তামিম ব্যর্থ হলেও সফল সাকিব-মাহমুদউল্লাহ-মোস্তাফিজ
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ওয়ানডে আসরে একদিকে যেমন চলছে ফাইনালে উঠার লড়াই, অপরদিকে আছে জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটারদের নৈপুণ্যও। দলগত নৈপুণ্যে ওয়ালটন মধ্যাঞ্চল টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে ফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রেখেছে। মঙ্গলবার (১১ জানুয়ারি) ২৮ রানে বিসিবি উত্তরাঞ্চলকে হারিয়েছে তারা। প্রথম ম্যাচে তারা ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলকে হারিয়েছিল ২২ রানে। বিসিবি উত্তরাঞ্চল প্রথম ম্যাচে ৮ উইকেটে হারিয়েছিল বিসিবি দক্ষিণাঞ্চলকে। দিনের অপর ম্যাচে বিসিবি দক্ষিণাঞ্চল ৩ উইকেটে হারিয়েছে ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চলকে। দক্ষিণাঞ্চলের এটি ছিল প্রথম জয়, পূর্বাঞ্চলের দুই ম্যাচে দ্বিতীয় হার। পূর্বাঞ্চল ছাড়া বাকি তিন দলেরই ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পূর্বাঞ্চলের ফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক ‘যদি’ নির্ভর। শেষ ম্যাচ তারা খেলবে উত্তরাঞ্চলের বিপক্ষে। এই ম্যাচে তারা যদি জয়ী হয় এবং অপর ম্যাচে মধ্যাঞ্চলের কাছে দক্ষিণাঞ্চল হেরে যায়, সেক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের পয়েন্ট সমান হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে নেট রান রেট বিবেচনা করা হবে। তারকা খেলোয়াড়দের লড়াইয়ে একমাত্র তামিম ইকবাল ছাড়া বাকিরা কম-বেশি সফল হয়েছেন। অপর ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে ছিলেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। দুজনেই মোটামুটি সফল ছিলেন। সাকিব ব্যাট হাতে ৩৩ রানের পাশাপাশি বল হাতে ১০ ওভারে ৪৯ রানে নেন এক উইকেট। মাহমুদউল্লাহ ৫৯ বলে এক ছক্কা ও দুই চারে করেন ৪৩ রান।
তামিম ইকবালের দল পূর্বাঞ্চল হারের পাশাপাশি তিনি নিজেও রান করতে পারেননি। প্রথমবারের মতো মাঠে নেমে তামিম ইকবাল মাত্র ৯ রান করেন। প্রথম ম্যাচ ভালো করতে না পারলেও এই ম্যাচে মোস্তাফিজুর রহমান ভালো করেছেন। ১০ ওভারে ৪৪ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে দক্ষিণাঞ্চল টস জিতে বোলিং নিয়ে পূর্বাঞ্চলকে খুব বেশি রান করতে দেয়নি। ৮ উইকেটে ১৯২ রান করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন দলপতি ইমরুল কায়েস। এ ছাড়া ইরফান শুক্কুর ৩৩, আফিফ ২৯, সোহরাওয়ার্দী শুভ অপরাজিত ২২ রান করেন। মোস্তাফিজ ছাড়া দলের সফল বোলার ছিলেন নাহিদুল। তিনি ১৭ রানে ২ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে দক্ষিণাঞ্চলের হয়ে কেউেই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। কিন্তু সবাই ছোট ছোট অবদান রাখাতে ৪৫.৫ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। মেহেদী হাসান অপরাজিত ৩৭, মায়শাকুর ২৭, নাহিদুল ২৭, জাকির হাসান ২৭ তৌহিদ হৃদয় ২৩ রান করেন। আফিফ ২৬ ও নাঈম হাসান ৩৫ রানে নেন ৩টি উইকেট। ব্যাট হাতে ২৭ ও বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে নাহিদুল হন ম্যাচ সেরা।
সিলেট একাডেমি মাঠে লড়াই ছিল সাকিব বনাম মাহমুদউল্লাহর। দুজনের এই লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন সাকিব। তার দল মধ্যাঞ্চল ২৮ রানে হারিয়েছে মাহমুদউল্লাহর উত্তরাঞ্চলকে। টস হেরে বোলিং করতে নেমে মধ্যাঞ্চলের রানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। ৫ উইকেট হারিয়ে করে ২৬২ রান। সর্বোচ্চ অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস খেলেন দলপতি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আব্দুল মজিদ করেন ৫৩ রান। এ ছাড়া আল আমিন ৪৩, সৌম্য সরকার ৪০ ও সাকিবের ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। শফিকুল ইসলাম ৭১ রানে ২ উইকেট।
জবাব দিতে নেমে নাঈম ইসলামের ৭২, মাহমুদউল্লাহর ৪৩, পারভেজ হোসেন ইমনের ৩০ ও শামিম হোসেনের ২৯ রান সত্ত্বেও উত্তরাঞ্চল ৯ উইকেটে ২৩৪ রানে থেমে যায়। মৃতুঞ্জয় ২১ রানে ৩টি, সৌম্য সরকার ২৮ ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৪১ রানে নেন ২টি করে উইকেট। ম্যাচ সেরা হন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
এমপি/এসআইএইচ