আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দলে মোস্তাফিজ
২০২১ সালে বাংলাদেশের ক্রিকেট নেহাত মন্দ যায়নি। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর সব অর্জনে পানি ঢেলে দিয়েছিল। এরপর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পাশাপাশি টেস্ট সিরিজেও হয়েছিল নাস্তানুবুদ। এরফলে সর্বত্রই সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। কিন্তু খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ছিল উজ্জ্বল। তারই ধারাবাহিকতায় আইসিসিরি টি-টোয়েন্টি বর্ষসেরা ক্রিকেট দেলে একমাত্র বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান।
গত বছর মোস্তাফিজের শিকার ছিল ২৮ উইকেট। ম্যাচ খেলেছিলেন ২০টি। ৭ ইকোনমি রেটে তার গড় ছিল ১৭.৩৯। বছরে মোস্তাফিজের সেরা নৈপুন্য ছিল ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল। যেখানে মোস্তাফিজ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫ ম্যাচে খেলে ৭ উইকেট ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সমান সংখ্যক ম্যাচ খেলে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন।
মোস্তাফিজকে সেরা একাদশে রাখা নিয়ে আইসিসি তাদের ওয়েবসাইটে উল্লেখ করেছ, ‘ ২০২১ সালে বাংলাদেশের এই বাঁহাতি পেসার তার বৈচিত্রময় বোলিং ও গতি দিয়ে আবারো টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে শাসন করেছেন। ইনিংসের শুরুতে বোলিং করার পাশাপাশি ডেথ ওভারেও তিনি দুর্দান্ত বোলিং করেছেন।
ঘোষিত দলে ভারতের কোনো ক্রিকেটার না থাকা ছিল বিস্ময়। দলে অধিনায়ক করা হয়েছে পাকিস্তানের বাবর আজমকে। দেশি কোটায় পাকিস্তানের ক্রিকেটারই বেশি ৩ জন। বাবার আজম ছাড়া অপর দুই জন হলেন উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ান ও পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদী। তিনজন ক্রিকেটার আছেন দক্ষিণ আফ্রিকারও। তারা হলেন অ্যাইডেন মারক্রাম, ডেভিড মিলার ও তাবরাইজ শামসি। দুইজন ক্রিকেটার আছেন অস্ট্রেলিয়ার। তারা হলেন মিচেল মার্শ ও জশ হ্যাজলউড। একজন করে ক্রিকেটার আছেন বাংলাদেশ ছাড়া ইংল্যান্ড (জস বাটলার) ও শ্রীলঙ্কার (ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা)।
আইসিসির বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি দল
জস বাটলার, মোহাম্মদ রিজওয়ান (উইকেটরক্ষক), বাবর আজম (অধিনায়ক), অ্যাইডেন মারক্রাম, মিচেল মার্শ, ডেভিড মিলার, তাবরাইজ শামসি, জশ হ্যাজলউড, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মুস্তাফিজুর রহমান ও শাহীন শাহ আফ্রিদি।
এমপি/এমএমএ/