শিরোপার খরা মেটাতে চান মুশফিক
বিপিএলে সবচেয়ে সফল ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। ৮৫ ম্যাচ খেলে মোট রান ২ হাজার ২৭৪। আছে ১৫টি ফিফটি। কিন্তু নেই কোনো শিরোপা। এবার খেলবেন খুলনা টাইগার্সের হয়ে। কিন্তু শিরোপাধারী সম্ভাব্য দলগুলোর মাঝে খুব জোরালোভাবে উচ্চারিত হচ্ছে না দলটির নাম। দলটির গুরু দায়িত্ব পাওয়া মুশফিকুর রহিম সেই অপূর্ণতা এবার দূর করতে চান। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে যেন দলের কাজে আসতে পারে, সেটিই তার চাওয়া। বিপিএল শুরুর দিনই তার দলকে মোকাবেলা করতে হবে আসরে তিন পাণ্ডবের দল মিনিস্টার ঢাকাকে।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্যের চেয়ে দলগত লক্ষ্য আমার কাছে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গত বছর রানার্সআপ হয়েছি। দুইবার একশ’র কাছাকাছি গিয়েও শতক পাইনি। তবে ওই দুই ম্যাচই জিতেছি। এটাই বেশি জরুরি। এবারও এমন চ্যালেঞ্জই থাকবে। চেষ্টা করব সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার। একই সঙ্গে ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলতে চাই যাতে দল ভালো ফলাফল পায়। ব্যক্তিগত লক্ষ্যের চেয়েও বেশি দলীয় লক্ষ্য বেশি অর্জন করতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলা সত্যিই অনেক চ্যালেঞ্জিং। আর বিপিএল টি-টোয়েন্টিতে আমাদের সবচেয়ে বড় লিগ। বিশ্বব্যাপী বিপিএলের একটা সুনাম আছে। এখানে কোয়ালিটি ক্রিকেট হয়, মানসম্পন্ন বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জ তো থাকেই। যে কোনো দলই চ্যাম্পিয়ন হতে চায়। আমরাই চাই ইনশাআল্লাহ্। শুরুটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাল (২১ জানুয়ারি) শুরু হচ্ছে। শীর্ষ দুইয়ে থেকে যেন লিগ পর্ব শেষ করতে পারি সেই চেষ্টা করব। আশা করি একটা শিরোপা যেন জিততে পারি, আর সেটা যেন এ বছরই হয়।'
অনুশীলনে মুশফিক একটু বেশি সিরিয়াস। অনেক সময় সবার আগে এসে একা একা অনুশীলন করে থাকেন। জাতীয় দলের ম্যাচ থাকাকালীন ঐচ্ছিক অনুশীলনের সময়ও তিনি নিজেকে গুটিয়ে রাখনে না। খুলনার প্রথম ম্যাচকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবারও তিনি একা একা অনুশীলন করে নিজেকে শান দিয়ে নিয়েছেন শেষ বারের মতো। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘খেলার আগের দিন আমার একটা ব্যক্তিগত প্রস্তুতি থাকে। ওগুলো নিজে নিজে করেছি। নেটে ২ ঘণ্টার দলীয় অনুশীলন আসলে সবার জন্য যথেষ্ট না। যে কোনো টুর্নামেন্টের জন্যই আগে থেকে প্রস্তুতি রাখতে হয়। যদিও এটা পাওয়ার হিটের খেলা। তবে ভিত্তি আর বেসিক ঠিক থাকলে পাওয়ার হিট অটোমেটিক চলে আসে।’
মুশফিক এবার বিপিএল খেলতে নামবেন কিছুটা প্রতিকূল অবস্থায়। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টি-টোযেন্টি সিরিজে তাকে দলে রাখা হয়নি। কিন্তু তার মাঝে এসব ভাবনা বিন্দু মাত্র নেই। সমস্ত ভাবনা জুড়ে শুধুই বিপিএল। তিনি বলেন, ‘আমি কামব্যাক বা জাতীয় দল নিয়ে চিন্তা করছি না। আমি চিন্তা করছি বিপিএল ফরম্যাট নিয়ে। বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক আমি। আমার কাছে এটা অন্যরকম চ্যালেঞ্জ যেন ওই জায়গাটা ধরে রাখতে পারি। ভবিষ্যতে কী আসবে, কী আসবে না তা নিয়ে একদমই ভাবি না।’
এবারের বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটার না থাকাতে অনেক দলই বিদেশি ক্রিকেটারের কোটা পূরণ না করেই সেরা একাদশ সাজাতে পারে। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা সবার জন্য বড় সুযোগ। বিশেষ করে স্থানীয়দের জন্য। সামনে বিশ্বকাপসহ অনেক খেলা আছে। কোভিড পরিস্থিতি আগের মতো ভালো নেই। তারপরও যে খেলার সুযোগ পাচ্ছি, পরিবেশ পাচ্ছি এটা আমাদের জন্য অনেক বড় বিষয়। স্থানীয়দের জন্য অনেক বড় প্লাটফর্ম।’
এমপি/এসএন