খুলনাকে হারিয়ে শেষ চারের লড়াইয়ে টিকে থাকল ঢাকা

পুঁজি মাত্র ১০৮ রান। এই রান করে ম্যাচ জেতা দূরের কথা, লড়াই-ই করা যায় না। তারপরও অস্তিত্ব রক্ষার ম্যাচে ঢাকা ডমিনেটরসের বোলাররা শেষ চেষ্টা করেন। সেখানে তারা সফলও হন। খুলনা টাইগার্সকে ১৫.৩ ওভারে মাত্র ৮৪ রানে অলআউট করে ২৪ রানে ম্যাচ জিতে টিকে রয়েছে শেষ চারের লড়াইয়ে।
এই খুলনাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে প্রথম জয় পেয়েছিল ঢাকা। আবার সেই খুলনাকেই হারিয়ে টানা ৬ ম্যাচ হারের পর পেল প্রথম জয়। ৮ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৪। খুলনারও পয়েন্ট ৪। তবে তারা ম্যাচ খেলেছে ৬টি।
বোলারদের দাপটে ভরা ছিল পরের ম্যাচ। দুইদলই অল্আউট হয়েছে। রান উঠেছে ১৯২। ঢাকার ১০৮, খুলনার ৮৪। ওভার হয়েছে ৩৫.১টি। ঢাকা খেলেছে ১৯.৪ ওভার। খুলনার ওভার খেলা হয়েছে ১৫.৩টি।
শেষ চারে যাওয়ার জন্য খুলনা এই ম্যাচ হেরে গেলেও খুব একটা সমস্যায় পড়তো না। তাদের পয়েন্ট হত ৬ ম্যাচে ৪। কিন্তু বিপদ শঙ্কুল অবস্থায় ছিল ঢাকা। ৭ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২। এই ম্যাচে হেরে গেলে বাকি ৪ ম্যাচ তারা দর্শক হয়ে থাকতো। স্বল্প পুঁজি নিয়ে তাদের ছিল শেষ চেষ্টা। সেই চেষ্টায় শামিল হয়েছিলেন দলের ৫ বোলারই তাসকিন, সালমান ইরশাদ, নাসির হোসেন, আল আমিন হোসেন ও আমির হামজা। সবাই নিজেদের নিংড়ে দেন। রান যেমন নিয়ন্ত্রণ করেছেন, তেমনি উইকেটও পেয়েছেন। তাদের তোপে পড়ে খুলনার দুই জন মাত্র ব্যাটসম্যান দুইঅংকের রান করেন। তামিম ইকবাল ৩০ ও অধিনায়ক ইয়াসির আলী ২১।
দলকে জেতাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাস কিন আহমেদ। ৯ রানে তুলে নেন ৪ উইকেট। আল আমিন হোসেন ১৭ ও নাসির ৩০ রানে নেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে উইকেট নিতে আমির হামজা ৫ ও সালমান ইরশাদ ২৩ রান খরচ করেন।
আঘাতটা শুরু করেন তাসকিন। প্রথমবারের মতো খেলতে নামা উইন্ডিজের শাই হোপকে (৫) ফিরিয়ে দেন। এরপর এবারের আসরে অলরাউন্ড নৈপুন্য দেখিয়ে চলা অধিনায়ক নাসির পরপর দুই ওভারে ফিরিয় দেন প্রথমে মাহমুদুল হাসান জয়কে( ৪), পরে তামিম ইকবালকে ( ২৩ বল ১ ছক্কা ও ৪ চারে ৩০ রান)।
১১ নম্বার ওভারে তাসকিন দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসে ফিরিয়ে দেন আজম খানের মতোব্যাটসম্যানকে। পরের ওভারে ইয়াসির আলীকে( ২১ রান,বল ২৪টি। ১টি ছক্কা ও ২টি চার)। তখন দলের রান ১২.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৬৭। তখনও ম্যাচের পাল্লা খুলনার দিকেই ভারী। কিন্তু সেই অবস্থা মুহুর্তেই বদলে যায় আহমেদ বাটকে (৭) আমির হামজা ফিরিয়ে দেয়ার পর। আল আমিন দ্বিতীয় স্পেলে বল করতে এসেই সেই ওভারে ২ উইকেট তুলে নিলে ম্যাচ হেলে পড়ে ঢাকার দিকে। সম্ভাবনা উঁকি দিতে থাকে জয়ের। এরপর তাসকিন তৃতীয় স্পেলে বোলিং করতে এসে ৩ বলের ব্যবধানে শেষ ২ উইকে তুলে নিলে ঢাকাকে চিন্তামুক্ত করেন। খুলনার শেষ ৫ উইকেট পড়ে মাত্র ১১ বলে ৯ রানে।
এমপি
