দলে ফেরার সংস্কৃতি বদলে দিলেন রনি তালুকদার
বাংলাদেশের সমাজে মেয়েদের নিয়ে একটি প্রচলিত প্রবাদ আছে ‘ কুড়িতেই বুড়ি!’ যদিও এই জমানায় এটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। তেমনি বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলেও একটি অলিখিত প্রবাদ ছিল ৩০ পার হলেও আর সেই ক্রিকেটারের জাতীয় দলে খেলা কিংবা ফেরার সুযোগ আর থাকে না!
যতই তিনি ভালো খেলুন না কেন? কদাচিৎ এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। আর জাতীয় দলে যারা থাকেন. তারা সব সময় থাকেন টেনশনে। কান পাতলেই শুনতে পান বিদায়ের ঘণ্টা। টিকে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত দিতে হয় ভালো করার কঠিন পরীক্ষা।
তেত্রিশ ছুঁই ছুঁই বয়সে রনি তালুকদার আবার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে দলে ফেরার সংস্কৃতি বদলে দিয়েছেন। এই বয়সে সর্বশেষ কে জাতীয় দলে ফিরেছেন, তা নিয়ে পরিসংখ্যান ঘাটতে হবে।
জাতীয় দলে রনি তালুকদার আবার ফিরেচেন ৮ বছর পর। প্রথম যখন তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন ২০১৫ সালে, তখন খেলেছিলেন একটি মাত্র ম্যাচ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই ম্যাচ করেছিলেন মাত্র ২৫ রান। বয়স ছিল ২৫। এই বয়সে তিনি দলে সুযোগ পেলেও সেই সুযোগকে কতটা কাজে লাগাতে পারনে সেটা এক বিরাট প্রশ্ন। আর যদি কাজে লাগাতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে তার পরিণতি কী হবে? আরও কি এক ম্যাচ খেলেই বাদ। না কি নিজেকে প্রমাণ করার জন্য পাবেন একাধিক সুযোগ?
এবারের রনিকে নিয়ে ব্যাপক আশাবাদী প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
বুধবার (২ মার্চ) তিনি বলেন, ‘শর্টার ফরম্যাটে আমরা কিছু খেলোয়াড় চাচ্ছিলাম, যাদের অ্যাবিলিটি আছে, হিটিং পাওয়ার আছে। রনি কিন্তু অনেকগুলো বিপিএলে ভালো করেছে ধারাবাহিকভাবে। এটা না যে ওর বয়স হয়ে গেছে। বয়সটা কিন্তু এখানে ব্যাপার না। সুযোগের বড় মাপ কঠি দিয়েছি পারফরম্যান্স। রনি যে প্লাটফর্মে এসেছে, নিজেকে মেলে ধরতে পারলে আমরাও ভালো কিছু আশা করতে পারি।’
এবারের বিপিএলে রনি তালুকদার ছিলেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানসংগ্রহকারী। রংপুর রাইডার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচের সব কটিতে ব্যাটিং করে রান করেছিলেন ৪২৫। হাফ সেঞ্চুরি ছিল ৩টি। সর্বোচ্চ রান ছিল ৬৭। স্ট্রাইকরেট ছিল ১২৯.১৮। গড় ছিল ৩৫.৪২।তার উপরে ছিলেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। তার রান ছিল ৫১৬।
আগের বার মাত্র ১ ম্যাচ খেলেই রনিকে বাদ দিয়ে নিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘এটাতো অনেক আগের ব্যাপার। আমি যেটা বললাম যে কিছু কিছু জায়গায় কিছু কিছু খেলোয়াড়কে দেওয়া হয়। আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে চিন্তা-ভাবনা করা হয় অটোমেটিকলি চলে আসে। অন্য টেস্ট প্লেয়িং কান্ট্রিতে দেখবেন টেস্ট ক্রিকেটে ৩০০ করার পর পরের টেস্টে সুযোগ পায়নি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেই আছে। সুতরাং এগুলো মাথায় রাখতে হবে। কিছু কিছু জায়গায় আছে পারফরম্যান্স এবং স্ট্যাবলিশ প্লেয়ার আছে ইনজুরিতে পড়তে পারে। কিছু প্লেয়ার সুযোগ পায়। আবার ইনজুরির পর কামব্যাক করলে ওই প্লেয়ারের বেস্টটা চলে আসে। রনির উপর আমরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বসাী, ও সুযোগ পেয়েছে । কন্টিনিউয়াস প্রসেসে থাকলে ভালো করবে।
এমপি/এমএমএ/