কড়া ‘হেডমাস্টার’ কোমলও!
হাথুরুসিংহেকে সবাই কড়া হেডমাস্টার বলেই জানেন। এই জানার কারণ প্রথম মেয়াদে তার বাংলাদেশ পর্ব। দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে নিয়ে আসার অনেকগুলো কারণের মাঝে এটিও ছিল একটি। কিন্তু হাথুরুসিংহে নিজেকে কড়া মাস্টার মনে করেন না। তিনি নিজেকে কড়া মানুষের পাশাপাশি কোমল মনের অধিকারী বলেও মনে করেন।
এই শক্ত আর কোমল হওয়ার গল্পও শুনিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনে চন্ডিকা। তিনি বলেন, ‘আমার পিতা সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। তার মাঝে আমি কড়া শাসন দেখেছি। আবার মা ছিলেন সেবিকা। তার মাঝে আমি কোমলতা দেখেছি। এই দুই ধারাই আমার মাঝে বহমান। তাই আমাকে শুধু কড়া ভাবা ঠিক হবে না। আমি নিজেকে সব সময় সৎ রাখার চেষ্টা করি। যা দেখি সরাসরি বলি। এটাই আমার তরুণ বয়স থেকে শক্তির জায়গা।’
বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব নিয়ে হাথুরুসিংহে ইচ্ছে নতুন কেউ উঠে আসুক। তার এ চাওয়া মানে এখন যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাদের সরিয়ে নয়।
তিনি বলেন, ‘নতুন নেতৃত্ব আসা চ্যালেঞ্জ নয়, দায়িত্ব। দলের সিনিয়র ক্রিকেটারই গত ১৫-১৭ বছর থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তার সব সময় দলকে নেতৃত্ব দেবেন না কিংবা আরও ১০ বছর খেলবেন না। তাই এখনই আমাদের পরবর্তী নেতৃত্ব তুলে আনতে হবে। ভালো খেলে এবং সঠিক আচরণের মাধ্যমে তারা নিজেদের তুলে ধরবে।’
লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমানের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পারফরম্যান্স বিবেচনা করলে এরা আগামী দিনে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে পারবে।’
মেহেদি হাসান মিরাজকেনিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন কোচ। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক মিরাজের জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল এই হাথুরুসিংহের আমলেই। যুব দলে তিনি ব্যাটিং অলরাউন্ডার হলেও জাতীয় দলে হয়ে উঠেন মূলত বোলার।
ব্যাট হাতে রানই পাচ্ছিলেন না। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি সেই রান খরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন। তিন অঙ্কের দেখাও পেয়েছেন। এখন তিনি পরিপূর্ণ একজন অলরাউন্ডার।
তাকে নিয়ে হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমি খুবই খুশি (মিরাজের উন্নতি দেখে)। তাকে দেখ আমার সবসময় মনে হয়েছে, সেরা হওয়ার ইচ্ছে আছে তার মাঝে। ক্রিকেট নিয়ে সে অনেক ভাবে। অনেক প্রশ্ন করে থাকে। আমার তখনই (২০১৬ সালে) মনে হয়েছে, অনেক দূর পর্যন্ত সে যেতে পারবে। শেখার প্রতি তার এই যে আগ্রহ, এই কারণেই সে নিজেকে বাংলাদেশের মূল খেলোয়াড়দের একজন করে তুলবে।’
এমপি/এমএমএ/