বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪ | ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শক্তিশালী ফ্রান্সের সামনে ‘নীরব ঘাতক’ মরক্কো

এবারের বিশ্বকাপে ‘নীরব ঘাতক’ মরক্কো। ইতোমধ্যে ঘায়েল করেছে তিন পরাশক্তিকে। গ্রুপপর্বে বেলজিয়ামকে এবং নকআউটে স্পেন ও পর্তুগালকে। এবার শক্তিশালী ফ্রান্সের সামনে আফ্রিকান দলটি। আজ রাত ১টায় (বাংলাদেশ সময়) আল বায়েত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই দল।

ফিফার মেগা ইভেন্টে সেমি খেলাই সর্বোচ্চ সাফল্য মরক্কোর। টুর্নামেন্টের সেরা চারে খেলা প্রথম আফ্রিকান দল তারা। তাদের প্রতিপক্ষ ফ্রান্স দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ফরাসিরা চতুর্থবারের মতো বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠার টার্গেট নিয়ে আজ মরক্কোর মুখোমুখি হবে।

আল বায়েতে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিতে নিরঙ্কুশ ফেবারিট ফ্রান্স। শক্তি-সামর্থ্য এবং অতীত-বর্তমান পারফরম্যান্স, সবদিক থেকে দুই সেমি ফাইনালিস্টের মধ্যে রয়েছে বিস্তর ফারাক। পূর্বে দুই দলের পাঁচবারের সাক্ষাতে কখনোই হারের স্বাদ পায়নি ফরাসিরা। জিতেছে তিনটি এবং ড্র করেছে দুটি।

সবগুলোই ছিল প্রীতি ম্যাচ। অর্থাৎ আজ প্রথমবার বিশ্বকাপে দেখা হবে ফ্রান্স ও মরক্কোর। কঠিন এই লড়াইয়ের আগে তিউনিশিয়ার কীর্তি হতে পারে মরক্কোর আত্মবিশ্বাসের রসদ। কেননা, চলতি বিশ্বকাপ থেকে বিদায়ের আগে দিদিয়ের দেশমের দলকে হারের স্বাদ পাইয়ে দিয়ে গেছে তিউনিশিয়া।

মজার বিষয় হলো, কাতারে মরক্কোই একমাত্র দল যারা এখন পর্যন্ত হারের স্বাদ পায়নি। টুর্নামেন্টে এতদূর পৌঁছানোই দলটির জন্য অবিশ্বাস্য অর্জন। এক কথায়, এখন আর হারানোর কিছু নেই তাদের। তবুও সেমিতে উঠে হাল ছাড়ার পাত্র নন ওয়ালিদ রেগ্রাগুই। মরক্কো কোচ বলে রেখেছেন, জয়ের লক্ষ্য নিয়েই ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে তার শিষ্যরা।

গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে রেগ্রাগুই বলেছেন, ‘আমি জানি আমরা ফেবারিট নই কিন্তু আত্মবিশ্বাসী। কেন বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতে পারব না? দেখিয়ে দেওয়ার খুব ইচ্ছা আমার। আমরা আমাদের মহাদেশের মানসিকতা পরিবর্তন করতে এই টুর্নামেন্টে এসেছি।’

আল বায়েতে ভালো সমর্থনও পাবে মরক্কান ফুটবলাররা। তাদের উৎসাহ জানাতে গ্যালারিতে উপস্থিত থাকবে প্রায় ২০ হাজার ভক্ত। প্রতিপক্ষের এমন পাগলামি কিছুটা হলেও ভীতি ছড়াচ্ছে ফরাসি শিবিরে।

দেশম বলেছেন, ‘মরক্কো সেমিফাইনালে আছে। আমি পরিবেশের জন্য প্রতিকূল শব্দটি পছন্দ করি না কারণ এটি নেতিবাচক। কিন্তু তাদের দুর্দান্ত সমর্থন রয়েছে। মরক্কান ভক্তরা খুব শোরগোল করবে এবং আমার কর্মীরা এ বিষয়টি খেলোয়াড়দের অবগত করেছে। এত জোরালো সমর্থন পাওয়া দুর্দান্ত এবং এ কারণে আমাদের গোল করতে কঠিন হবে।’

এসএন

Header Ad

ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট

ছবি: সংগৃহীত

ইসকন নিষিদ্ধ চেয়ে আবেদনের শুনানিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (২৮ নভেম্বর) মধ্যে সরকারকে পদক্ষেপ জানাতে হবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেন অবনতি না হয় সে বিষয়ে সরকারকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেন।

এর আগে, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) নিষিদ্ধ চেয়ে এবং যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান।

তবে বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যার্টনি জেনারেলকে ডেকে পাঠান আদালত।

অ্যার্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “যে কেউ কোনো অ্যাঙ্গেল থেকে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সরকার জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সাম্প্রতিক ইস্যুতে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।”

