রকিবুলের দৃষ্টিতে ‘ভিলেন’ ব্যাটসম্যানরা
একদিকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের খেতাব শরীরে। অপরদিকে চলতি আসরের প্রথম ম্যাচ। প্রতিপক্ষ আবার ইংল্যান্ড। ‘এ’ গ্রুপে এ দুই দলই শক্তিশালী। পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়ার জোর দাবিদার। এমনকি শিরোপা চূড়ান্ত মঞ্চে উঠারও সক্ষমতা রাখে। কিন্তু সেখানে গোড়াতেই গলদ। মুখোমুখি যখন দুই দল, তখন একদলকে তো হারতেই হবে। সেই হারা দলটি ছিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু হারের ধরনটা ছিল বিভ্রান্তিকর। তা যত না ৭ উইকেটের ব্যবধানে, তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি বাংলাদেশ দল মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া।
অথচ এ দলই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার আগে খেলেছে এশিয়া কাপের আসর। যেখানে সেমি পর্যন্ত যেতে পেরেছিল। সেখানে হেরেছিল ভারতের কাছে। আবার এ এশিয়া কাপ খেলার আগে ভারতের মাটিতে গিয়ে তাদের দুইটি দলের অংশগ্রহণ তিন দলের আসরে চ্যাম্পিয়নও হয়েছিল। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের যাচ্ছেতাই রকমের বাজে শুরু অনেকেই অংকের হিসেবে মিলিয়ে নিতে পারছেন না।
এ রকম বাজে হারের কারণ হিসেবে দলনেতা রকিবুল হাসান দলের ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই মোটা দাগে চিহ্নিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের ব্যাটসম্যারা ভালো করতে পারেনি। ব্যাটিং নিয়ে আমাদের বসতে হবে। ব্যাটিংয়ে উন্নতি করতে হবে। শেষ দিকে কিছু ব্যাটসম্যান ভালো ব্যাট করেছে। আমাদের মূল ব্যাটসম্যানরা পারফর্ম করতে পারলে অনেক ভালো করতে পারব।’
ব্যাটিং নিয়ে রকিবুল যতটা হতাশা ব্যক্ত করেছেন, ততটাই আবার সন্তুষ্টি ঝরেছে বোলিং নিয়ে। কারণ মাত্র ৯৭ রানের পুঁজি নিয়েও বাংলাদেশের বোলাররা শুরুতেই ইংল্যান্ডের ২ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। দলের বোলিং নিয়ে তিনি বলেন, ‘বোলিংয়ে আমরা ভালোই করেছি। উইকেট থেকে সহায়তা পেয়েছি। বোলিং ও ফিল্ডিং ইউনিট নিয়ে আমি খুশি।’ কিন্তু এরপরই তিনি আবারও ব্যাটিং নিয়ে বলেন, ‘আমাদের ব্যাটিংয়ে নজর দিতে হবে। উন্নতি করতে হবে।’
সাধারণত গ্রুপে চার দল থাকলে আর সেখান থেকে সেরা দুই দলের একটি হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যেতে হলে সব সময় প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়াটা খুবই জরুরি হয়ে পড়ে। এতে করে কাজ অনেকটা এগিয়ে রাখা সম্ভব হয়। বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়াতে ব্যাকফুটে আছে। কিন্তু এখানে বাংলাদেশ খুব একটা ব্যাকফুটে নেই। কারণ গ্রুপের অপর দু প্রতিপক্ষ। একটি কানাডা, অপরটি সংযুক্ত আরব আমিরাত। দুই দলই অংশগ্রহণই বড় কথা মন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই ধরেই নেওয়া যায় অসম্ভব কোনো মিরাকল না ঘটলে এ দুই দলের বিপক্ষে জয় পাওয়া খুব একটা কঠিন হবে না রকিবুলদের।
তারপরও রকিবুল আশা প্রকাশ করে পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘আশা করছি পরের ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াতে পারব। আরও দুটি ম্যাচ আছে আমাদের। এ দুটি ম্যাচই জিতে পরের পর্বে কোয়ালিফাই করতে হবে। এজন্য আমাদের সেরা ক্রিকেটই খেলতে হবে।’
বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ২০ জানুয়ারি কানাডার বিপক্ষে।
এমপি/এসএন