অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেট
বড় হারে শুরু বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের
অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের গত আসরের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। পরবর্তি আসরে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের দিকে অন্য দলগুলোর নজর থাকে আলাদা। এবারো তারা শিরোপা ধরে রাখার মতো দল কি না? লক্ষ্য কী? দল কেমন? এ রকম আরও নানা দিক থাকে। কিন্তু এবার শুরুতেই হতাশ করেছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। ইংল্যান্ডের কাছে বড় হার দিয়ে মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। হারের ব্যবধান ৭ উইকেট। এই হারের চেয়েও ভয়বাহ ব্যর্থতা ছিল আগে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৯৭ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া। যে রান ক্রিকেটের জনকরা অতিক্রম করে ২৫.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৮ রান করে।
বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের সঙ্গে ম্যাচটি আর জমে উঠেনি। এই ম্যাচ আবার এভাবে এক পেশে হয়ে পড়বে, তা অনেকেই ভাবেননি। কারণ দুই পক্ষই শক্তিশালী। কিন্তু ইংরেজদের শক্তির সঙ্গে পেরে উঠেনি বাংলাদেশ। যে কারণে ১০০ ওভারের ম্যাচ নেমে আসে ৬০.৩ ওভারে। বাংলাদেশ খেলেছে ৩৫.২ ওভার। ইংল্যান্ড ২৫.১ ওভার।
‘এ’ গ্রুপে এই ম্যাচটিই প্রতিদ্বন্ধিতা পূর্ন হওয়ার কথা ছিল। কারণ গ্রুপের অপর দুই দল ভঙ্গুর শক্তির কানাডা ও সংযুক্ত আরব ইমরাত। প্রথম ম্যাচে হেরে যাওয়া দলের পরবর্তিতে পরের রাউন্ডে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে? কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ দলকে খুব একটা কঠিন বাস্তবতার মুখে পড়তে হবে না। কারণ কানাডা ও আরব আমিরাত প্রতিপক্ষ হিসেবে খুব একটা শক্তিশালী নয়। বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ২০ জানুয়ারি কানাডার বিপক্ষে। কানাডা প্রথম ম্যাচে হেরেছে আরব আমিরাতের কাছে ৪৯ রানে।
রবিবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেন্ট কিটসে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাটিং ব্যর্থতায় পড়েছিলেন, তাতে করে ৯৭ রানই হওয়ার ছিল না। ৫১ রানে ৯ উইকেট হারানোর পর ১১ নাম্বারে নামা শেষ ব্যাটসম্যান রিপন মন্ডল অপরাজিত ৩৩ রানের ইনিংস খেলে দলের রানকে ৯৭ পর্যন্ত নিয়ে যান। নাঈমুর রহমানকে নিয়ে তিনি ৪৬ রান যোগ করেন। নাঈমুর করেন ১১ রান। এই দুইজন ছাড়া আর দুই জন দুই অংকের রান করেন। মেহরাব ১৪ ও আইচ মোল্লা ১৩ রান। বাংলাদেশ এক পর্যায়ে ৮ রানে হারিয়েছিল ৪ উইকেট। ইংল্যান্ডের হয়ে জসুয়া বয়ডেন ১৬ রানে নেন ৪ উইকেট। ২টি উইকেট নেন টম প্রেস্ট।
জবাব দিতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটাও ভালো হয়নি। ২৬ রানে হারায় ২ উইকেট। ওপেনার জর্জ থমাসকে (১৫) রিপন মন্ডিল ফিরিয়ে দেয়ার পর দলপতি টম প্রেস্টকে (৪) ফেরান বাংলার দলপতি রকিবুল হাসান। কিন্তু এই চাপ বেশি সময় ধরে রাখতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। জ্যাকব বেথেল ও জেমস রিউ জুটি বাঁধার পর আর পেছনে ফিরে থাকাতে হয়নি। এই জুটি দলের রানকে জয়ের কাছাকাছিই নিয়ে যান। জুটিতে ৬৫ রান যোগ করে দলীয় ৯১ রানে রান আউট হয়ে যান জ্যাকব বেথেল। তখন তার ব্যক্তিগত রান ছিল ৪৪। রিউর সঙ্গে জুটি বেঁধে উইলিয়াম লাক্সটন জয়ের বাকি কাজ সেরে নেন। রিউ ২৬ ও লাক্সটন ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। রকিবুল ১৩ ও রিপন ২৩ রানে নেন একটি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা হয়েছেন ১৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস গুড়িয়ে দেয়া জসুয়া বয়ডেন।
এমপি/কেএফ/