মরক্কোর দর্শকদের জন্য মূল ছাড়ে ৩০টি বিশেষ ফ্লাইট
কেউ বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে রেকর্ড গড়ে। কেউ বা চ্যাম্পিয়ন না হয়েও— যেমন মরক্কো। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উঠে এসেছে সেমিফাইনালে। তাদের এই অগ্রযাত্রা আফ্রিকা মহাদেশের জন্য বিশেষ গর্বের। আফ্রিকার কোনো দেশ হিসেবে সেমিতে খেলা প্রথম দলও মরক্কো। এতোটুকু অর্জনেই দেশটিতে বইছে আনন্দের বন্যা। যা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়।
নিজেদের ছড়িয়ে যাওয়ার মিশনে নামা মরক্কোর এবারের মিশন ফাইনালে উঠা। সামনে বাঁধার প্রাচীর হয়ে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দুর্ধর্ষ ফ্রান্স। খেলা হবে বুধবারে। এই বাধা টপকাতেও বদ্ধ পরিকর আশরাফ হাকিমিরা। এমনিতেই কাতারে এসে হাজির হয়েছেন প্রচুর মরক্কোবাসী। তাদের সেই জনস্রোতকে আরও বেগবান করতে সেমিফাইনাল খেলাকে সামনে রেখে দেশটি থেকে ৩০টি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছে মরক্কোর সরকারি বিমান সংস্থা রয়্যাল এয়ার ম্যারক ( আরএএম)। সোমবার এক বিবৃতি দিয়ে তারা এ বিষয়িটি জানায়। ক্যাসাব্লাঙ্কা থেকে ৩০টি ফ্লাইট যাবে মঙ্গলবার ও বুধবার এই দুই দিনে। সঙ্গে রয়েছে বিশেষ ছাড়। এর আগে মরক্কো নকআউট পর্বে উঠার পর থেকেই বিমানের ফিরতি টিকেটে দামে অনেক ছাড় দিয়েছে। যে কারণে মাঠে মরক্কোর দর্শকদের উপস্থিতিও বেশি চোখে পড়ছে।
মরক্কোর এবারের যাত্রা শুরু হয়েছিল ‘এফ’গ্রুপে ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে। পরের ম্যাচে বেলজিয়ামকে ২-০ গোলে হারিয়ে তাদের চমক শুরু। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে কানাডার বিপক্ষে ২-১ গোলে জয় ছিল প্রত্যাশিত। এরপর নকআউট পর্বে টাইব্রেকারে স্পেনকে কোনো রকম সুযেগা না দিয়ে জয়ী হয় ৩-০ গোলে। ২০১০ সালের চ্যাম্পিয়নদের হারানোর পর মরক্কোর উত্তানে বিশ্ব ছিল চমকিত। সেই চমকে নতুন করে জোয়ার লাগে কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে সরাসরি ১-০ গোলে হারানোর পর।
এবার দেখার পালা দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে তারা কি চমক দেখাতে পারে?
এমপি/আরএ/