ফাইনালে মধ্যাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চল
কোনো হিসেব-নিকেশের জটিল সমীকরনে যেতে হয়নি। দেখতে হয়নি বাইলজের ১৬.১১.২.১ ১৬.১১.২.২ না ১৬.১১.২.৩ কার্যকর কবে। আর এ সব কিছু করকে দেয়নি। বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল। সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চলকে ৫ উইকেটে হারিয়ে তারা নিজেরাই ফাইনাল নিশ্চিত করে। সঙ্গি হয়েছে মধ্যাঞ্চলই।
অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলের। যারা সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের পাশেই সিলেট একাডেমি মাঠে বিসিবি উত্তরাঞ্চলকে ৪ উইকেটে হারিয়ে আগেই খেলা শেষ করে অপেক্ষায় ছিল। বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল হেরে গেলে তখন মধ্যাঞ্চল ছাড়া বাকি তিন দলেরই পয়েন্ট সমান ২ করে থাকতো। তখন মধ্যাঞ্চলের সাথে ফাইনাল খেলতো পূর্বাঞ্চলই। কারণ নেট রান রেটে তারা দুইয়ে উঠে এসেছিল। ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে সিলেটেই ১৫ জানুয়ারি।বিসিএলের ফাইনালও খেলেছিল এই দুই দলই। একইভাবে লিগ পর্বে তারা দুই দলই মুখোমুখি হয়েছিল শেষ ম্যাচে। ম্যাচ ড্র হওয়াতে দুই দলই উঠে গিয়েছিল ফাইনালে। সেখানে তখন দক্ষিণাঞ্চলের হারের অপেক্ষার প্রহর গুনছিল বিসিবি উত্তরাঞ্চল। ফাইনালে ৫ দিনের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছিল মধ্যাঞ্চল।
দক্ষিণাঞ্চলের জয়ের লগন এসেছে ছয় মেরে। সৌম্য সরকারকে উড়িয়ে সীমান পার করে দলকে ফাইনালে তুলেন তৌহিদ হৃদয় খেলেন ৬৫ রানের অপরাজিত ইনিংস। দক্ষিণাঞ্চলের সামনে টার্গেট ছিল ২২০ রান অতিক্রমের।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানের তোপে পড়ে বিপদেই পড়েছিল মধ্যাঞ্চল। মাত্র ৯ রানেই দুই ওপেনার মিজানুর ও সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে দেন মোস্তাফিজ। শুরুর এই ধাক্কা মধ্যাঞ্চল সামেেল উঠে আব্দুল মজিদ ( ৪৬), তাইবুর (২৩), মোসাদ্দেক (৪৪), আল আমিনের (২৫) ব্যাটে। এই চারজনসহ দলপতি উইকেটকিপার জাকের আলী(৪) যখন আউট হন তখন দলের রান ৪৭ ওভারে ১৭২। সেখান থেকে শেষ ৩ ওভারে দলের রান পৌছায় ২২০-এ। তার মানে রান যোগ হয় ৪৮। আর টর্নেডো ইনিংসটি খেলেন পেসার আবু হায়দার রনি। তিনি মাত্র ২৭ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন। জুটিতে যে ৪৮ রানে যোগ হয়, সেখানে রনির পার্টনার নাজমুল ইসলামের রান ছিল মাত্র ২ বল খেলেন তিনটি। শেষ ৩ ওভারে রান আসে ১৩, ১৪ ও ২১। এই ৩ ওভারের দুইটি ছিল আবার মোস্তাফিজের করা। এই ২ ওভারে রনি নেন ৪, ৪, ০, ৪, ১ ও ০ এবং ১, ৪,০,৬, ৪, ৬। অপর ওভার করেছিলেন নাসুম আহমেদ। তার ওভারে নেন ০, ৬, ০,১, ১, ৬। মোস্তাফিজ ১০ ওভারে ৬৩ রানে নেন ৪ উইকেট। মেহেদী হাসাসের সংগ্রহে ছিল ২৬ রানে ৩ উইকেট। কামরুল ইসলাম নেন ১ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে দক্ষিণাঞ্চল পিনাক ঘোষ ও এনামুল হকের ব্যাটে ভালোই সূচনা পায়। জুটিতে রান আসে ৬০। এনামুল ২৪ রানে আউট হওয়ার পর মায়শাকুরও (৭) দ্রæত আউট হয়ে যান। হাফ সেঞ্চুরি করার পর পিনাক ঘোষও ৫৪ রানে আউট হয়ে যান দলীয় ৯৬ রানে। এরপর তৌহিদ হৃদয় ও দলপতি জাকির হাসান জুটি বেঁধে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান। জুটিতে ১৬.৫ ওভারে রান আসে ৭৮ । ৪০ রান করে জাকির হাসান মৃত্যঞ্জয়ের শিকার হওয়ার পর তৌহিদ হৃদয় প্রথমে আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান নাহিদুলকে (২৬) নিয়ে ৩৩ রান যোগ করেন। এরপর তিনি মেহেদী হাসানকে নিয়ে জয়ের বাকি কাজ সারেন। তৌহিদ হৃদয়ের ৭৮ বলের ইনিংসে ছিল ১ ছক্কা ও ৩ চারে অপরাজিত ৬৫ রান। মেহেদী হাসান অপরাজিত থাকেন ৫ রানে। হাসান মুরাদ ২৯ রানে ২ উইকেট নেন। একটি করে উইকেট ছিল মোসাদ্দেক, সৌম্য ও মৃত্যুঞ্জয়ের।
এমপি