বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়
বাংলার মাটিতে কুপোকাত টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে তাদের বিপক্ষে ৬ উইকেট ব্যবধানে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ঐতিহাসিক জয়। টি-টোয়েন্টিতে ক্রিকেটের জনকদের বিপক্ষে এটাই প্রথম জয় টাইগারদের। সেটাও দ্বিতীয়বারের দেখায়।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ১৫৬ রানের পুঁজি পায় ইংল্যান্ড। চ্যালেঞ্জিং পুঁজি তাড়ায় বাংলাদেশের জয়ের পথ মসৃণ হয় নাজমুল হোসেন শান্ত এবং অভিষিক্ত তৌহিদ হৃদয়ের বিধ্বংসী জুটিতে। যদিও তারা ম্যাচের ইতি টানতে পারেননি, তবে ১২ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে নোঙর করে স্বাগতিকরা।
টি-টোয়েন্টিতে এটাই প্রথম সিরিজ বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের। এর আগে মাত্র একবার এই ফরম্যাটে দেখা হয়েছিল দুই দলের। সেটা ২০২১ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে। আবুধাবিতে ওই ম্যাচে ইংল্যান্ড জিতেছিল ৮ উইকেটে। এবার দেশের মাটিতে তাদের বিপক্ষে গর্জে উঠল টাইগাররা।
এদিন চ্যালেঞ্জিং টার্গেট তাড়ায় শুরুতেই মারমুখী ছিলেন দুই ওপেনার- লিটন দাস ও রনি তালুকদার। যদিও দীর্ঘ হয়নি তাদের উদ্বোধনী জুটি, তবে ৩.৩ ওভারে তারা দলের খাতায় যোগ করেন ৩৩ রান। বাংলাদেশের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন আদিল রশিদ। ইংলিশ স্পিনারের শিকারের হওয়ার আগে ১৪ বলে ৪ চারে ২১ রান করেন রনি।
উইকেটে নেমে দ্বিতীয় বলেই এলবি হয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি জীবন ফিরে পান রিভিউ নিয়ে। পরের বলে রশিদকে চার হাঁকিয়ে খুলেন রানের খাতা। দ্রুত রান তোলার নেশায় উইকেট বিলিয়ে দেন লিটন। ১০ বলে ২ চারে ১২ রান করা টাইগার ওপেনারকে মিডঅনে থাকা ক্রিস ওকসের ক্যাচ বানান পেসার জফরা আর্চার।
দুই ওভারে দুই ওপেনারকে হারালেও পথ হারায়নি বাংলাদেশ। দলকে জয়ের পথে রাখেন শান্ত এবং অভিষিক্ত তৌহিদ।। ৫.৫ থেকে ৬.৪ ওভার পর্যন্ত টানা ছয় চারে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ দখলে নেন দুজনে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে ওকসকে ব্যাক-টু-ব্যাক বাউন্ডারি হাঁকান তৌহিদ। মার্ক উডের পরের ওভারে প্রথম চার বল সীমানা ছাড়া করেন শান্ত। তাদের চার-বৃষ্টিতে চোখের পলকে ৪৬ থেকে ৭০ রান হয়ে যায় বাংলাদেশের সংগ্রহ। এখানেই থেমে যাননি তারা। তাদের মারমুখী ব্যাটিংয়ে ১০.৩ ওভারেই শতরানের কোটা পেরিয়ে যায় স্বাগতিকরা।
দলকে শক্ত প্ল্যাটফর্মে দাঁড় করিয়ে আউট হন তৌহিদ ও শান্ত। তাদের ৬৫ রানের (৩৯ বলে) জুটি ভাঙেন মঈন আলি। ইনিংসের ১২তম ওভারে দলীয় ১০৮ এবং ব্যক্তিগত ২৪ রানে আউট হন তৌহিদ। ছয় বল পর হাফ সেঞ্চুরিয়ান শান্তকে সাজঘরে পাঠান পেসার উড। শান্তর ৩০ বলে ৫১ রানের ইনিংসে ছিল ৮টি চারের মার।
এরপর মাঠভর্তি দর্শকদের জয়োল্লাসে মাতান দুই বাঁহাতি- সাকিব আল হাসান এবং আফিফ হোসেন। তাদের অবিচ্ছিন্ন ৪৬ রানের জুটিতে নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের জয়। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিব ২৪ বলে ৬ চারে করেন ৩৪ রান। আফিফ অপরাজিত ছিলেন ১৫ রানে। তার ১৩ বলের ইনিংসে ছিল ২টি চারের মার।
এসজি