সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ভারতের দম্ভচূর্ণ, বাংলাদেশের সিরিজ জয়

বিশ্বকাপ ফুটবলের ডামাঢোলে যেখানে অন‌্য সব খেলা আড়ালে পড়ে যায়। সেখানে টাইগারদের গর্জনে জেগে উঠেছে ক্রিকেট। 'বাংলাদেশ, বাংলাদেশ' জয়ধ্বনিতে মুখরিত মিরপুরের হোম অব ক্রিকেট। টাইগারদের গর্জনে কুপোকাত হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তারকা সমৃদ্ধ দল ভারত। দ্বিতীয় একদিনের ম‌্যাচে ভারতকে ৫ রানে হারিয়ে বাংলাদেশ জিতে নিয়েছে একদিনের সিরিজ।

টস জিতে প্রথম ম‌্যাচের জয়ের নায়ক মেহেদি হাসার মিরাজের অপরাজিত প্রথম সেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ২৭১ রান করে। জবাব দিতে নেমে ভারত করে ৯ উইকেটে ২৬৬। এই জয়ের মাধ‌্যমে ফিরিয়ে এনেছে ২০১৫ সাল। তখন ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ভারত বাংলাদেশ খেলতে এসে তিন ম‌্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম‌্যাচ হেরে বাংলাদেশের কাছে প্রথমবারের মতো সিরিজ হেরেছিল।

এবার ভারত বাংলাদেশে খেলতে আসে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর। প্রথম ম‌্যাচে টানটান উত্তেজনার পর এক রানে বাংলাদেশ ম‌্যাচ জিতে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) সিরিজ জয় নিশ্চিত করে নিজেদের কাছে রেখে দেয়। এটি ছিল ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় আর সব মিলিয়ে ৩২তম সিরিজ জয়। তিন ম‌্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম‌্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১০ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে। ম‌্যাচ সেরা হয়েছেন অপরাজিত ১০০ রান ও বল হাতে ৪৬ রানে ২ উইকেট নিয়ে প্রথম ম‌্যাচের মতো মেহেদি হাসান মিরাজ।

একটা সময় মনে হয়েছিল বাংলাদেশ সহজেই জিতবে। কারণ ১০ ওভারে ৩৯ রানে ছিল না ভারতের ৩ উইকেট। বিরাট কোহলি, শেখর ধাওয়ান, ওয়াশিংটন সুন্দর ফিরে যান। শ্রেয়াস আইয়ারের ৮২ ও অক্ষর প‌্যাটেলের ৫২ রানে ম‌্যাচে ফিরে ভারত। এই দুইজনের বিদায়ের পর ভারতের প্রয়োজন ছিল ৭০ বলে ৮৩ রানের। উইকেট মাত্র ৪টি। সেখান থেকে ভারত শেষ বল পর্যন্ত জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল।

আর এটি সম্ভব হয়েছিল অধিনায়ক রোহিত শর্মার কারণে। নিয়মিত ওপেন করা এই ওপেনারের ইনজুরি ভারতের জন‌্য কল‌্যাণ বয়েই এনেছিল প্রায়। তিনি যখন ক্রিজে আসেন, তখন ভারতের জয়ের জন‌্য প্রয়োজন ছিল ৩ উইকেটে ৪৪ বলে ৬৪ রানের। এই ৪৪ বলের ২৮ বল খেলে রোহিত মরা ম‌্যাচকে চাঙা করে তুলেন। তার আগ্রাসী ব‌্যাটিংয়ে কোন দিক দিয়ে যে ক‌্যারিয়ারের ৪৬তম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন সে দিকে কারও ভ্রুক্ষেপই ছিল না। সবার দৃষ্টি তখন ম‌্যাচে। ৪৮ ওভার পর্যন্ত ম‌্যাচ ছিল বাংলাদেশের দিকে। তখন ভারতের প্রয়োজন ৪০ রানের।

বাংলাদেশের জয় অনেকটা নিশ্চিত। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর করা সেই ওভারে রোহিত দুই ছক্কা আর এক চারে ২০ রান নিলে শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ২০ রানের। মাহমুদউল্লাহর ওভারে রোহিত দুবার জীবন পান। একবার এবাদত, আরেকবার এনামুল হক বিজয় ক‌্যাচ ফেলেন। এবাদতের ক‌্যাচ কিছুটা কঠিন হলেও এনামুলের হাতে সরাসরি ক‌্যাচ গিয়েছিল। ভারত ম‌্যাচ জিতলে এই ক‌্যাচ ফেলে দেওয়াটা তখন খুব বড় করে সামনে চলে আসত। যেমনটি প্রথম ম‌্যাচে মিরাজের ক‌্যাচ ফেলে তার মাশুল দিয়েছিল ভারত ম‌্যাচ হেরে। সেই ওভারে শেষ পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ উইকেট পান। তবে রোহিতের নয়, মোহাম্মদ সিরাজের দ্বিতীয়বার জীবন পাওয়ার সময় রোহিত এক রান নিয়েছিলেন। সেটি ছিল ওভারের পঞ্চম বল। শেষ বল সিরাজ খেলতে গিয়ে বোল্ড হয়ে যান।

