স্বাগতিক হিসেবে সিলেটই সুবিধাজনক অবস্থানে

বিপিএলে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে খেলার সুযোগ এখনো হয়নি। তারপরও এই সুযোগ পেয়ে থাকে তিনটি দল ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট। বিভিন্ন সময় ফ্রাঞ্চাইজির পরিবর্তন ঘটলেও স্বাগতিক হওয়ার সুবিধা থেকেই যায়।
এবারের বিপিএলে তৃতীয় স্বাগতিক হিসেবে আগামীকাল থেকে খেলা শুরু হবে সিলেটে। এর আগে ঢাকা ও চট্টগ্রামে খেলা হয়েছে। কিন্তু ঢাকা ও চট্টগ্রাম পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে খেলা শুরু করতে পারনি। যা পারছে সিলেট। শুধু তাই নয়। সিলেট স্ট্রাইকার্সের ক্রিকেটাররা সিলেটে পৌছার পর তাদেরকে নিয়ে রোড শো করা হয়েছে। যা অন্য স্বাগতিকদের ক্ষেত্রে দেখা যায়নি।
বিপিএলের যাত্রা শুরু হয়েছিল ঢাকা থেকে। সিলেট স্ট্রাইকার্স ও রংপুর রাইডর্সের মতো ঢাকা ডমিনেটরসও জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু এই যাত্রা ছিল ক্ষনস্থায়ী। দ্বিতীয় ম্যাচেই তারা হার মেনেছিল সিলেট স্ট্রাইকর্সের কাছে ৬২ রানের বিশাল ব্যাবধানে।
ঢাকার পর বিপিএল চলে যায় চট্টগ্রামে। নিজেদের মাটিতে তারা খেলা শুরু করেছিল ২ ম্যাচে ১টি জয় নিয়ে। সবার উপরে ছিল সিলেট। স্বাগতিক হিসেবে চট্টগ্রাম ম্যাচ খেলেছিল ৪টি। জয় পেয়েছিল মাত্র ১টিতে।
চট্টগ্রামের পর বিপিএল চলে আসে আবার ঢাকাতে। চট্টগ্রাম যাওয়ার সময় ঢাকার অবস্থা ছিল বেশ ভালো। ২ ম্যাচে ১ জয়। কিন্তু আবার যখন ঢাকাতে আসে, অবস্থা তখন বেশ নাজুক। চট্টগ্রামে তাার ৪ ম্যাচের সব কটিতেই হেরেছিল। ৬ ম্যাচের মাত্র ১ জয়ে তারা পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। ঢাকায় ফিরে এসেও তারা প্রথম
ম্যাচে আবার হেরে যায়। পরে দ্বিতীয় ম্যাচে জয় খুলনাকে ২৪ রানে হারিয়ে।
এই খুলনাকেই তারা আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটে হারিয়েছিল। মাঝে হরেছে টানা ৫ ম্যাচে। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান এখন সাত থেকে উন্নতি ঘটে হয়েছে ছয়।
ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা তিন দফাই খেলাতে সিলেট স্ট্রাইকার্স নিজেদের শীর্ষ স্থান শুরু থেকেই ধরে রেখেছে। যে কারণে এবারের আসরে তারা একামাত্র দল হিসেবে শীর্ষে থেকে স্বাগতিক হিসেবে মাঠে নামতে যাচ্ছে। আগামীকাল প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স।
সাত ম্যাচে সিলেটের জয় ৬টি। পয়েন্ট ১২। তারা হেরেছে একমাত্র কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের কাছে ৫ উইকেটে। এই কুমিল্লাকেই আবার তারি হারিয়েছিল ৫ উইকেটে। বাকি ৫ ম্যাচের মাঝে বরিশাল ও ঢাকাকে হারিয়েছে ২ বার করে। বরিশালকে ৬ উইকেটে ও ২ রানে এবং ঢাকা ডমিনেটরসকে ৬২ রানে ও ৫ উইকেটে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়েছিল ৮ উইকেটে।
সিলেটে ৪ দিনে স্বাগতিকরা খেলবে ৩টি ম্যাচ। দেখার বিষয় সিলেট ছাড়ার সময় স্বাগতিকরা নিজেদের শীর্ষ ধরে রাখতে পারে কি না? সিলেটের উপর গরম নিঃশ্বাস ফেলছে বরিশাল। সাত ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। এ ছাড়া কুমিল্লার পয়েন্ট ৭ ম্যাচে ৮।
এমপি/এমএমএ/
