সাকিবময় চট্টগ্রাম পর্ব

ঢাকায় প্রথম পর্ব ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্সের পাশাপাশি তৌহিদ হৃদয়ময়। টানা তিন ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের এই সদস্য। ইনজুরি কারণে তিনি চট্টগ্রাম পর্ব খেলতে পারেননি। তার অনুপস্থিতিতে চট্টগ্রাম পর্ব হয়ে উঠেছিল ফরচুন বরিশালের পাশাপাশি সাকিবময়। সাকিব দ্যুতিতে আলোকিত হয়ে উঠেছিল চট্টগ্রাম পর্ব। টানা দুই ম্যাচে তিনি করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। তার দুইটি হাফ সেঞ্চুরিই ছিল সেঞ্চুরির কাছাকাছি। একটি ৮১, অপরটি ৮৯। এই দুইটি ইনিংসে সাকিব যেভাবে ব্যাটিং করেছিলেন, তাতে করে অনায়াসেই তিনি পেতে পারতেন সেঞ্চুরি। কিন্তু বিধিবাম। ওভার শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই শেষ পর্যন্ত তাকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে ৮১ ও রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকতে হয়েছিল।
চট্টগ্রাম পর্ব শেষে সাকিব ৬ ম্যাচের ৫ ইনিংসে তিন হাফ সেঞ্চুরিতে ২৭৫ রান করে আছেন সবার উপরে। তার উপর অবশ্য গরম নিঃশ্বাস ফেলছেন সমান ম্যাচ খেলে সাকিবের চেয়ে এক ইনিংস বেশি খেলে ২৬৯ রান করে ঢাকা ডমিনেটরসের অধিনায়ক নাসির হোসেন।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাকিবের এমন ব্যাটিং সচরাচর দেখা যায়নি। বলা যায় ব্যাট হাতে এই ফরম্যাটে সাকিব খুব বেশি সফল নন। কিন্তু এবারের বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে তিনি নেমেছেন যেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার মিশনে।
ঢাকায় প্রথম ম্যাচেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ৩২ বল খেলে ৪ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৭ রান করে আউট হয়েছিলেন। পরের ম্যাচ রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আর ব্যাট করতে নামেননি। তারপর চট্টগ্রাম পর্বে তিনি চার ম্যাচ খেলে সব কটিতেই ব্যাটিং করেন। তার এই চারটি ইনিংস ছিল যথাক্রমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে অপরাজিত ৮১, রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৯ ও ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে ৩০।
প্রতিটি ইনিংসই সাকিবের স্ট্রাইক রেট ছিল একশর উপরে। কোনো কোনো ম্যাচ দুইশ বা ততোর্ধও ছিল। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৮ রান করেছিলেন ২ বাউন্ডারিতে ৪ বলে। কুমিল্লার বিপক্ষে অপরাজিত ৮১ রান করতে বল খেলেছিলেন ৪৫টি। স্ট্রাইকরেট ছিল ১৮০.০০। ৪টি ছক্কার সঙ্গে ছিল ৮টি চার। রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে তার স্ট্রাইকরেট ছিল সবচেয়ে বেশি ২০৬.৯৭। ৪৩ বল খেলে ৬ ছক্কা ও ৯ চারে তিনি ৮৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ঢাকার বিপক্ষে ৩০ রানের ইনিংস খেলতে সাকিব যথারীতি স্ট্রাইকরেট একশর উপরে। ১৭ বল খেলে ১ ছক্কা ও ৪ চারে ১৭৬.৪৭ ছিল স্ট্রাইকরেট।
সাকিব শুধু ব্যাট হাতেই নয়। বল হাতেও সাফল্য দেখিয়েছেন। চট্টগ্রাম পর্বে উইকেট পেয়েছেন দু্ইটি। চট্টগ্রামের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২৭ ও কুমিল্লার বিপক্ষে ৩ ওভারে ১১ রান দিয়েছিলেন। এ ছাড়া রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে রান বন্যার ম্যাচে সাকিবের বোলিং ইকোনমি ছিল খুবই কম ৫ করে। ৩ ওভারে তিনি রান দিয়েছিলেন মাত্র ১৫। যদিও কোনো উইকেট পাননি। গোটা ম্যাচে একের বেশি ওভার বোলিং করে একমাত্র তার ইকোনমিই ছিল পাঁচের কম। ঢাকা ডমিনেটরসের বিপক্ষে তিনি ৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ছিলেন উইকেট শূন্য।
এমপি/এসএন
