চট্টগ্রামকে হারিয়ে রংপুরের তৃতীয় জয়

রংপুর রাইডার্সের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। হার মেনেছে ৫৫ রানে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুর করে ৬ উইকেটে ১৭৯ রান। জবাব দিতে নেমে চট্টগ্রাম ১৬.৩ ওভারে মাত্র ১২৪ রানে অলআউট হয়ে যায়। ছয় ম্যাচে রংপুরের পয়েন্ট ৬। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান চারে। অপরদিকে চট্টগ্রামের এটি ছিল সাত ম্যাচে পঞ্চম হার। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তারা আছে পয়েন্ট টেবিল ষষ্ঠ স্থান। ৪৫ বলে ৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন রংপুরের পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে রংপুরের ইনিংস গড়ে উঠে মাত্র তিনজন ব্যাটারের ব্যাটে ভর করে। শোয়েব মালিক ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৪৫ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। হাফ সেঞ্চুরি করেন ২৯ বলে। তখন ছক্কা ছিল ৫টি, চার ছিল ২টি। চট্টগ্রামের মেহেদি হাসান রানা ৩৯ রানে নেন ৩ উইকেট। অধিনায়ক শুভাগত হোম ৩ ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে শিকার করেছিলেন রংপুরের ইনিংসের প্রথম ২ উইকেট। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২৪ বল ৪ ছক্কা ও ১ চারে ৪২ রান করেন। মোহাম্মদ নাঈমের ৩৪ রান আসে ২৯ বলে ১ ছক্কাও ৫ চারে।
এই তিন ব্যাটারের দৃঢ়তায় রংপুর ২৬ রানে ২ উইকেট হারানোর বিপর্যয় কাটিয়ে উঠে মজবুত ভীত তৈরি করে পরে ম্যাচ জিতে নেয় ৫৫ রানে। ৪৭ রানে মোহাম্মদ নাঈম ফেরার পর চতুর্থ উইকেট জুটিতে শোয়েব মালিক ও আজমত উল্লাহ ওমরজাই ৮.৫ ওভারে ১০৫ রান যোগ করেন। জুটিতে এই রানই রংপুরকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। এর সুফল পরে তারা ভোগ করে ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে।
চট্টগ্রামকে জিততে হলে করতে হবে ১৮০ রান। সেখানে প্রথম তিন ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে তারা অকূল সাগরে ভাসতে থাকে। দুই ওপেনার ওসমান খান ৪, খাজা নাফি ৬ রান করে আউট হওয়ার পাশাপাশি প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে নামা তৌফিক খান তুষার কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান। অকূল সাগরে ভাসতে থাকা চট্টগ্রামকে সেখান থেকে পরে আর কেউ উদ্ধার করতে পারেনি। যিনি উদ্ধার করতে পারতেন সেই আফিফ হোসেন ব্যাট করতেই নামেননি। আহতও হননি। জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় তাকে ড্রেসিংরুম থেকে সরাসরি হোটেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অধিনায়ক শুভাগত হোমের ৩১ বলে ৪টি করে চার ও ছক্কায় ৫২ রানের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের তিন ছক্কা এক চারে ১২ বলে ২৪ ও দারউইস রাসুলির ১৭ বলে ২১ রান শুধুই চট্টগ্রামের দলীয় সংগ্রহকে শতরান পার করতে ভূমিকা রাখে। চট্টগ্রামের শেষ তিন উইকেট পড়ে আসে মাত্র ১ রানে। হারিস রউফ ১৭ রানে তিনটি ও রকিবুল হাসান ২৪ রানে ২টি উইকেট নেন।
এমপি/এসজি
