আবাহনীর আটে আট
হ্যাটট্রিক সেঞ্চুরি পাওয়া হলো না এনামুল হক বিজয়ের। আগের দুই ম্যাচে তিন অঙ্কের ফিগার স্পর্শ করা আবাহনী ওপেনার লিজেডন্স অব রূপগঞ্জের বিপক্ষে থামেন মাত্র ২৮ রানে। এনামুলের ব্যর্থ হলেও জ্বলে উঠেন নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। তাতেই আবাহনীর আটে আট। লিজেন্ডসকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ডিপিএলে ৮ ম্যাচের ৮ টিতেই জয়ের দেখা পেল তারা।
ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে বড় পুঁজিই পেয়েছিল লিজেন্ডস। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে থামে ২৮৬ রানে। কিন্তু নাঈম ও আফিফের হাফ সেঞ্চুরিতে জয়ের ধারায় ফেরা হয়নি তাদের। ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টে ব্যাক-টু-ব্যাক হার দেখেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার দল।
টানা অষ্টম জয়ে ১৬ পয়েন্টে যথারীতি লিগ টেবিলের শীর্ষে আবাহনী। হারলেও তৃতীয় স্থানে রয়ে গেছে লিজেন্ডস। ৮ ম্যাচে ৬ জয়ে তাদের ঝুলিতে জমা পড়েছে ১২ পয়েন্ট। ডিপিএলে টানা ৬ জয়ের পর গত ৪ এপ্রিল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে হেরেছিল তারা।
টাইগার্সের বিপক্ষে লড়াই করেও অল্পের জন্য জয়ের নাগাল পায়নি লিজেন্ডস। আজ তাদের হেসেখেলেই হারায় লিগ টপাররা। রান তাড়ায় কখনোই চাপে ছিল না আবাহনী। এনামুলকে আউট করে দলটির ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রাজিবুল ইসলাম। খানিকবাদেই দানিশ আজিজকে (৯) মাঠছাড়া করেন মাশরাফি।
এরপর ছোট ছোট জুটিতে জয়ের পথে এগোতে থাকে আবাহনী। সবচেয়ে বড় অবদান ছিল আফিফের। তার অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংসে ৪ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দল। নাঈমের ব্যাট থেকে আসে গুরুত্বপূর্ণ ৭৬ রান। এ ছাড়া অবদান রাখেন জাকের আলী অনিক (৩১), মোসাদ্দেক হোসেন (২৮) এবং সাইফউদ্দিন (২৬*)।
দানিশ ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ হলেও বোলিংয়ে ছিলেন সেরা। ১০ ওভারে ৪৩ রানে ৪ উইকেট শিকার করেন পাকিস্তানের স্পিন অলরাউন্ডার। জোড়া উইকেট পান সাইফউদ্দিন এবং তানবীর ইসলাম, তানজিম হাসান সাকিব ও রকিবুল হাসান পান ১টি করে। তবে প্রতিপক্ষের রানচাকার গতি কমাতে পারেননি তারা।
প্রথম ইনিংসে একমাত্র হাফ সেঞ্চুরিয়ান ছিলেন চিরাগ আলী (৫৪)। টপ-অর্ডারে ব্যাটিংয়ে নামা পারভেজ হোসেন ইমন ও সাব্বির রহমান করেন যথাক্রমে ৩৯ ও ৪৮ রান। শেষ দিকে ব্যাটিং তাণ্ডবে ২০ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৮ রান করেন সোহাগ গাজী। কিন্তু তাদের সেই লড়াই দিন শেষে ফিকে হয়ে যায় লিজেন্ডসের হারে।
এসজি