বিদায়ী মঞ্চে সানিয়া মির্জার হাসি-কান্না
ভারতে নারী অ্যাথলেটদের পথিকৃৎ সানিয়া মির্জা। গ্র্যান্ড স্লামের দ্বৈতে তার ছয় শিরোপা জয়ের গল্প দেশটিতে দৃষ্টান্ত। এমন কিংবদন্তিতে সেরা উপায়ে বিদায় দিয়েছে ভারত। তাই তো বিদায়ী মঞ্চে হাসলেন সানিয়া মির্জা, আবার কাঁদলেনও।
রবিার (৫ মার্চ) হায়দরাবাদের লাল বাহাদুর স্টেডিয়াম সেজেছিল সানিয়ার জন্য। রঙ-বেরঙের বেলুন, ফুল, ব্যাটার-ফেষ্টুনে চারপাশ ছিল সুসজ্জিত। সেখানে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেন ভারতীয় গ্ল্যামার-গার্ল। প্রতিপক্ষ ছিলেন তার বিখ্যাত পার্টনার রোহান বোপানা।
বুট জোড়া তুলে রাখার আগে ইভান ডডিগ, কারা ব্ল্যাক, বেথানি ম্যাটেক-স্যান্ডস এবং মেরিয়ন বারতোলির সঙ্গেও লড়াই উপভোগ করেন সানিয়া। খেলা চলাকালীন সারাক্ষণ তার চোখে-মুখে আনন্দের বহিঃপ্রকাশ। এরপর বিদায়ী বক্তব্য দেওয়ার সময় চোখের জল লুকিয়ে রাখতে পারেননি তিনি।
আবেগী সানিয়া বলেন, ‘আজ আমাকে যে ধরনের বিদায় দেওয়া হয়েছে তার জন্য আমি প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি এর চাইতে ভালো বিদায় চাইতে পারতাম না। সবকিছু শুরু হয়েছিল ২০০২ সালে যখন আমি জাতীয় গেমসে পদক জিতেছিলাম। তারপর ২০০৪ সালে, আমি আমার প্রথম ডব্লিউটিএ শিরোপা (ডাবল) জিতেছিলাম।’
ভারতীয় টেনিস কিংবদন্তি আরও বলেন, ‘দীর্ঘ ২০ বছর ধরে দেশের সর্বোচ্চ স্তরে প্রতিনিধিত্ব করা একটি সম্মানের বিষয়। অল্পবয়সী একটি শিশুর টেনিস খেলায় বিশ্বাস রাখা অনেকের জন্যই কঠিন ছিল, তারপর আবার আমি একটি মেয়ে। কিন্তু শুধুমাত্র আমার বাবা-মা আমাকে বিশ্বাস করেছিলেন এবং এই যাত্রায় আমার সঙ্গে ছিলেন।’
একইসঙ্গে তেলেঙ্গানা সরকারের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সানিয়া, ‘হ্যাঁ, আমি খেলাটি মিস করতে যাচ্ছি। তবে আমি আপনাদের বলতে পারি যে আমি তেলেঙ্গানা সরকার এবং তেলেঙ্গানা রাজ্যের ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করব আরেকজন সানিয়া তৈরি করার জন্য।’
তিনি যোগ করেন, ‘আসলে আমাদের আরও বেশি সংখ্যক সানিয়া দরকার এবং নিশ্চিতভাবেই এটির জন্য কাজ করব। এগুলো খুশির কান্না। আমি আপনাদের মিস করব।’
এমএমএ/