শেষ ওভার করতে আসেন মোস্তাফিজ। স্ট্রাইকে রোহিত শর্মা। প্রথম বলে কোনো রান নিতে না পারলে গোটা মিরপুর স্টেডিয়াম হর্ষধ্বনি করে উঠে। কিন্তু পরের দুই বলে বাউন্ডারি হাঁকালে নীরবতা নেমে আসে স্টেডিয়ামে। এসময় অনেককেই দুই হাত তুলে প্রার্থনা করতে দেখা যায়। পরের বলে কোনো রান নিতে না পারলে কিছুটা স্বস্তি নেমে আসে। ফলে শেষ দুই বলে প্রয়োজন পড়ে ১২ রানের। পঞ্চম বলে রোহিত শর্মা ছক্কা হাঁকালে শেষ বলে চলে আসে সেই চরম নাটকীয়তা। অধিনায়ক লিটনের সঙ্গে কিছুটা পরামর্শ করে একটু সময় নিয়ে মোস্তাফিজ বল করতে আসেন। ছোড়েন নিজের সেরা অস্ত্রের একটি ইয়র্কার। ব‌্যাটে-বলে সঠিকভাবে সংযোগ ঘটাতে ব‌্যর্থ হন রোহিত। এক রান নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি রান না নিয়ে সোজা ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা ধরেন। বিপরীতে বাংলাদেশ শিবিরে তখন সিরিজ জয়ের উল্লাস।

বিশ্ব ক্রিকেটে ভারতের ব‌্যাটিং লাইন খুবই শক্তিশালী। তাদের কাছে তিনশ রানও নিরাপদ নয়। কিন্তু এবার সেই বিশ্ব সেরা ব‌্যাটিং লাইনকে বাংলাদেশের বোলাররা বোতলবন্দী করেছেন। প্রথম ম‌্যাচে তাদের মাত্র ১৮৬ রানে আটকে রাখা হয়েছিল। আজ বাংলাদেশ যখন ৭ উইকেটে ২৭১ রান করে, তখন মিরপুরের উইকেট বিবেচনায় বাংলাদেশের জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। বাকি ছিল উইকেটে বোলারদের কাজটা সেরে নেওয়া। সেই কাজটি তারা করেছেন নিখুঁতভাবে।

২৭১ রান মজবুত পুঁজি। সেই পুঁজিকে আরও বেশি মজবুত করে তুলতে দরকার ছিল শুরুতেই আঘাত হানা। সেই কাজটি সুচারুভাবে পালন করেন বাংলাদেশের বোলাররা। আক্রমণ শুরু করেন অধিনায়ক স্পিন দিয়ে। অপরপ্রান্তে পেস। এতেই বাজিমাত বাংলাদেশের। এবাদত তার প্রথম ওভারে বিরাট কোহলিকে (৫) বোল্ড করে বাঘের মতো গর্জন করতে থাকেন। সঙ্গে অন‌্যরাও। তৃতীয় ওভারে মেহেদিকে না এনে লিটন মোস্তাফিজকে আক্রমণে এনে সফলতার মুখ দেখেন যখন শেখর ধাওয়ান (৮) ফিরে যান মিরাজের হাতে ক‌্যাচ দিয়ে।

১০ ওভারের মাঝে বাংলাদেশ আরও একটি উইকেট তুলে নেন। সাকিব বল হাতে নিয়েই ওয়াশিংটন সুন্দরকে (১১) আউট করেন মিরাজ ক‌্যাচ নিলে। লুকেশ রাহুলও ফিরেন ১৪ রান করে মিরাজ এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললে। এরপর গড়ে উঠে শ্রেয়াস ও অক্ষরের জুটি। যে জুটিতে তারা ১৬.৩ ওভারে যোগ করেন ১০৭ রান। ১৭ রানের ব‌্যবধানে প্রথমে শ্রেয়াস ও পরে অক্ষর ফিরে গেলে ভারত আবার চাপে পড়ে। শ্রেয়াসকে মিরাজ-আফিফের সহায়তায় এবং অক্ষরকে সাকিবের সহায়তায় এবাদত আউট করেন। শার্দুল ঠাকুর ৭ রান করে ফিরে যাওয়ার পর দৃশ‌্যপটে আসেন রোহিত শর্মা। সৃষ্টি হয় চরম নাটকীয়তা। বাংলাদেশ সহজকে করে তুলে কঠিন। এবাদত ৪৬ রানে ৩টি এবং সাকিব ৩৯ ও মিরাজ ৪৬ রানে নেন ২টি করে উইকেট।

