শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ | ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সিলেটের অবাক করা ব্যাটিংয়ে স্টেডিয়ামে পিনপতন নীরবতা!

বিপিএলের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে নিজেদের মাটিতে খেলতে নামবে সিলেট। এ নিয়ে সিলেটবাসীর মাঝে রাজ‌্যের উচ্ছ্বাস। যারা টিকিট পেয়েছেন তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে সদল-বলে গিয়েছেন খেলা দেখতে। যারা টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি, তারা ভিন্ন পন্থায় চেষ্টা করছেন স্টেডিয়ামে ঢোকার। সর্বত্রই একটা উৎসবের আমেজ। এরকম উৎসবমুখর আমেজেই টস জিততে পারেননি মাশরাফি বিন মর্তুজা। কিন্তু তাকে ব‌্যাটিংয়ে পাঠান রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।

সিলেট আগে ব‌্যাট করবে জেনে দর্শকদের মাঝে আরেক দফা করতালি উঠে। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি। দ্বিতীয় ওভারেই ভাঙন ধরে উদ্বোধনী জুটিতে। আগের ম‌্যাচে বরিশালের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওভারেই সিলেট হারিয়েছিল ৩ উইকেট। এবার ১ উইকেট। এ আর কী? এটা হতেই পারে। পরের ওভারে নেই আরও ১ উইকেট। রান ২ উইকেটে ১২। এটাও সমস‌্যা না। কারণ দৃষ্টান্ত হয়ে আছে বরিশালের বিপক্ষে ম‌্যাচটি। ২ ওভারে ১৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত ও টম মুরিসের দৃঢ়তায় সিলেট ৫ উইকেটে ১৭৩ রান করে ম‌্যাচ জিতেছিল ২ রানে। এবারও কেউ না কেউ দাঁড়িয়ে যাবে? কিন্তু না এবার আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি। নামে ভয়াবহ ধস। যে ধসে চরমভাবে বিধস্ত হয় সিলেট। সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ৯২। এবারের বিপিএলে এটি দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। সর্বনিম্ন রান খুলনা টাইগার্সের। ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে তারা করেছিল ৮৪ রান।

সিলেটের দুই ওপেনার ব‌্যাট করতে নামার সময় যেখানে ছিল বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার, সেখানে মুহূর্তেই নেমে আসে রাজ্যের নীরবতা। দেখে মনে হয় মৃত্যুপুরী। স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শক। কিন্তু সবাই নিশ্চুপ! সিলেটে প্রচণ্ড শীতে রংপুরের বোলাররা উত্তাপ ছড়ালেও সিলেটবাসীর মাঝে বিরাজ করে মাইনাস তাপমাত্রা। যেন বরফে ঢাকা পড়ে আছেন তারা।

ঢাকা ও চট্টগ্রামে হাই স্কোরিং ম‌্যাচ হওয়ার পর সিলেটেও রান ফোয়ারা হবে কি না? কিংবা সিলেটের উইকেট কেমন হবে? এ নিয়ে আগের দিন বৃহস্পতিবার নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খেয়েছে। কিন্তু সেভাবে কেউ কিছু বলেননি। শুধু উদাহরণ হিসেবে এই মাঠে অনুষ্ঠিত আগের কয়েকটি খেলাকে সামনে নিয়ে আসা হয়। যেগুলো ছিল হাই স্কোরিং। তবে তা ছিল লংগার ভার্সন ম‌্যাচ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তা বজায় থাকবে কি না তা নিয়ে ছিল দোদুল্যমানতা। শেষ পর্যন্ত হয়ে উঠে বোলারদের রাজত্বে ভরা।

বোলারদের রাজত্ব এমনই প্রকটভাবে ফুঠে উঠে যে, আসরে সিলেটের শক্তিশালী ব‌্যাটিং লাইন গুঁড়িয়ে যায়। পেস আর স্পিনের মিলনমেলায় পরিণত হয় উইকেট। যাদের সামনে দাঁড়িয়ে সিলেট ব‌্যাটিং পাওয়ার প্লেতে সংগ্রহ করে ৫ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৬ রান। ক্রিজে সিলেটের ব‌্যাটসম‌্যানদের অবস্থা এতটাই নাজুক হয়ে পড়ে যে দেখে মনে হয়েছে প্রতি বলে বলেই তারা উইকেট হারাবে!

