মরক্কো-ফ্রান্স, লড়াইটা রক্ষণ বনাম আক্রমণভাগের
গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ, নক আউট পর্বের দুটি- পাঁচ ম্যাচে মরক্কো গোল হজম করেছে মাত্র একটি। সেটিও আত্মঘাতী। পরিষ্কার করে বললে, প্রতিপক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত মরক্কোর জাল চেনেনি। তার মানে, মরক্কোর রক্ষণভাগ যে চীনের প্রাচীরের মতো, তা বলাই বাহুল্য।
ফ্রান্স অবশ্য আক্রমণের দিক থেকে বেশ এগিয়ে। পাঁচ ম্যাচে ফ্রান্স গোল করেছে ১২টি। এমবাপ্পে ৫টি, জিরুদ ৪টি। আজ কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে রাত ১টায় ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে মরক্কো। লড়াইটা যে ফ্রান্সের আক্রমণভাগ বনাম মরক্কোর রক্ষণভাগের, তা বলাই যায়।
গ্রুপ পর্বসহ পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে মরক্কো। গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচ ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র। বেলজিয়ামের সঙ্গে ২-০ গোলে জয়। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কানাডার বিরুদ্ধে জয় ৩-১ গোলে। যে একটি গোল জালে গিয়েছিল সেটাও আত্মঘাতী।
প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেনের সঙ্গে ১২০ মিনিটের লড়াই গোলশূন্য ড্র। টাইব্রেকারে জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে আসে মরক্কো। সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে রোনালদোর পর্তুগালকে ১-০ গোলে হারায় আফ্রিকান দেশটি।
আজ কী হবে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে? ফরাসিদের বিরুদ্ধেও কি জমাট রক্ষণভাগ দেখা যাবে মরক্কোর। মাঠে নামার আগে মরক্কোর রক্ষণভাগ নিয়ে তাই বিশেষভাবে কথা বলেন ফ্রান্স কোচ দেশম। তিনি বলেন, ‘তারা এমন একটি দল যারা দারুণভাবে রক্ষণ সামলেছে। কিন্তু তারা শুধু রক্ষণাত্মকই নয়, তাহলে তারা সেমি-ফাইনালে পৌঁছাতে পারত না। তাদের কিছু আক্রমণাত্মক অস্ত্রও আছে, তবে তা একটি রক্ষণাত্মক ভিতের ওপর নির্ভরশীল, যা খুবই সুসংগঠিত ও কার্যকর।'
/এএস