এমপি/এসজি

Header Ad
Header Ad

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাজধানীতে নতুন একটি রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ হতে যাচ্ছে। ওইদিন বিকেল ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের ঘোষণা দেওয়া হবে।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে জাতীয় নাগরিক কমিটির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের বিষয়ে জনমত যাচাইয়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শিরোনামে একটি কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। এই কর্মসূচির আওতায় অনলাইন ও সরাসরি মাঠপর্যায়ে জনমত জরিপ চালানো হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মতামত সংগ্রহ করা হচ্ছে।

সংগঠনের নেতারা জানিয়েছেন, রোববার বিকেল পর্যন্ত তিন লাখেরও বেশি মানুষ এই জরিপে অংশ নিয়েছেন এবং তাদের মতামত প্রদান করেছেন। এই মতামতের ভিত্তিতেই নতুন রাজনৈতিক দলের কাঠামো ও আদর্শ নির্ধারণ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটির নীতিনির্ধারকদের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নতুন রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন নাহিদ ইসলাম। এছাড়া দলের সদস্যসচিব হিসেবে বর্তমান জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের নাম প্রায় চূড়ান্ত বলে জানা গেছে।

নতুন এই রাজনৈতিক দল তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত হতে যাচ্ছে এবং এটি দেশের বিদ্যমান বৈষম্য দূর করতে কাজ করবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। দলের মূলনীতি, লক্ষ্য ও আনুষ্ঠানিক ঘোষণার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জানানো হবে।

Header Ad
Header Ad

বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রাজনৈতিক দল, নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন পারস্পরিক বিভেদ সৃষ্টি করে স্বৈরাচারকে ফিরে আসার সুযোগ না দেওয়া হয়। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, তর্ক-বিতর্কের সময় এমন কিছু যেন না ঘটে, যাতে স্বৈরাচার কিংবা দেশের স্বার্থবিরোধী শক্তি সুযোগ পেয়ে যায়। সংস্কার নিয়ে অযাচিত আলোচনা করলে রাষ্ট্রের মূল সমস্যা আড়াল হয়ে যেতে পারে, তাই এর পরিবর্তে দ্রুত নির্বাচন নিশ্চিত করার দিকে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

সোমবার দুপুরে খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে খুলনা মহানগর বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তারেক রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল। এজন্য বিএনপির নেতাকর্মীদের নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে যাতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে পারলে দেশকে বর্তমান সংকট থেকে মুক্ত করা সম্ভব হবে।

তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরে গণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রয়েছে এবং দলকে আরও গণতান্ত্রিকভাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বহু নেতাকর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, গুম হয়েছেন এবং নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এখনো প্রতিনিয়ত নেতাকর্মীরা গায়েবি ও মিথ্যা মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন। এসব কেবল জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

তিনি বলেন, দলের ভেতরে গণতান্ত্রিক চর্চা শক্তিশালী হলে, নেতৃত্ব সঠিক ব্যক্তিদের হাতে গেলে দল সুসংগঠিতভাবে এগিয়ে যাবে। একইভাবে দেশের মধ্যে গণতান্ত্রিক চর্চা বাড়লে জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রকৃত সমস্যা নিয়ে কাজ করতে পারবেন। অতীতে কীভাবে গণতন্ত্র ধ্বংস করা হয়েছে এবং নিরীহ মানুষ নির্যাতিত হয়েছে, তা আমরা দেখেছি। বিশেষ করে গত জুলাই-আগস্ট মাসে ১৪০০ নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করতে হলে শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্যব্যবস্থা, কৃষি খাত ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির দিকে নজর দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, যদি আমরা এসব বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা না নিই, তাহলে দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