বরিশালের বিপক্ষে আগের ম‌্যাচে বিপর্যয়ের মাঝে দাঁড়িয়ে ভালো ব‌্যাটিং করায় টম মুরিসকে এবার নাজমুলের সঙ্গে ইনিংসের উদ্বোধন করতে পাঠানো হয়। কিন্তু তাকে দিয়েই শুরু হয় সিলেটের পতনের ডাক। আজমতউল্লাহ ওমজাইয়ের বলে উইকেটের পেছনে ক‌্যাচ দিয়ে ফিরে আসার পর পরের ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তও ফিরে যান শেখ মেহেদি হাসানের শিকার হয়ে। ৯ বলে ৯ রান করলেও ইনিংসে একটি ছক্কা থাকায় আজও ভালো কিছু করার ইঙ্গিত ছিল। বরিশাল বিপর্যয়ে দুই ত্রাণকর্তা শুরুতেই আউট হয়ে যাওয়ায় পরে আর কোনো ব‌্যাটসম‌্যান দাঁড়াতেই পারেননি। শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। মিছিলে একে একে শামিল হন তৌহিদ হৃদয় ০, মুশফিকুর রহিম ০, জাকির হাসান ০, থিসারা পেরারা ৩, ইমাদ ওয়াসিম ১। ফলে সিলেটের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৮.৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান।

এসময় সিলেট নিজেদের মাঠে বিপিএলের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জার সামনে পড়ে। বিপিএলে সর্বনিম্ন রান ৪৪। ২০১৬ সালে মিরপুরে এই রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইটান্স ১০.৪ ওভারে ৪৪ রানে অলআউট হয়েছিল। কিন্তু সিলেটকে সে লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করেন তানজিম হাসান সাকিব ও কাপ্তান মাশরাফি। দুইজন পাল উড়িয়ে ধরেন। রংপুরের বোলারদের গোলা সামলে তারা ধীরে ধীরে দলের রান বাড়িয়ে নিতে থাকেন। তাদের এই রান দলের ভীত মজবুত করার মতো ছিল না। কিন্তু সর্বনিম্ন রানের যে ইনিংসগুলো আছে যেমন ৪৪ রানের পর ৫৮, ৫৯, ৬৩, ৬৭, ৬৭, ৬৮, ৬৮, ৭২, ৭৪, ৭৬, ৭৯, ৭৯, ৮২, ৮৪, ৮৪, ৮৬, ৮৭-এগুলো তারা অতিক্রম করে যান। দুইজন অষ্টম উইকেট জুটিতে ব‌্যাটিং করার সময় পিনপতন নীরবতা ভেঙে সিলেটের দর্শকরা আবার আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠেন। মাশরাফি ও তানজিম ২টি করে ছক্কা উপহার দেন। তানজিমের ২ ছক্কার সঙ্গে ছিল ৫টি চারও। এসময় দর্শকরা বেশ উল্লাস করতে থাকেন।

মাশরাফি ও তানজিম দুইজন ৭ ওভারে যোগ করেন ৪৮ রান। ২১ বলে ২ ছক্কায় ২১ রান করে মাশরাফি হাসান মাহমুদের শিকার হলে ভাঙে জুটি। অপরপ্রান্তে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের অন‌্যতম সদস‌্য সিলেটেরই সন্তান তানজিম হাসান সাকিব ছিলেন অবিচল। লড়াই করে যান একা। মোহাম্মদ আমিরকে নিয়ে নবম উইকেট জুটিতে ১৯ রান যোগ করে তিনি আউট হয়ে যান। তাকেও আউট করেন হাসান মাহমুদ। আউট হওয়ার আগে ২ ছক্কা ও ৫ চারে ৩৬ বলে করেন সর্বোচ্চ ৪১ রান।

মূলত মাশরাফি ও তানজিমের কারণে সিলেট যেখানে অল্প রানেই অলআউট হয়ে যাওয়ার কথা। সেখানে অলআউট না হয়ে ৯ উইকেটে করে ৯২ রান। ৮.৪ ওভারে ১৮ রানে ৭ উইকেট হারানোর পর বাকি ১১.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে যোগ করে ৭৪ রান।

রংপুরের পক্ষে হাসান মাহমুদ ১২ ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৭ রানে ৩টি, মেহেদি হাসান ১২ রানে ২টি ও হারিস রউফ ১৯ রানে নেন ১ উইকটে।

