মোস্তাফিজের ওভার ছিল টার্নিং পয়েন্ট: মিরাজ
২০১৫ সালে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল অভিষিক্ত মোস্তাফিজের আগুণ ঝরানো বোলিংয়ে। এবার বাংলাদেশ সিরিজ জিতেছি মিরাজের ব্যাটিংয়ে ভারতকে ছারখার করে দিয়ে। সঙ্গে আছে বল হাতে সাফল্যও। মিরাজের দ্যুতি ছড়ানো নৈপুণ্যের মাঝে মোস্তাফিজ কিন্তু দর্শক! কিন্তু তারপরও দ্বিতীয় ম্যাচে আবারও ম্যাচ সেরা হওয়া মিরাজ জানান মোস্তাফিজের করা ইনিংসের ৪৮ নম্বার ওভারই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। এই ওভারে মোস্তাফিজ কোন রান না দিয়ে মেডেন নেন। এই ওভারের আগে ভারতের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৪০ রানের। দ্বিতীয় ওভার শেষে যা দাঁড়িয়েছিল ৪০ রানে। রোহিত শর্মার বিষ্ফোরক ব্যাটিংয়ে শেষ বলে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ছয় রানে। মোস্তাফিজের সেই ওভার নিয়ে ম্যাচ সেরা মিরাজ বলেন, ‘মুস্তাফিজ একটা ওভার খুব ভালো বোলিং করেছে। মেডেন নিয়েছে। ওকে কৃতিত্ব দিতে হবে। ওই সময়ে ওই ওভারটা আমাদের দলের জন্য টার্নিং পয়েন্ট ছিল। খুব ভালো করেছে ওই ওভারটা।'
মোস্তাফিজের ওভারকে মিরাজ ‘টার্নিং’ পয়েন্ট বললেও দলের সব বোলারই ভালো বোলিং করেছে বলে জানান তিনি। মিরাজ বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, আমাদের বোলাররা খুবই ভালো বল করেছেন। মাঝখানে একটা জুটি হতেই পারে। আমরাও তো জুটি গড়েছি। তার পরও ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। মুস্তাফিজ অসাধারণ বোলিং করেছে, সাকিব ভাই, ইবাদত, নাসুম ভালো করেছে। আমার কাছ থেকে যে আশা করেছিল দল, তা করতে পারিনি। কারণ আমার পায়ে ক্র্যাম্প করছিল, টান লাগছিল। তার পরও রিয়াদ ভাই (মাহমুদউল্লাহ) খুব ভালো সমর্থন দিয়ে গেছেন।’
মিরাজ নিজের সপ্তম ওভার করতে এসে মিরাজ শেষ করতে পারেনন। প্রথম বল করার পরই পায়ে ক্র্যাম্প করাতে তিনি বোলিং থেকে সরে যান। এ সময় তিনি ৬.১ ওভারে ৪৬ রান দিয়ে প্রথমে লুকেশ রাহুল ১৪ রানে ও পরে ক্রিজে সেট হয়ে সেঞ্চুরির পথে থেকে দলকে জয়ের দিয়ে নিয়ে যেতে থাকা শ্রেয়াস আইয়ারকে ৮৮ রানে শিকার করেছিলেন। তার অসমাপ্ত ওভার করতে এসে মাহমুদউল্লাহ পরে ৩.৫ ওভার বোলিং করে ৩৩ রান দিয়ে মোহাম্মদ সিরাজের উইকেট নেন।
এমপি/এএস