল্লাহকে তুলে পাকিস্তানকে ব্রেক-থ্রু এনে দেন বাঁ-হাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ। ১১ বলে ৬ রান করেন মাহমুদুল্লাহ।
অধিনায়ককে হারালেও, রানের চাকা সচল রেখেছিলেন আফিফ। রিভিউ নিয়ে জীবন পাওয়া আফিফ, ১১তম ওভারে নাওয়াজকে পরপর দু’টি ছক্কাও মারেন। তবে ১৩তম ওভারের পঞ্চম বলে স্পিনার শাদাবের গুগলি বুঝতে পারেননি আফিফ। স্টাম্প আউট হওয়ার আগে ৩৪ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৩৬ রান করেন আফিফ।
আফিফের আউটের পর ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৬৭ রান। রানের গতি বাড়াতে ১৫তম ওভারে ১৩ রান তুলেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান ও মাহেদি। নুরুল ছক্কা ও মাহেদি চার মারেন। পরের ওভারে আরও ছক্কা আসে নুরুলের ব্যাট থেকে।
১৭তম ওভারে হাসানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে থামেন নুরুল। ২২ বলে ২৮ রান করেন তিনি। অন্যপ্রান্তে মারমুখী মেজা অব্যাহত রেখেছিলেন মাহেদি। হাসানের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলে ও শেষ ওভারে রউফের করা প্রথম বলে ছক্কা মারেন মাহেদি।
মাহেদির সাথে শেষ ওভারে ছক্কা মারার তালিকায় নাম তুলেন পেসার তাসকিন আহমেদও। ইনিংসের শেষ বলে স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন তাসকিন। শেষ ওভারে ১৫ রান পেয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। ২০ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় অপরাজিত ৩০ রান করেন মাহেদি। ৩ বলে অপরাজিত ৮ রান করেন তাসকিন। শেষ ৬ ওভারে ৬০ রান তুলে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের হাসান ২২ রানে ৩টি ও ওয়াসিম ২৪ রানে ২টি উইকেট নেন।