ফাইনালের স্বপ্নে বিভোর দালিচ
লুকা মদ্রিচ বাদে কোনো তারকা নেই ক্রোয়েশিয়া দলে। সেই দলটিকেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে তুলেছেন জ্লাটকো দালিচ। এবার শিষ্যদের ফাইনালে তোলার স্বপ্নে বিভোর ক্রোয়াট কোচ।
নকআউটের দুই ম্যাচেই বড় বাঁচা বেঁচে গেছে গত আসরের ফাইনালিস্টরা। শেষ ষোলোতে জাপান-বাধা টপকে গেছে টাইব্রেকারে। একই পন্থায় কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় করেছে টুর্নামেন্টের হট-ফেবারিট ব্রাজিলকে! এবার লাতিনের আরেক পরাশক্তির সামনে তারা। আগামীকাল সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া।
রক্ষণভাগের দক্ষতা এবং মদ্রিচ ও তার সতীর্থদের মানসিক শক্তিতে এতদূর এগিয়েছে ক্রোয়াটরা। যদিও প্রশ্ন উঠেছে তাদের বিরক্তিকর ‘আত্মরক্ষামূলক’ খেলার ধরণ নিয়ে। সোমবার সংবাদে সম্মেলনে এই প্রসঙ্গ উঠতেই দালিচ বলেন, ‘আমরা বিশ^কাপের সেমিফাইনালে। (আপাতত) এখানেই গল্পের সমাপ্তি।’
ক্রোয়েশিয়া কোচ যোগ করেন, ‘ক্রোয়েশিয়া জাতীয় দল চার বছর আগে সমস্ত ছোট দেশের জন্য একটি স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করেছিল, আমরা সেই দেশগুলোকে সেই স্বপ্ন দেখার অধিকার দিয়েছিলাম। চার বছর আগে কেউই ক্রোয়েশিয়া ফাইনালে উঠবে বলে আশা করেনি। তারা আমাদের লড়াই এবং আমাদের মান দেখে উৎসাহিত হয়েছে।’
দালিচের বিশ্বাস, সেমিতে গতিশীল ফুটবল উপহার দেবে দুই দল, ‘ফুটবল অনেক ভালো জিনিস এবং অনেক হতাশা নিয়ে আসে। এটি উভয় দেশের জন্যই একটি দুর্দান্ত ম্যাচ। উভয় দেশের প্রত্যাশা অনেক বেশি। আগামীকাল আমরা কেউই কোনো ছাড় দিব না। আমি উভয় পক্ষ থেকে একটি কঠিন, গতিশীল এবং ভালো মানের খেলা আশা করছি।’
শেষ আটে উত্তেজনা ছড়িয়েছে আর্জেন্টিনা-হল্যান্ড ম্যাচে। সেই ইস্যু সামনে তুলে ধরে ক্রোয়েশিয়া কোচ বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনা-হল্যান্ড ম্যাচটি বেশ জমজমাট ছিল, সেখানে অনেক দ্বৈত এবং অ-ফুটবল সম্পর্কিত পরিস্থিতি ছিল। আমি সত্যিই আশা করি (আগামীকাল) এটি হবে না। আমার জন্য ইংল্যান্ডের বিপক্ষে (২০১৮ সালে) সেমিফাইনাল ম্যাচটি ছিল সর্বকালের সেরা এবং ব্রাজিল ম্যাচ ছিল দ্বিতীয়।’
দালিচ আরও বলেন, ‘আগামীকালের ম্যাচটি হবে তৃতীয়। লড়াইটি জিতে বিশ্বকাপে ব্যাক-টু-ব্যাক ফাইনাল খেলতে পারলে, এটি ক্রোয়েশিয়ার জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ম্যাচ হয়ে উঠবে। আমরা বিশ্বের সেরা চার দলের মধ্যে আছি। এটি ক্রোয়েশিয়ার জন্য একটি অসাধারণ সাফল্য। তবে আমরা আরও চাই।’
প্রতিপক্ষকে সমীহও করছেন ক্রোয়াট কোচ। তিনি বলেছেন, ‘আমরা দুর্দান্ত আর্জেন্টিনার সঙ্গে খেলব, লিওনেল মেসির নেতৃত্বে একটি দুর্দান্ত দল। আমরা আমাদের প্রতিপক্ষকে বিশ্লেষণ করেছি এবং আমরা জানি তারা কীভাবে খেলে, তারা খেলাটি কোথায় নিয়ে যেতে চায়।’
একইসঙ্গে শিষ্যদের ওপর পূর্ণ আস্থা রাখছেন দালিচ, ‘আমি আশাবাদী এবং আমার খেলোয়াড়দের বিশ^াস করি। তাদের সক্ষমতা আছে। অন্যথায় সেমিফাইনালে উঠতে পারত না। আমরা দুটি ম্যাচে অতিরিক্ত সময় খেলেছি কিন্তু আমরা ক্লান্তি নিয়ে আলোচনা করছি না। আমাদের সামর্থ্য, ইচ্ছা এবং শক্তি আছে। আমরা আমাদের সেরাটা দিব।’
এমএমএ/