এমপি/এসজি

Header Ad

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি। ছবি: সংগৃহীত

দেশের আটটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির ব্যাপারে ভর্তীচ্ছুদের সতর্ক করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে স্বাক্ষর করেছেন ইউজিসির পরিচালক (বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ) ড. মো. সুলতান মাহমুদ ভূইয়া।

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য জানিয়ে ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর অধীনে বর্তমানে ১১৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে ১০৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলা মোকদ্দমাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিরাজমান, সে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা পূর্বের ধারাবাহিকতায় এবারও প্রকাশ করেছে কমিশন। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের হালনাগাদ তথ্য নিয়মিতভাবে কমিশনের ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়।

অবৈধ ক্যাম্পাস ও অবৈধভাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী বিশ্ববিদ্যালয়:

১. ইবাইস ইউনিভার্সিটি: সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোন আইনগত ভিত্তি নেই। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই- তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই।

এছাড়া বোর্ড অব ট্রাস্টিজ নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং আদালতে মামলা রয়েছে। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ইবাইস ইউনিভার্সিটি’র একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোনো বৈধতা নেই।

২. আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদিত কোনো ক্যাম্পাস ও ঠিকানা এবং চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী আমেরিকা বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও উহার ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

৩. দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা: বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রমের আর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে চ্যান্সেলর তথা রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার নেই তথা বৈধ কোন কর্তৃপক্ষ নেই। ফলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা এর একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, পরীক্ষা ও এর ফলাফল এবং প্রদত্ত একাডেমিক সনদের আইনগত কোন বৈধতা নেই।

পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা:

১. ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ: নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষাসহ সব কার্যক্রম স্থানান্তরে ব্যর্থ হওয়ায় কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল রয়েছে। তবে উক্ত তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

২. সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ঢাকা): বিশ্ববিদ্যালয়টির সাময়িক অনুমতিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে রাষ্ট্রপতি বা চ্যান্সেলর কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস চ্যান্সেলর নেই। ট্রেজারার নিয়োগ এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক মনোনীত অডিট ফার্ম দ্বারা অডিট করা হয়নি। এছাড়া প্রতিষ্ঠালগ্ন হতে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন সংক্রান্ত জটিলতা, পারস্পরিক দ্বন্দ্ব ও মামলা চলমান রয়েছে।

এ কারণে কমিশন কর্তৃক পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত গত ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি-এর সব প্রোগ্রামে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ রয়েছে এবং তা এখনও বহাল আছে। তবে এ তারিখের পূর্বে চলমান কোর্সে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকবে।

৩. সাউদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ: এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক, একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিষয়েও তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে।

৪. দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়: আদালতের আদেশবলে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সব আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশের সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করা হয়েছে।

৫. কুইন্স ইউনিভার্সিটি: ২০০৬ সালের ২২ অক্টোবর সরকার কর্তৃক বন্ধ করা হয়। পরবর্তীতে বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন শর্ত সাপেক্ষে এক বছরের জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছিল। শর্তটি হলো- এক বছরের মধ্যে কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্পিত শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত সব শর্ত পূরণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম না হয়, তবে শিক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত এ সাময়িক অনুমতি তাৎক্ষণিক বাতিল হবে। শর্তানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কুইন্স ইউনিভার্সিটি শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে সমর্থ হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে অর্জিত ডিগ্রির মূল সার্টিফিকেটে স্বাক্ষরকারী হবেন সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রপতি তথা আচার্য কর্তৃক নিয়োগকৃত ভাইস-চ্যান্সেলর এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ১০৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগকৃত উপাচার্য রয়েছেন ৭৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) এ সংক্রান্ত বিষয়ে সময়ে সময়ে তালিকা আপডেট করা হয়।

এ অবস্থায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত ক্যাম্পাসে এবং অনুমোদিত প্রোগ্রামে ভর্তি হওয়ার জন্য ইউজিসির ওয়েবসাইট (www.ugc.gov.bd) থেকে তথ্য সংগ্রহপূর্বক ভর্তি হওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের জন্য প্রযোজ্য ক্ষেত্রে তারকা (*) চিহ্নসহ কমিশনের ওয়েবসাইটে (www.ugc.gov.bd) হালনাগাদ তথ্য আপলোড বা প্রদর্শন করা হয়।

