বাংলাদেশ জিতলেই ভারত হোয়াইটওয়াশ
মানুষের স্বপ্নপূরণের শেষ নেই। স্বপ্ন যেন আকাশ ছুঁতে চায়। ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরু হওয়ার আগে বাংলাদেশ সিরিজ জিতবে- এমন আশাবাদী লোক খুঁজতে গেলে একজনও পাওয়া যেত কি না সন্দেহ ছিল। হয়তো সর্বোচ্চ চাওয়া ছিল একটি জয়। সেখানে বাংলাদেশ প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে। কিন্তু এখানেই থেমে থাকতে চায় না বাংলাদেশ।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সিরিজের শেষ ম্যাচ জিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম হোয়াইটওয়াশ করার স্বাদ নিতে মুখিয়ে আছে টাইগাররা।
ভারতের বিপক্ষে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ যে বাংলাদেশ এবারই প্রথম পেয়েছে তা কিন্তু নয়। এর আগে ২০১৫ সালেও প্রথম দুই ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু শেষ ম্যাচ বাংলাদেশ জিততে পারেনি। এবার কি পারবে? চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামে খেলা শুরু হবে বেলা ১২টায়।
এবার বাংলাদেশ যে পারবে সে ব্যাপারে যেমন ক্রিকেটাররা বেশি আত্মবিশ্বাসী তেমনি সমর্থকরাও। কারণ ২০১৫ সালে বাংলাদেশে প্রথম দুটি ম্যাচে জিতেছিল শুরু থেকেই ডমিনেট করে। এবার প্রথম দুই ম্যাচ জেতা ছিল স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কেটে। বলা যায়, খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জিতেছে। প্রথম ম্যাচে ১৮৬ রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়েছিল ১৩৬ রানে। এরপর শেষ উইকেট জুটিতে মিরাজ ও মোস্তাফিজ অবিশ্বাস্য ৫১ রান যোগ করে দলকে নাটকীয় জয় এনে দিয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল বাংলাদেশ। এবারও দাঁড়িয়ে যান মিরাজ, সঙ্গী হিসেবে পান অভিজ্ঞ মাহমুদুল্লাহ রিয়াদকে। সপ্তম উইকেট জুটিতে দুজনের ১৪৮ রান বাংলাদেশকে শক্ত অবস্থান এনে দিয়েছিল। মিরাজ করেছিলেন অপরাজিত ১০০, মাহমুদুল্লাহ ৭৭। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছিল ৫ রানে। দুটি ম্যাচেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিততে নেন মিরাজ।
ভারতের মতো দলের বিপক্ষে বাংলাদেশের জন্য এটি নতুন অভিজ্ঞতা। আগে এরকম পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানোর রেকর্ড নেই বললেই ছিল। তাই আত্মবিশ্বাসের টইটুম্বুর হয়ে বাংলাদেশ নামবে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশন নিয়ে। প্রথমবার ভারতকে হোয়াইটওয়াশ সুযোগ হাতছাড়া হলেও দ্বিতীয়বার সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না বাংলাদেশ দল।
শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে এসে ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকভরমেভ বলেন, ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ এর আগে কখনো ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিততে পারেনি। এবার সেই সিরিজ জেতায় আমাদের প্রধান লক্ষ্য। দ্বিতীয় ম্যাচ জয়ের পর দলের সবাই আরও একটি জয়ের অপেক্ষা করছে।
প্রথম দুটি ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি বলেন, আমরা প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ ক্রিকেট খেলছি। বাংলাদেশ সহজে হার মানে না। জয় পরাজয় যাই হোক না কেন, এসব ম্যাচ থেকে অনেক কিছুই শেখা যাচ্ছে।'
তৃতীয় ম্যাচকে সামনে রেখে আজ চট্টগ্রামে বাংলাদেশ দল গা গরম করে নেয়। তবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন না লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মেহেদি হাসান মিরাজ, মোস্তাফিজুর রহমান ও এবাদত হোসেন।
সান্ত্বনার জয় পেতে ভারতীয় দল শেষ ম্যাচে নামবে বিশাল এক হোঁচট খেয়ে। তাদের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ইনজুরিতে পরে দেশে ফিরে গিয়েছেন। তার পরিবর্তে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করবেন লুকেশ রাহুল। এ ছাড়া ইনজুরিতে পড়েছেন পেসার দিপক চাহার ও কুলদীপ সেন।
এমপি/এসজি