কোনো রকমে হার এড়াল মোহামেডান
আগের দিন সোমবার মোহামেডান ক্লাবের ক্রিকেট কমিটির কর্মকর্তারা দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে একসঙ্গে ইফতার করেছিলেন। মূলত ক্রিকেটারদের মনোবল বাড়ানো আর সুপার লিগে যাতে খেলতে পারে সে জন্য সবাইকে নিয়ে একত্রে ইফতার করা। অনুষ্ঠানে জানানো হয়েছিল আমেরিকা না গেলে সাকিব আল হাসান মোহামেডানের হয়ে সব ম্যাচই খেলবেন।
মোহামেডান ক্লাবের কর্মকর্তাদের সেই মনোবল জোগানোতে হয়তো কিছুটা কাজে এসেছে। হারতে হারতে মোহামেডান বেঁচে গেছে। টানটান উত্তেজনার ম্যাচে ব্রাদার্সকে মাত্র ১০ রানে হারিয়ে মোহামেডান সুপার লিগের লড়াইয়ে বেশ ভালোভাবেই শামিল হয়েছে। টানা তিন জয়ে ৯ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে মোহামেডানের অবস্থান ছয়ে। সমান ম্যাচে ব্রাদার্সের পয়েন্ট ৬। তাদের অবস্থান আটে।
মোাহামেডান এই ম্যাচ জিতেছে মাত্র ১৯০ রান করে। খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে মোহামেডান টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহর শেখ, আনিসুল ইসলাম ও রাহাতুল ফেরদৌসের মারাত্মক বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেনি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাকিব করেন ৩৭ রান। জ্যাক লিনটটের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। আনিসুল ১৫ ও মোহর শেখ ৩৫ রানে নেন ৩টি করে উইকেট। ৪৮ রানে ২ উইকেট নেন রাহাতুল ফেরদৌস।
ছোট টার্গেটের পেছনে ছুটে ব্রাদার্স ওপেনার আনিসুল ও চারে নামা জাহিদুজ্জামান খানের ব্যাটে ভর করে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানেই ছিল। ২ উইকেটে রান ছিল ১০৫। ৩৪ রানে ২ উইকেটের পতনের পর এই দুই ব্যাটসম্যান ৭১ রান যোগ করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। কিন্তু ১ রানের ব্যবধানে জ্যাক লিনটট দুইজনকেই ফিরিয়ে দিয়ে মোহামেডানকে আবার খেলায় ফিরিয়ে আনেন। জ্যাক লিনটট এক ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ব্রাদার্সকে কোণঠাসা করে ফেলেন। আগের ওভারে আনিসুলকে ফিরিয়ে ৪০ রানে ফিরিয়ে দেওয়ার পর পরের ওভারে একে একে ফিরিয়ে দেন জাহিদুজ্জামান ৪১, আরাফাত সানি জুনিয়র (০) ও নাদিফ চৌধুরীকে (০)। ফলে ২ উইকেটে ১০৫ রান থেকে দলের রান দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১০৬। ১ রানে হারায় ৪ উইকেট। এরপর ম্যাচ পুরোপুরি চলে যায় মোহামেডানের নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির হাল ছাড়তে রাজি ছিলেন না। তিনি একাই লড়াই চালিয়ে যান। যে কারণে খেলা আবার জমে উঠে। মায়শাকুর (১৬), রাহাতুল ফেরদৌস (৪) ও আব্দুল গাফফার রনিকে (১৩) নিয়ে ছোট ছোট জুটি গড়ে মোহামেডোনর সমথর্কদের হৃদকম্পন বাড়াতে থাকেন। দলীয় ১৭০ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাব্বির ৩৬ রান করে শুভাগত হোমের বলে মুশফিক হাসানের হাতে ধরা পড়েন।
সাব্বির আউট হওয়ার সময় ব্রাদার্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রানের। কিন্তু উইকেট ছিল মাত্র ১টি। ওভার ছিল অবশ্য অনেক। ৫.২টি। আব্দুল গাফফার রনি শেষ ব্যাটসম্যান মোহর শেখকে নিয়ে এগোতে থাকেন। কিন্তু জুটিতে ১০ রান আসার পর রনি নিজেই আউট হয়ে যান ১৩ রান করে মিরাজের বলে। ফলে মোহামেডান বাঁচে হাফ ছেড়ে। মোহামেডানের হয়ে জ্যাক লিনটট ৩৭ রানে ৫টি উইকেট নেন। সঙ্গে ব্যাট হাতে ২৮ রান করে তিনি হয়েছেন ম্যাচসেরা।
এমপি/এসজি