বাউন্সার-ইয়র্কার সামলে হঠাৎ গুগলিতে বিব্রত তামিম
ক্যারিয়ারের ক্রান্তিকালে তামিম ইকবাল অনেকটাই মাঠ ছাড়া। ইনজুরি তাকে দূরে সরিয়ে রাখছে বারবার। প্রথমে ইনজুরি ও কিছুটা অভিমানে তিনি লম্বা সময় মাঠে ছিলেন না। তার এ অভিমান ছিল মূলত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে। এরপর তো আর মাঠে না ফিরেই এই ফরম্যাট থেকে অবসর নিয়ে নেন।
ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে আবার মাঠে ফিরলেও ফের ইনজুরি বাসা বাঁধে। ফলে আবারও মাঠ ছাড়া। যে কারণে খেলা হয়নি ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে। সেই সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। সময়ের হিসেবে তিনি সর্বশেষ মাঠে নেমেছিলেন গত বছর ২২ আগস্ট। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ মার্চ তার আবার মাঠে ফেরা হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে।
তামিম ইকবালের এসব ইনজুরি নিয়েও আছে নানা গুঞ্জন। প্রচলিত আছে কোনো বড় প্রতিপক্ষ বা কঠিন সিরিজ হলে তামিম ইকবাল ইনজুরির কথা বলে সরে দাঁড়ান। যদিও ইংল্যান্ড সিরিজ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন, কিন্তু বিষয়বস্তু সরে গিয়ে হয়ে উঠেছিল বিসিবির সভাপতির বোমা ফাটানো মন্তব্য সাকিব-তামিম দ্বন্দ্ব। ইংল্যান্ড সিরিজ বাদ দিয়ে তামিমকে এ বিষয়টি সামলাতে হয়েছে বেশ বিচক্ষণতার সঙ্গে। কখনো বাউন্সার ছুটে এসেছে। কখনো ছুটে এসেছে ইয়র্কার। এরই মাঝে গুগলি দিয়ে বসেন এক সাংবাদিক।
তামিমের ইনজুরির বিষয়টি টেনে এনে জানতে চাওয়া হয় এরকম প্রশ্ন শুনলে কেমন লাগে? এতক্ষণ সাকিব ইস্যুতে বেশ ভালোভাবেই হুক-পুল খেলতে থাকা তামিমকে হঠাৎ করেই কিছুটা নড়বড়ে মনে হলো। তিনি হয়তো এ জাতীয় গুগলির জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলেন না। জবাব দেওয়ার পরও মনে হয়েছে আরও কিছু কথা বাকি রয়ে গেছে। সেগুলোও বলা প্রয়োজন। তাই পরের প্রশ্ন চলাকালীন তিনি থামিয়ে দিয়ে কথা বলতে থাকেন।
প্রথমে তামিম ইকবাল বলেন, ‘আমি লম্বা সময় ক্রিকেট খেলছি। রান করেছি ১৫ হাজারের মতো। তারপরও যদি এরকম কথা শুনতে হয়, তা খুবই দুঃখজনক। আমার ১৭ বছরের ক্যারিয়ারে আমি ৯০ ভাগ ম্যাচ খেলেছি। খেলা হয়নি হয়তো ১০ ভাগ ম্যাচ ইনজুরির কারণে। কোনো ক্রিকেটারই ম্যাচ না খেলে বসে থাকতে চায় না। এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলার নেই আমার।’
এরপর অন্য একজন প্রশ্ন শুরু করেন। কিন্তু সেটি থামিয়ে দিয়ে তামিম বলেন, ‘ইংল্যান্ড সিরিজও বড়। ওদের পেস বোলিংও ভালো। তাহলে আমি কেন খেলছি?’
এমপি/এসজি