তখন আদালত বলেন, তারা উদ্বিগ্ন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যাতে কেউ অবনতি করতে না পারে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) তাকে চট্টগ্রামের আদালতে তোলা হয়। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতে পাঠানোর পথে তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আটকে দেয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা। তাদের সরিয়ে দিয়ে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নেওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় সাইফুল ইসলাম আলিফ নামের এক আইনজীবী নিহত হয়।

Header Ad

নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ

ছবি: সংগৃহীত

অর্থ-মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাদিরা সুলতানার ধমক খেয়ে অজ্ঞান হয়ে পরেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান। গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত একটি সভার কার্যবিবরণীতে স্বাক্ষর আনতে গেলে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় যুগ্মসচিব ড. নাদিরা সুলতানা তাকে ধমক দেন এবং তিনি ধমক খেয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। এ ঘটনায় মন্ত্রণালয়ের সামনে শতাধিক কর্মচারী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে হট্টগোল করেছেন।

তার আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ অর্থ মন্ত্রণালয়ের দ্বিতীয় তলায় অতিরিক্ত সচিব (এপিডি) ওবায়দুর রহমানের রুমের সামনে জড়ো হন কর্মচারীরা। তারা অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব ড. নাদিরা সুলতানার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন কর্মচারী ড. নাদিরা সুলতানার স্বাক্ষর আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে যান। তখন নাদিরা জিয়াউরের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলে এক পর্যায়ে জিয়া অজ্ঞান হয়ে যান।

আসলাম নামে আরেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেন, আমি ওই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলাম এবং যুগ্মসচিব ম্যাডাম আমার সামনেই দুর্ব্যবহার করেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে জিয়াউর রহমান তৎক্ষণাত অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন এবং তিনি ঘটনাস্থলেই দুইবার বমি করেন।

খবর পেয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারি সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবিরের নেতৃত্বে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের কর্মচারীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং চিকিৎসার জন্য অচেতন অবস্থায় উক্ত কর্মকর্তার অফিস কক্ষ থেকে উদ্ধার করে সচিবালয় ক্লিনিকে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী তাকে দ্রুত সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মন্ত্রণালয়ের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে এবং নয় দফা দাবি তুলে। বুধবার সকাল থেকে সচিবালয়ের ভেতরে এ কর্মসূচি পালন করছেন । যা এখনও চলমান।

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, সচিবালয়ে প্রবেশে সবগুলো পথ বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া এ কর্মসূচি ঘিরে সচিবালয় এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

Header Ad

জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস

ফাইল ছবি

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াসহ সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ নভেম্বর) সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য উদ্যোগ নেন তাঁর আইনজীবীরা।

আওয়ামী লীগ এর আমলে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে অন্য তিন আসামিকেও সাত বছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন বিচারিক আদালত। খালেদা জিয়াসহ প্রত্যেককে জরিমানাও করা হয়। এ ছাড়া ট্রাস্টের নামে কেনা কাকরাইলে ৪২ কাঠা জমি বাজেয়াপ্ত করে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে নেওয়ার আদেশ দেওয়াও হয়েছিলো। পরে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন খালেদা জিয়া।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দণ্ড মওকুফ করে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইসকন নিষিদ্ধে সরকারের অবস্থান জানতে চায় হাইকোর্ট
নারী যুগ্মসচিবের ধমক খেয়ে অজ্ঞান কর্মকর্তা, সচিবালয়ে কর্মচারীদের বিক্ষোভ
জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়াসহ সব আসামি খালাস
আইনজীবী সাইফুল হত্যায় আটক ৩০
বিচ্ছেদের পর সামান্থাকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ শুনতে হয়
ইসকনের হামলার নিন্দা ও বিচারের দাবি শিবিরের
ভারতের বিবৃতি বন্ধুত্বের চেতনার পরিপন্থি: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচারের দাবিতে জাহাঙ্গীরনগরে বিক্ষোভ মিছিল
ইউক্রেনে এক মাসে লন্ডনের অর্ধেকের সমান এলাকা দখল রাশিয়ার
লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় নিহত অন্তত ২২
স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু লেজ রেখে গেছে, তারা ষড়যন্ত্র করছে: তারেক রহমান
সহজেই বাংলাদেশকে হারাল উইন্ডিজ
আইনজীবী হত্যায় প্রধান উপদেষ্টার নিন্দা, সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান
এ আর রহমান আমার বাবার মতো: মোহিনী দে
ইসকন আন্দোলনে দেশি-বিদেশি ইন্ধন রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাইম আইয়ুবের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে সমতায় ফিরলো পাকিস্তান
কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, তাকে গ্রেপ্তার নিয়ে কেন এত হইচই
ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ, বেড়েছে দাম
৮০ বছর বয়সেও মডেলিং করবেন রুনা খান
চট্টগ্রামে চিন্ময়ের অনুসারীদের হামলায় আইনজীবী নিহত