রোনালদোদের বিদায় করে মরক্কোর ইতিহাস
কাতার বিশ্বকাপ ট্রফি অধরাই থাকল ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। মরক্কোর কাছে হেরে বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয়ে গেল পর্তুগালের। আজ শনিবার (১০ ডিসেম্বর) কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে মরক্কোর কাছে ১-০ গোলে অশ্রুসিক্ত বিদায় পর্তুগিজদের।
অথচ পুরো ম্যাচে পর্তুগালের আধিপত্য ছিল দেখার মতো। প্রথমার্ধে গোল হজম করলেও দ্বিতীয়ার্ধে রোনালদো মাঠে নামার পর উজ্জীবিত ছিল দলটি। একের পর এক আক্রমণ করে গেলেও গোলের নাগাল পায়নি দলটি। অতিরিক্ত সময়ে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া মরক্কোকে বাগে পেয়েও গোল পায়নি রোনালদোরা।
রোনালদোকে সাইড বেঞ্চে রেখে মাঠে নামে পর্তুগাল। ৪ মিনিটে পর্তুগালের প্রথম আক্রমণ। ব্রুনো ফার্নান্দেসের ফ্রি কিক থেকে দুরন্ত হেড জোয়াও ফেলিক্সের। তবে তা রুখে দেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনো। ১২ মিনিটে ব্রুনোর আরও একটি ফ্রি কিকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ তৈরি হয়েছিল। তবে রাফায়েলের শট আটকে যায় মরক্কোর ডিফেন্ডারের গায়ে।
ধীরে ধীরে খেলায় ফেরার চেষ্টা করে মরক্কো। প্রান্ত ধরে কয়েকটি আক্রমণ করেন হাকিমি, জিয়েচরা। কিন্তু খুব একটা সমস্যায় পড়েননি পর্তুগালের গোলরক্ষক কোস্তা। ৩০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট হাকান ফেলিক্স। বল সরাসরি গোলের দিকে যাচ্ছিল কিন্তু ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে বল চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে।
এরপর ৪০তম মিনিটে আবার গোলের সুযোগ পায় পর্তুগাল। বাঁ দিক থেকে ক্রসে ফেলিক্সের শট চলে যায় পোস্টের উপর দিয়ে। লক্ষ্যে থাকলে করার কিছুই ছিল না মরক্কো গোলরক্ষকের। ধারার বিপরীতে ৪২তম মিনিটে দারুণ গোল আদায় করে মরক্কো। নিজেদের মধ্যে বেশ কয়েকটি পাস খেলে বাঁ প্রান্ত ধরে আক্রমণে ওঠে মরক্কো। বক্সে বল ভাসিয়ে দেন এল-ইদ্রিসি। আগুয়ান গোলরক্ষক কোস্তা বলের নাগাল পাওয়ার আগে অনেকটা লাফিয়ে উঠে হেডে গোল করেন এন-নেসিরি।
গোল হজমের পর যেন জেগে ওঠে পর্তুগাল। চালাতে থাকে আক্রমণ। প্রথমার্ধের শেষের দিকে সুযোগও পায় তারা। বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনো ফার্নান্দেসের শট বারে লেগে বেরিয়ে যায়। হতাশ হতে হয় পর্তুগিজদের।
প্রথমার্ধে মরক্কোর সাতটি শট, লক্ষ্যে থেকেছে দুটি। সেখানে পর্তুগালের ৫টি শটের একটি মাত্র ছিল লক্ষ্যে। ৬৬ শতাংশ বল পজিশনে রাখা পর্তুগাল কর্ণার আদায় করে দুটি। আর মরক্কো পায় তিনটি কর্ণার।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল মরক্কোর। ৪৯তম মিনিটে হাকিম জিয়েচের ফ্রিকিক একটু হলে জালে জড়িয়ে যেত। কোনও রকমে তা রক্ষা করেন কোস্তা।
এমসি/এসআইএইচ