ভারতের স্টেডিয়ামে অপরিষ্কার টয়লেট, সমাধান বিশ্বকাপের আগেই!
ফেব্রুয়ারিতে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির একটি টেস্ট হয়েছিল দিল্লিতে। সেখানে অরুন জেটলি স্টেডিয়ামে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ম্যাচ উপভোগ করতে গিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন ভক্তরা। ক্ষোভ ঝেড়েছিলেন অপরিষ্কার টয়লেট দেখে। এমন অভিযোগ থাকবে না ভবিষ্যতে। কেননা, বিশ্বকাপের আগে স্টেডিয়াম সংস্করণ করবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অব কন্ট্রোল (বিসিসিআই)।
চলতি বছর অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে মঞ্চস্থ হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে অন্তত পাঁচটি স্টেডিয়াম ঢেলে সাজাতে প্রচুর পরিমাণে অর্থ খরচের পরিকল্পনা করেছে বিসিসিআই। জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ক্রিকেট বোর্ড ভারতের। বিগত এক দশকে তাদের আয় বেড়েছে বহুগুণ, যা বিসিসিআই বানিয়েছে আরও ধনী। তবুও তাদের দেশের স্টেডিয়ামে গিয়ে ভক্তরা অপরিষ্কার টয়লেটের অভিযোগ তোলায় বিশ্ব মিডিয়ায় তা প্রচার করা হয় বেশ ঘটা করে।
দিল্লির সেই ভেন্যুকে সংস্কার তালিকায় রেখেছে বিসিসিআই। পিটিআইয়ের তথ্যমতে, অন্য চারটি ভেন্যু হলো- হায়দরাবাদ, কলকাতা, মোহালি এবং মুম্বাইয়ের। গত মাসে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ওয়ানডের আগে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ করা হয়েছিল, কারণ একজন ভক্ত বিখ্যাত স্টেডিয়ামের খারাপ টয়লেটের চিত্র তুলে ধরে অভিযোগ করেছিলেন।
বলা হচ্ছে, পাঁচটি ভেন্যুর সংস্কার কাজের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে কয়েকশ কোটি রুপি। দিল্লি স্টেডিয়ামকে নতুন করে সাজাতে ১০০ কোটি, হায়দরাবাদের জন্য ১১৭.১৭ কোটি, কলকাতার আইকনিক ইডেন গার্ডেনের জন্য ১২৭.৪৭ কোটি, মোহালির পিসিএ স্টেডিয়ামের জন্য ৭৯.৪৬ কোটি এবং ওয়াংখেড়েতে ৭৮.৮২ কোটি রুপি খরচ হবে।
বিশ্বকাপের খেলা আয়োজনের জন্য মোট ১২টি বাছাই করেছে বিসিসিআই। ফাইনালের সম্ভাব্য ভেন্যু আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম। অপর ১১টি হলো- ব্যাঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধর্মশালা, গৌহাটি, হায়দরাবাদ, কলকাতা, লখনৌ, ইনদোর, রাজকোট এবং মুম্বাই।
এসজি