শেখ জামালের কাছে আবাহনীর প্রথম হার
তাওহিদ হৃদয় ও তাইবুর রহমানর চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৯৮ রান তাদের ক্লাব শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের জয়ে যেমন রেখেছে বড়[ ভুমিকা, দল জিতেছে ৪ উইকেটে, তেমনি আবাহনীকে এনে দিয়েছে লিগে প্রথম হারের স্বাদও।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত আজকের ম্যাচে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা আবাহনী টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৫০ রান করে। শেখ জামাল সেই রান পাড়ি দেয় ৪৯.১ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে। আবাহনীর এই হারে এবারের লিগে আর কোনও দলই অপরাজিত নেই। আগেই সুপার লিগ নিশ্চিত করেছিল দুই দল। হারলেও ৯ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই আছে আবাহনী। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে শেখ জামাল আছে দুইয়ে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শেখ জামাল শুরুতেই সৈকত আলীর উইকেট হারায় দলীয় ৩০ রানে। সে সময় সৈকতের রান ছিল মাত্র ২। সাইফ ৩৯ ও ফজলে রাব্বি ৩৮ রান করে আউট হন। তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফজলে রাব্বি যখন আউট হন, তখন দলের রান ১৯.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৭। সেখান থেকে তাওহিদ হৃদয় ও তাইবুর রহমান জুটি বেঁধে দলের রানকে ২০৫ পর্যন্ত নিয়ে যান। তাওহিদ ৭৭ বলে ১ ছক্কা ও ৫ চারে ৭২ রান করে রাকিবুল হাসানের বলে মোসাদ্দেকের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন। তখন দলের রান ৪ উইকেটে ২০৫। ওভার ৪৩.১টি। প্রাইম ব্যাংকের জয়ের জন্য প্রয়োহন ৪১ বলে ৪৬ রানের। একই ওভারে মৃত্যুঞ্জয়ও ৩ বলে ১টি করে চার ও ছয় মেরে আউট হয়ে গেলে খেলায় আবার ফিরে আসে আবাহনী। পরে তাইবুরের সঙ্গে জুটি বাঁধার পর কাজী অনিক মিলে দলকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যান। ১০০ বলে খেলে ৪ বাউন্ডারিতে ব্যক্তিগত ৬৩ রান করে ম্যাচ সেরা তাইবুর যখন আফিফের বলে তানভীরের হাতে ধরা পড়ে বিদায় নেন, তখন শেখ জামালের রান ৬ উইকেটে ২৪৩। পারভেঝ রাসুলকে (অপরাজিত ২) নিয়ে জয়ের বাকি কাজ সারেন অনিক (অপরাজিত ২০)। রাকিবুল ও দানিশ আজিজ ২টি করে উইকেট নেন।
টস জিতে আবাহনী ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভান্ডারে ভরপুর রান জমা করতে পারেনি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা তাদের দুই ওপেনার এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ দুই জনে আজ দলকে বড় সূচনা এনে দিতে পারেননি। এনামুল হক বিজয় ১৫ রান করে সাজ ঘরে ফিরে গেলেও নাঈম শেখ ঠিকই দলকে সার্ভিস দিয়ে যান। খেলেন ৫৮ রানের ইনিংস। ৪৭ বলে ২ ছক্কা ও ৭ চারে খেলা তার ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে আরিফের বলে সৈকতের হাতে ধরা পড়লে। নাঈম আউট হওয়ার পর আবাহনীর ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন জাকের আলী অনিক। ঘরোয়া ক্রিকেটে খুবই সফল এই ব্যাটসম্যান আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে ডাক পেলেও খেলার সুযোগ হয়নি। আবার ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরে এসে নিজের রান ফোয়ার অব্যাহত রেখেছেন।
জাকের আলী এক প্রান্তে আগলে রেখে খেলতে থাকরেও অপর প্রান্তে তাকে খুব বড় সাপোর্ট দিতে পারেননি নাজমুল (২১), আফিফ (০), মোাসদ্দেক (২০) ও দানিশ আজিজ (১৩)। সাত নম্বার ব্যাটসম্যান হিসেবে জাকর আউট হন ১১৯ বলে ৬ চারে ৭৯ রান করে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ড সফরে ডাক পাওয়া মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর বলে তারই হাতে ধার পড়ে। আরিফ ৩৯ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নেন এবাদত ও মৃত্যুঞ্জয়।
এমপি/এমএমএ/