রিয়াদে সুপারস্টার-অলস্টার ‘গোল ফেস্ট’

এই তো কয়েকদিন আগে কাতারে বসেছিল ফুটবল মেলা। বিশ্বকাপের সেই উৎসবের রেশ সবে কেটেছে। এরই মধ্যে সৌদি আরবের রিয়াদে হয়ে গেল সুপারস্টার-অলস্টার ‘গোল ফেস্ট’।
পিএসজি-রিয়াল অলস্টারের প্রীতি ম্যাচটি হতে পারত আট-দশটি বন্ধুত্বপূর্ণ ম্যাচের মতোই। কিন্তু ভাগ্যবিধাতার ইচ্ছে ছিল ভিন্ন। তাই তো ফুটবলপ্রেমীরা সাক্ষী হয়েছে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর হাইব্রিড ফ্রেন্ডলি ম্যাচের। উপভোগ করেছে ৯ গোলের থ্রিলার, যা ৫-৪ গোলে জিতেছে পিএসজি।
কী ছিল না কিং ফাহদ স্টেডিয়ামে রথী-মহারথীদের নিয়ে গড়া দুই দলের লড়াইয়ে? বলতে গেলে, খানিকটা সময় লাগবে খুঁজে বের করতে। কেননা, উত্তেজনা আর রোমাঞ্চের কমতি ছিল না দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো-লিওনেল মেসির দ্বৈরথে। যদি জিজ্ঞেস করা হয়, কী ছিল? গড়গড় বলে দেওয়া যাবে- মেসি-রোনালদো-এমবাপের গোল, নেইমারের পেনাল্টি মিস, হুয়ান বেনার্তের লাল কার্ড এবং সর্বোপরি, আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে ঠাসা ‘অর্থহীন’ একটি ম্যাচের বিশ্বজুড়ে উন্মাদনা ছড়ানোর গল্প এটি।
যাদের দ্বৈরথ দেখতে প্রতীক্ষায় ছিল কোটি কোটি ভক্তরা, তাদের হতাশ করেনি মেসি ও রোনালদো। ম্যাচের সময়কাল ৩ মিনিট হতেই আর্জেন্টাইন খুদেরাজের লক্ষ্যভেদ। নেইমার ও মেসির দারুণ বোঝাপড়ায় পিএসজির লিড হয়ে যায় ১-০। মেসির পর রোনালদো-ঝলক। সৌদি ফুটবলে অভিষেক ম্যাচে আহত বাঘের মতোই গর্জে উঠেছিলেন পর্তুগিজ যুবরাজ। তার সেই গর্জনে ৩২ মিনিটে ভড়কে যান কেইলর নাভাস। সিআর-সেভেনকে থামাতে বাধ্য হন ফাউল করতে। কিন্তু লাভ হয়নি।
পিএসজি গোলরক্ষকের বাজে ট্যাকলের পর প্রযুক্তি ব্যবহার করে পেনাল্টির বাঁশি ফুঁকান রেফারি এবং নাভাসকে দেখান হলুদ কার্ড। ৩৪ মিনিটে শট নিতে এসে নতুন ঠিকানায় গোলের খাতা খুলেন ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো এবং স্বাগতিক শিবিরে ফেরান প্রাণ। লিড হারানোর ৫ মিনিট পর ১০ জনের দলে পরিণত হয় পিএসজি। ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন বেনার্ত। খেলোয়াড়দের সংখ্যা কমে এলেও ৪৩ মিনিটে ফের এগিয়ে যায় প্যারিস ক্লাবটি। মার্কুইনহোসের পাস ধরে লক্ষ্যভেদ করেন এমবাপে।
প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ে পেনাল্টি আদায় করে নেন নেইমার। কিন্তু শট নিতে এসে স্বাগতিক গোলক্ষকের বাধা টপকাতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান তারকা। উল্টো রেফারি বাঁশি ফুঁকানোর আগে মুহূর্তে ফের রিয়াল অলস্টারকে সমতায় ফেরান রোনালদো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও এমবাপে ঝলক। এ যাত্রায় গোল করেননি বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি ফরোয়ার্ড। ৫৩ মিনিটে গোল করান সার্জিও রামোসকে দিয়ে। পিএসজির এই লিড টিকে থাকে কিছু সেকেন্ড। ৫৬ মিনিটে অলস্টারকে ম্যাচে ফেরান ইয়াং হায়ান-সো। ৬০ মিনিটে স্কোরলাইন ৪-৩ করেন এমবাপে। ৭৮ মিনিটে পিএসজির পঞ্চম গোলটি করেন ইকিতিকে। ইনজুরি টাইমে তালিস্কার স্ট্রাইকে শেষতক ৫-৪ ব্যবধানে সমাপ্ত হয় সুপারস্টারে ভরপুর পিএসজি এবং রিয়াদ অলস্টারের হাইব্রিড প্রীতি ম্যাচ।
এসএন