তারেক রহমান আরও বলেন, স্বৈরাচার সবকিছু ধ্বংস করে দেশ থেকে পালিয়েছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর আগে বলেছিলেন, এই স্বৈরাচার একদিন লুটপাট করে দেশ ছেড়ে পালাবে—আজ সেটাই সত্য হয়েছে। আমরা এখন সংস্কারের কথা বলছি, কিন্তু যদি শুধু এই বিষয়ে অযাচিত আলোচনা চালিয়ে যাই, তাহলে জনগণের প্রকৃত সমস্যাগুলোর সমাধান সম্ভব হবে না।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারী উন্নয়ন, শিক্ষা, কৃষি ও স্বাস্থ্য খাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা তুলে ধরেন তারেক রহমান। অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। গণতন্ত্রের চর্চা যত বেশি হবে, ততই রাজনৈতিক প্রক্রিয়া স্বচ্ছ হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ কারণেই বিএনপি দলের মধ্যে গণতান্ত্রিকভাবে নেতা নির্বাচন করছে।

সম্মেলনের উদ্বোধক বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান আগামী নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তার বক্তব্যের সময় নেতাকর্মীরা হাত তুলে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

সকালে সাড়ে ১০টায় সম্মেলন শুরু হয়। নেতাকর্মীরা বিভিন্ন রঙের ক্যাপ-টি শার্ট পরে ও প্ল্যাকার্ড হাতে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন। দীর্ঘ ১৬ বছর পর আয়োজিত এই সম্মেলনে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যায়।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, শামীমুল ইসলাম শামীম, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, বিএনপি নেতা সৈয়দা নার্গিস আলী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, কাজী মিজানুর রহমান, কে এম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, শেখ মোহাম্মদ আলী বাবু ও মুর্শিদ কামাল।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা। সাংগঠনিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন এবং শোক প্রস্তাব পাঠ করেন সৈয়দা রেহানা ঈসা।

নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার জন্য যা ইচ্ছা তাই করেছেন। কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনিন বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।

বিকেলে জেলা স্টেডিয়ামে শুরু হয় কাউন্সিল অধিবেশন। সম্মেলনে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের তিনটি পদে ১২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোটার সংখ্যা ছিল ৫০৫। উল্লেখ্য, খুলনা মহানগর বিএনপির সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর। সর্বশেষ ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর গঠিত হয়েছিল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি।

Header Ad
Header Ad

সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা

ছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর সেখানে পর্যটক যাতায়াতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। সোমবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে, যেখানে ৯৪টি স্থাপনা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “সাজেকে পর্যটক গমন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।”

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুবর্ণ দেব বর্মনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, আগুনে ৩২টি রিসোর্ট, ৩৫টি বসতবাড়ি, ২০টি দোকান এবং ৭টি রেস্টুরেন্ট সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত বসতবাড়িগুলোর মধ্যে ১৯টি ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর এবং বাকিগুলো লুসাই জনগোষ্ঠীর।

অন্যদিকে, রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের মিডিয়া উইংয়ের সহকারী কমিশনার ইমতিয়াশ ইয়াসিন জানিয়েছেন, অগ্নিকাণ্ডে মোট ১২০ থেকে ১৪০টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।

সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা জানান, “সোমবার দুপুর পৌনে ১টার দিকে প্রথমে ইকো ভ্যালি রিসোর্টে আগুন দেখা যায়, পরে তা আশপাশের অন্যান্য রিসোর্টে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় জনগণ, সেনাবাহিনী ও পুলিশ আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়।”

পরবর্তীতে, বাঘাইছড়ি, দিঘিনালা, খাগড়াছড়ি, পানছড়ি ও রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ১১টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে দীর্ঘ চেষ্টার পর বিকেল ৫টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকের হোসেন বলেন, “বিকেল ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও নতুন করে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে, সে জন্য পানি ছিটানো হচ্ছে। তবে পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় পানি সংগ্রহে সমস্যা হয়েছে।”

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক হাবিব উল্লাহ বলেন, “প্রকৃত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেওয়া হবে।”

সাজেক ভ্রমণ বন্ধের ঘোষণার ফলে পর্যটন খাত সাময়িকভাবে ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার পর্যটকদের জন্য সাজেক উন্মুক্ত করা হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার
বিভেদের সুযোগ নিয়ে স্বৈরাচারের পুনরাবৃত্তি হতে দেওয়া যাবে না: তারেক রহমান
সাজেক ইকো ভ্যালিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর পর্যটন নিষেধাজ্ঞা
রোজা সামনে রেখে খেজুরের দাম কমেছে ৪০ শতাংশ!
সন্ধ্যার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা টের পাবেন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিমান ঘাঁটিতে হামলা ও যুবক নিহতের ঘটনার ব্যাখ্যা দিল আইএসপিআর
পদত্যাগ করতে রাজি জেলেনস্কি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার গায়েবানা জানাজা
জেনে নিন খেজুরের পুষ্টিগুণ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা
মিঠাপুকুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ, ভোগান্তিতে গ্রাহকরা
সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সাজেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে
মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি