সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫ | ৮ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

মেসি ‘আর্জেন্টাইন ঈশ্বর’

প্রতিভাবানদের একজন লিওনেল মেসি। পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দ্বৈরথ কখনো থামাননি তিনি। তবে ২০০৯ সালে রোমে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে রোনালদোর দল রিয়াল মাদ্রিদক উড়িয়ে দিতে বার্সেলোনাকে সাহায্য করেন মেসি। কীভাবে ফুটবল বিশ্বের সেরাদের কাতারে নাম লেখালেন মেসি?

২০০৫-০৬ সালে মেসির পারফরম্যান্সগুলোর মাধ্যমে তাকে নিয়ে উৎসাহের সূচনা ঘটে। যা তাকে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে দেয়। একজন ফরোয়ার্ড অথবা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে মেসির অসাধারণ বল নিয়ন্ত্রণ দক্ষতা, বল নিয়ে দ্রুত দৌড়ানো এবং ফুটবলে অবিশ্বাস্য সম্ভাবনা তৈরির ক্ষমতা তাকে করে তুলেছে ফুটবল বিশ্বের নিখুঁত খেলোয়াড়দের একজন।

একেবারে ছোট্ট একজন খেলোয়াড় থেকে বিশ্বের অন্যতম ক্লাব বার্সেলোনা মেসিকে পূর্ণতা দিয়েছে ধীরে ধীরে। বিশ্বের সবচেয়ে সেরা আসরে তাকে যোগ্যতম করে তুলেছেন তারা। নিজের অসাধারণ দক্ষতায় তার দেশ আর্জেন্টিনায়ও তিনি অর্জন করেছেন ‘দ্য নিউ ম্যারাডোনা’ নামের খ্যাতি। এই অর্জনটি বহন করা খুব কঠিন। কেননা তিনি বিশ্বমঞ্চে দেশকে ভালোভাবে এখনো প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি।

হ্যাঁ, মেসির গল্পটিও অনেক সেরা খেলোয়াড়ের মতো অঙ্কুরেই বিনাশ ঘটত যদি না বার্সা তাকে তাদের দলে নিয়ে না নিত। মেসির জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৪ জুন আর্জেন্টিনার সান্তা ফে নামের একটি প্রদেশের সবচেয়ে বড় শহর রোসারিওতে। তার পুরো নাম লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। অনেকে আদর করে ডাকেন ‘লিও মেসি’।

মেসির বাবা হোসে মেসি একটি স্টিলের কারখানার ম্যানেজার। তার ৪ সন্তানের তৃতীয় লিও। তার মা ফেলিয়া কুচিতিন একটি চুম্বক বানানোর কারখানায় কাজ করতেন। তারা বাবার দিক থেকে ইতালি ও স্পেন থেকে অভিবাসী। তাদের পরিবারটি ফুটবল অত্যন্ত ভালোবাসে। একেবারে ছোট থেকে ফুটবলের প্রতি অত্যন্ত আগ্রহী শিশু হিসেবে বেড়ে উঠেছেন মেসি। তিনি পড়ালেখার বয়স থেকেই ফুটবল খেলেন। তার বাবা একটি স্থানীয় ক্লাব গ্রান্দোলির কোচ ছিলেন। ছোট্ট মেসি সেই দলে খেলোয়াড় হিসেবে যাত্রা শুরু করেন। বাবার অবিশ্বাস্য ফুটবল বোঝার ক্ষমতা এভাবেই বহন করেন মেসি।

পাঁচ বছর বয়সে সেখানে খেলা শুরু করেন মেসি। এরপর চলে যান তার দেশের “নিউওয়েল’স ওল্ড বয়েজে’। তখন থেকেই একজন প্রতিভাবান ফুটবলারের সব দক্ষতা, নৈপুণ্য ও যোগ্যতা প্রদর্শন করেন তিনি। যখন তার সামনে অবিশ্বাস্য ক্যারিয়ার পড়ে আছে ঠিক সেসময় ১১ বছর বয়সে তার জীবন আটকে যায় মুত্যুর করাল থাবায়। বেড়ে উঠার হরমোনের একটি জটিল রোগে আক্রান্ত হন মেসি। ফলে জীবন বাঁচাতে সুদীর্ঘ ও খুব ভালো চিকিৎসার প্রয়োজন তার। মেসির চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য ছিল না তার গরিব বাবা-মায়ের। তবে তার ফুটবল যোগ্যতার মধ্যে কিছু অসাধারণ সম্ভাবনা দেখতে পেলেন, তার মেধায় নজর কাড়ল বার্সেলোনার। তাই তাকে নিয়ে তার মা-বাবা পাড়ি জমান বার্সেলোনায়।

বার্সা তার খেলা দেখে এতটাই সন্তুষ্ট হলো এবং অবিশ্বাস্য একটি শিশু ফুটবলারের দেখা পেল যে, তারা এই ছেলেটিকে বাঁচাতে রাজি হলেন। তারা মেসির সব চিকিৎসার খরচ বহন করবেন বলে জানিয়ে দিলেন। তবে এর প্রতিদানও পেতে শুরু করে বার্সা। ১৭ বছর বয়স থেকে বার্সেলোনার প্রথম দলে খেলা শুরু করেন মেসি। ১৮ বছর বয়স থেকে তিনি আর্জেন্টিনার অন্যতম প্রাণভোমরা। এমনকি বার্সেলোনা অনেক আশা-আকাঙ্ক্ষার মাধ্যমে ব্রাজিলের সুপারস্টার রোনালদিনহো এবং ক্যামেরুনের স্যামুয়েল ইতোকে আনার পরও নিজের প্রতিভা, যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রমাণিত করে যান বার্সার এই ঘরের ছেলে।

রোনালদিনহো ও ইতোকে দলে ভেড়ানোর পরও বার্সেলোনা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে তাদের সমাপ্তি টানতে বাধ্য হয়। কারণ উরুর ইনজুরি কারণে অকালে সেশনটি থামিয়ে দিতে হয় মেসিকে। হাড় ভেঙে যাওয়ায় পরের সেশনেরও প্রথম তিন মাস মাঠে নামতে পারেননি মেসি। তবে সেই ২০০৫-০৬ সেশনের পরের অংশে বার্সেলোনার প্রচারণা, ইউএফএ’র বিজয় রথ ও ফুটবলের প্রশস্তি চলতে লাগল তুঙ্গ বেগে। যখন মেসি ফিরেন পুরো ফর্মে। বার্সার ইতিহাসের সবচেয়ে কম বয়সের খেলোয়াড় হিসেবে তিনি তাদের প্রচণ্ড ও হিংস্র প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেন এল ক্লাসিকোতে। সেই সেশনের ফর্মের সেরা স্বাক্ষর রেখে মেসি শেষ ১৩ ম্যাচে করেন ১১ গোল।

২০০৭ সালে দুর্বল ডিফেন্স নিয়ে শিরোপা ধরে রাখতে মাঠে নামে বার্সা। আরও থমকে যায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে। ফলে ২০০৭-০৮ সেশনটি তাদের জন্য আরও কঠিন হয়ে যায়। তবে বার্সাকে সবকিছু থেকে উতরে দিলেন মেসি। সবই করলেন তিনি। কাটান ইনজুরিমুক্ত আরেকটি মৌসুম। বনে গেলেন তারকাদের তারকা। তার ফর্মের কারণে কাতালান ক্লাবটি নিশ্চিত করে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনাল।

২০০৭-০৮ সেশন বার্সা ও মেসির জন্য হলো ‘এত কাছে তবুও এত দূরে’। ফাইনালে রিয়াদ মাদ্রিদের কাছে হেরে লা লিগার শিরোপা বঞ্চিত হয় তারা। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে তারা হেরে যায় আরেক চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে। এরপর বার্সা শিবিরে যোগ দেন কোচ পেপ গার্দিওলা। তার অধীনে অনন্য হয়ে উঠেন মেসি। উঠে আসেন সেরা উচ্চতায়। ওই সেশনে গোল করেন ৩৮টি। বার্সা ত্রিমুকুটই জয় করে- দি স্প্যানিশ ক্লাব, লা লিগা এবং উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ। তারা তাদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদকে তাদেরই ঘরের মাঠ বার্নাব্যুতে এল ক্লাসিকোতে হারায় ৬ গোল দিয়ে। তবে হজম করতে হয় একটি। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ম্যানচেস্টার হারিয়ে নেয় প্রতিশোধ। দুই ম্যাচেই বার্সেলোনার তুরুপের তাস লিওনেল মেসি করেন গোল।

বার্সেলোনার ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসিকে দেওয়া হয় স্পেনের নাগরিকত্ব। তবে তিনি জাতীয় দল হিসেবে বেছে নেন তার মায়ের দেশ আর্জেন্টিনাকে। তবে ইনজুরির কারণে ২০০৬ বিশ্বকাপ রাঙাতে না পারলেও এর প্রতিদান দেন পরের বছর দলকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে তুলে।

মেসির জীবনের প্রেমের জন্মও আর্জেন্টিনার মেয়েতে। ১৪ বছর বয়সে মারাফেনা লেমোসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান মেসি। কিশোরী লেমোস তখন উঠতি মডেল। ইনজুরি থেকে আরোগ্য লাভের সময় তাদের দু'জনের দেখা ও সম্পর্কের শুরু।

মেসি খুব নিয়মতান্ত্রিক। ফলে জীবননাশ করা কোনো ক্ষতির মধ্যে পড়েননি বিশ্বসেরা এই খেলোয়াড়। তবে তিনি ২০০৬ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগে ইংলিশ ক্লাব চেলসির বিপক্ষে ম্যাচে ভেঙে ফেলেন তার পা। মার্চে তিনি সেল্টিকের বিপক্ষে উরুতে চোট পেয়ে কাঁদতে কাঁদতে ছাড়েন মাঠ। এরপর ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হয় তাকে।

আর্জেন্টাইন ফুটবল ঈশ্বর দিয়াগো ম্যারাডোনার সঙ্গে লিওনেল মেসির তুলনা সব সময়ের। শুরুটা হয় ২০০৭ সালের এপ্রিলে কোপা দেল রে’র একটি ম্যাচে ফেতাফে এফসি’র বিপক্ষে ম্যারাডোনাময় একটি গোল করার পরই। ক্লাসিক ম্যারাডোনার মতো একের পর এক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে মেসি একাই প্রায় অর্ধেক মাঠ বল নিয়ন্ত্রণে রাখেন। ৬ খেলোয়াড়কে কাটিয়ে দারুণ নৈপুণ্যে করেন গোল। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যারাডোনার করা গোলটি স্মরণ করিয়ে দেন মেসি। এরপর থেকে মেসি যেভাবে দক্ষতা ও নৈপুণ্য দেখিয়ে গোল করতে থাকেন তাতে আর্জেন্টাইনদের বিশ্বাস, মেসি এখন ‘আর্জেন্টাইন ঈশ্বর’।

ওএফএস/এসজি

Header Ad
Header Ad

ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ১৪টি অঞ্চলে আজ ঝড়ো হাওয়া ও বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে আবহাওয়া অফিসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই পূর্বাভাস জানানো হয়।

ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বগুড়া, পাবনা, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং সিলেট।

এসব অঞ্চলের উপর দিয়ে পরবর্তী দুই থেকে চার ঘণ্টার মধ্যে ৪৫-৬০ কিলোমিটার বা তারও বেশি গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সকাল থেকেই রাজধানীতে গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। ঢাকায় আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ছয় ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে সাময়িক মেঘলা থাকতে পারে। দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১২ কিমি বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে, যা সময়ের সঙ্গে ৩০-৪০ কিমি পর্যন্ত বাড়তে পারে। দিনের তাপমাত্রাও সামান্য বাড়তে পারে।

সকাল ৬টায় ঢাকায় রেকর্ড করা তাপমাত্রা:

- সর্বোচ্চ: ২৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- সর্বনিম্ন: ২৮.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
- বাতাসে আর্দ্রতা: ৮৭ শতাংশ

চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

সূত্র: আবহাওয়া অধিদপ্তর

Header Ad
Header Ad

গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান

ছবি: সংগৃহীত

চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে বলে আশাবাদ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল করিম। তিনি জানান, বিদ্যমান সব বিদ্যুৎকেন্দ্র সচল রাখতে কাজ করে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ, যাতে গ্রীষ্মকালে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন নিশ্চিত করা যায়।

বার্তা সংস্থা বাসসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বর্তমানে গড়ে দৈনিক ১৪,০০০ থেকে ১৪,৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, যেখানে গড় চাহিদা প্রায় ১৫,০০০ মেগাওয়াট। গ্রীষ্মে এই চাহিদা সর্বোচ্চ ১৭,৮০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যেখানে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭,২৬০ মেগাওয়াট।

গত শনিবার দেশে উৎপাদিত বিদ্যুৎ ছিল ১১,৯৭১ মেগাওয়াট, যার বিপরীতে চাহিদা ছিল ১৪,৪৫১ মেগাওয়াট। রবিবার কর্মদিবস হওয়ায় চাহিদা আরও বেড়ে যায়। যদিও গ্রীষ্মে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে, বিপিডিবি মনে করে এই ঘাটতি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।

চেয়ারম্যান জানান, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পেছনে কারিগরি ত্রুটি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ (যেমন ঝড় বা বৃষ্টিপাত) একটি বড় কারণ। এছাড়া গ্যাসের চাহিদা পূরণে সরকার তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অন্যতম প্রধান জ্বালানি। ইতোমধ্যে স্পট মার্কেট থেকে দুটি কার্গো এলএনজি আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার। এর আগে মার্চে যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানি থেকেও এলএনজি আনা হয়েছে।

বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, লোডশেডিং কমাতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। সাশ্রয়ের লক্ষ্যে সরকারি অফিস, ব্যাংক, বাসাবাড়ি ও মসজিদে এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে না নামানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এভাবে প্রতিদিন ২,০০০ থেকে ৩,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।

সরবরাহ ও চাহিদার ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের নানা উদ্যোগের কারণে চলতি গ্রীষ্মে বিদ্যুৎ পরিস্থিতি তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: বাসস

Header Ad
Header Ad

পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের

ছবি: সংগৃহীত

ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি থেকে একচুলও সরছে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইরানের আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাজেম ঘারিবাবাদি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার ইরানের জন্য একটি ‘লাল রেখা’। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে পরোক্ষ আলোচনাতেও এই অবস্থান থেকে কোনোভাবেই সরে আসা হবে না।

রবিবার ইরানের সংসদের জাতীয় নিরাপত্তা ও পররাষ্ট্র নীতি কমিশনের এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন ঘারিবাবাদি। বৈঠকে তিনি ইতালির রোমে তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার পরোক্ষ আলোচনা সম্পর্কে আইনপ্রণেতাদের বিস্তারিত অবহিত করেন।

কমিটির মুখপাত্র ইব্রাহিম রেজাই জানিয়েছেন, ঘারিবাবাদি আলোচনার মূল বিষয়গুলো তুলে ধরেছেন। বৈঠকে তিনি পুনরায় জোর দিয়ে বলেছেন, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না এবং দেশটির পরমাণু কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

ঘারিবাবাদি আরও বলেন, আলোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় ছিল ইরানের ওপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা—বিশেষ করে মার্কিন কংগ্রেসের আইন এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ। ইরান চায়, এসব নিষেধাজ্ঞা যেন সম্পূর্ণরূপে এবং কার্যকরভাবে প্রত্যাহার করা হয়। শুধুমাত্র প্রতীকীভাবে নয়, বরং ইরানি জনগণের জন্য বাস্তব অর্থনৈতিক সুফল নিশ্চিত করতে হবে।

সূত্র: প্রেস টিভি

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ঢাকাসহ ১৪ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা: আবহাওয়া অফিস
গ্রীষ্মে স্বাভাবিক থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ: বিপিডিবি চেয়ারম্যান
পরমাণু কর্মসূচি থেকে না সরার ঘোষণা ইরানের
পর্যটকদের ভ্যাটের অর্থ ফেরত দেবে সৌদি সরকার
আজ কাতার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
ভুল বোঝাবুঝিতে গাজায় ১৪ জরুরি সেবাদাতা কর্মীকে হত্যা!
জেলা প্রশাসকের দফতরে স্মারকলিপি দিল আওয়ামী লীগ
বিয়ের আশ্বাসে স্বামীর ১১ লাখ টাকা নিয়ে ঘর ছাড়লেন নারী, প্রেমিকের ফাঁদে পড়ে দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার
বিয়ে না করেই পঞ্চাশে অন্তঃসত্ত্বা অভিনেত্রী, তোলপাড় নেটদুনিয়া
পারভেজের মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে মাতম, পাগলপ্রায় মা-বাবা ও একমাত্র বোন
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে রাজি কিউবা মিচেল
আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি করলেন নুর
২০২৫ শেষ হওয়ার আগেই ৫০ সেঞ্চুরিতে দেশের প্রথম এনামুল হক
ভিসা বাতিল করায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ভারতীয় ও চীনা শিক্ষার্থীদের মামলা
একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!