লিটন টেকনিক্যালি অনেক সাউন্ড: মুমিনুল
নিউ জিল্যান্ডের কাছে দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ ইনিংস ও ১১৭ রানে হারলেও প্রাপ্তি ছিল লিটন দাসের সেঞ্চুরি। দলের দু:সময়ে বড় হারকে মাথায় রেখে খেলতে নেমে লিটন দাস খেলেন দৃষ্টি নন্দন ১০২ রানের ইনিংস। যেখানে বলের ব্যবহার ছিল মাত্র ১১৪টি। চার আর ছয়ে মিলে রান এসেছে ৬২। ১৪ চারের সঙ্গে একমাত্র ছক্কা। ছোট্ট এই পরিসংখ্যানে বুঝা যায় লিটন দাস ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রাস ছড়ানো পেসারদের বিপক্ষে কতোটুকু চড়াও হয়ে খেলেছেন। মেজাজ ছিল ওয়ানডে স্টাইলের।
বাংলাদেশ দলের বাজে সময় গেলেও লিটন দাস কিন্তু আছেন দারুন ফর্মে। প্রথম ইনিংসেও তিনি সেঞ্চুরির কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন। ৮৬ রানে আউট হয়ে যান। এর আগে দেশের মাটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষেও তিনি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ১১৪ রানের ইনিংস খেলে, যা ছিল তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। চট্টগ্রামে সেই টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও তার ব্যাট হেসেছিল। করেছিলেন ৫৯ রান। মিরপুরে পরের টেস্টেও তিনি একেবারে মন্দ করেননি। দলের ব্যাটিং ব্যর্থতার মাঝেও তার ব্যাট থেকে এসেছিল ৪৫ রান। লিটন দাসের শেষ চারটি টেস্ট ইনিংস ছিল যথাক্রমে ১১৪ ও ৫৯, ৬ ও ৪৫, ৮৬, এবং ৮ ও ১০২। সব মিলিয়ে তার মোট রান দাঁড়ায় ৪২০। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।
দলপতি মুমিনুলের ভাষ্য মতে বিশ্বমানের খেলোয়াড়। তিনি বলেন, ‘লিটন টেকনিক্যালি অনেক সাউন্ড। লিটনের ব্যাটিং দেখলে তো মনে হয়, ও অনেক বেশি সময় পায়। বিশ্বমানের খেলোয়াড়দের মতো। ব্যাটিং দেখতে খুব ভালো লাগছিল। আমরা সবাই খুব খুশি হয়েছি। এই বছরে টানা দুই সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করেছে সে। দলের সবাই খুশি। আমিও খুব উপভোগ করেছি ওর ব্যাটিং।’
লিটন এমন নয় যে বল খুব বেছে খেলেছেন। ব্যাটিং বলা যায় আগ্রাসীই ছিল। কিন্তু তিনি পারলেও অন্যরা কেন পারলেন না। এর ব্যাখ্যা দিয়ে মুমিনুল বলেন, ‘খারাপ বল ছাড়া অন্য কোনো বলে ও চড়াও হয়নি। যে বলগুলো স্কোর করার মতো, সেগুলো কাজে না লাগাতে পারলে রান হবে না। আমার মনে হয়, দীর্ঘ একটা সময় অপেক্ষা করতে করতে যখন খারাপ বল বেশি পরিমাণে পেয়েছে তখন চড়াও হয়েছে।’
এমপি/এসআইএইচ