ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েও ফায়দা হয়নি বাংলাদেশের
প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়েছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে আর ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয়নি। কিন্তু ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েও ফায়দা হয়নি। আগে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে তার ষথাযথ ব্যবহার তারা করেছে রানের পাহাড় গড়ে। ওপেনার জেসন রয়ের (১৩২) সেঞ্চুরিতে ভর করে ৭ উইকেটে করেছে ৩২৬ রান। বাংলাদেশের মাটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাদের দলগত সর্বোচ্চ রান। আগের সর্বোচ্চ রান ছিল ২০১৬ সালে সফরের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ৬ উইকেটে ২০৯ রান।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এই রান করে ইংল্যান্ড স্বাগতিকদের মিরপুরে রান তাড়া করে জেতার নতুন চ্যালেন্জ ছুড়ে দিয়েছে ইংলিশরা। ২০১৯ সালে উইন্ডিজের ৩২২ রান তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ। আর এই মাঠে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড ভারতের। ২০১২ সালে এশিয়া কাপে তারা পাকিস্তানের ৩৩০ রান অতিক্রম করেছিল।
মিরপুরে তিনশোর্ধ রান হলো ৫ বছর পর। সর্বশেষ তিনশোর্ধ রান করেছিল বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে তারা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩২০ রান করেছিল বাংলাদেশ।
টস জিতে তামিম ইকবাল বোলারদের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন প্রতিপক্ষকে অল্প রানে গুটিয়ে রাখার লক্ষ্যে। কিন্তু তার সেই লক্ষ্য পূরণে পুরোপুরি ব্যর্থ হন বোলাররা। আর বোলারদের ব্যর্থ হওয়ার কাজটি করেন জেসন রয় ও অধিনায়ক জর্জ বাটলার। জেসন রয় ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি করে আউট হন ১৩২ রানে। বাটলার আউট হওয়ার আগে করেন ৭৬ রান। এই দুই জনে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১৫.৩ ওভারে যোগ করেন ১০৯ রান। জেসন রয় ১০৪ বলে ১ ছক্কা ও ১২ চারে সেঞ্চুরি করার পর ১২৪ বলে ১ ছক্কা ও ১৮ চারে ১৩২ রান করে সাকিবের বলে এলবিডব্লিউ হন। বাটলার ৪টি চারে ৫০ বলে হাফ সেঞ্চুরি আউট হন ৭৬ রানে মিরাজের বলে তারই হাতে ক্যাচ দিয়ে। তিনি ৬৪ বলে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৭৬ রান করেন।
এই দুইজনের ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে শেষের দিকে মঈন আলী ও স্যাম কুরান খেলেন বড়ো ইনিংস। মঈন আলী ৩৫ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৪২ রান করে তাসকিনের শিকার হন। স্যাম কুরান ১৯ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের জন্য হতাশা বহে আনেন তিন স্পিনার সাকিব - মিরাজ - তাইজুল। এই তিন জনে ১০ ওভার করে ৩০ ওভার বোলিং করে রান দেন ১৭৫। উইকেট নেন ৪টি। মিরাজ ৭৩ রানে ২টি, তাইজুল ৫৮ ও সাকিব ৬৪ রানে নেন ১টি করে উইকেট। তাসকিন ৩ উইকেট নিতে খরচ করেন ৬৬ টান। মোস্তাফিজ ৬৩ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি।
৫ বোলার চরমভাবে ব্যর্থ হলেও অধিনায়ক তামিম মাহমুদউল্লাহ কিংবা আফিফকে দিয়ে চেষ্টা করেননি।
এমপি/এএস