এরপরও কেউ কোনো অননুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অননুমোদিত ক্যাম্পাস, অননুমোদিত প্রোগ্রামে বা অনুমোদিত প্রোগ্রামে কমিশন নির্ধারিত আসন সংখ্যার বিপরীতে অতিরিক্ত আসনে ভর্তি হয়ে প্রতারিত হলে এবং পরবর্তীতে কোনো আইনগত সমস্যা সৃষ্টি হলে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষিত অথবা প্রোগ্রাম বাতিল হলে বা অনুমোদিত আসন সংখ্যার অধিক আসনে ভর্তি হয়ে সনদ বাতিল হলে তার দায়-দায়িত্ব ইউজিসির ওপর বর্তাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Header Ad

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত

গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে সাইদুল ইসলাম (৪৫) নামের একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুম্মার নামাজের পর বেলা ২ টার দিকে উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের মালাধর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইদুল ওই গ্রামের মৃত হাসিব উদ্দীনের পুত্র। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মালাধর গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র আব্দুল গফুর (৩৪), ফিরোজ খন্দকারের পুত্র শাকিল আহমেদ (২৭), সোহরাব খন্দকারের পুত্র সফিউল ইসলাম আহাদ (সোহাগ)কে আটক করেছে পুলিশ।

স্থানীয়রা জানান, নামাজের পর বেলা ২টার দিকে মসজিদের কমিটির নিয়ে আলোচনা চলছিল। এসময় মালাধর উত্তরপাড়া ও দক্ষিণ পাড়ার মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হলে মসজিদের মধ্যেই সংঘর্ষ বাধে। খবর পেয়ে দুই গ্রামের লোকজন লাঠিশোঠা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তাতে অংশ নেয়। এতে সংঘর্ষ মসজিদের বাইরে ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উত্তরপাড়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম ঘটনাস্থলেই মারা যায় এবং মতিন, শাহিন, আনিছুর ও মহব্বত নামের ৪জন গুরুতর আহত হয়। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গোবিন্দগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত অভিযোগে ৩জন আটক করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল

ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার প্রতিবাদ এবং রাষ্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকায় উগ্রবাদী জঙ্গি সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে টাঙ্গাইলে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) জুমা’র নামাজের পর টাঙ্গাইল পৌর শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদ ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম এবং মুয়াজ্জিন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর মিছিলটি শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবে সামনে এসে শেষ হয়।

এ সময় সমাবেশে টাঙ্গাইল জেলা কওমী ওলামা পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি আব্দুর রহমান ও টাঙ্গাইল জেলা ইমাম ও মুয়াজ্জিন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে সতর্ক করল ইউজিসি
গোবিন্দগঞ্জে মসজিদের কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষে একজন নিহত
ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে টাঙ্গাইলে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল
আফগানিস্তানকে হারিয়ে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভসূচনা
বাংলাদেশ নিয়ে ভারতীয় মিডিয়ার প্রচারণা ও ইসকন প্রসঙ্গে যা বলল দিল্লি
কারাগারে ডিভিশন পাননি চিন্ময়, খেতে দেওয়া হচ্ছে নিরামিষ
আওয়ামী লীগ শাসনামলে বছরে পাচার হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার
পরিবর্তন হচ্ছে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত নতুন রেলসেতুর নাম
পূর্ণিমার প্রথম স্বামী কিবরিয়াকে বিয়ে করলেন চিত্রনায়িকা কেয়া
‘আইনজীবী সাইফুলের পরিবারের জন্য কোটি টাকার ফান্ড গড়া হচ্ছে’
ইসকনের নামে আওয়ামী লীগ নতুন করে আসার চেষ্টা করছে: হেফাজতে ইসলাম
ঢাকায় আজ মঞ্চ মাতাবেন আতিফ আসলাম
বিক্ষোভের দায়ে গ্রেপ্তার আরও ৭৫ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করল আমিরাত
ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর: আসিফ নজরুল
গাইবান্ধায় তিন বিএনপি নেতার পদ স্থগিত
সচিব আব্দুস সবুর মন্ডলকে বাধ্যতামূলক অবসর
চিন্ময় কৃষ্ণসহ ১৭ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ
তীব্র শীতে কাঁপছে উত্তরের জনপদ, তাপমাত্রা নেমেছে ১১.৪ ডিগ্রিতে
চুয়াডাঙ্গায় সেনা অভিযানে শীর্ষ সন্ত্রাসী মিল্টন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার
সরকার পতনের পর থেকে অনুপস্থিত কুবি কর্মকর্তা, তদন্ত কমিটি গঠন