অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই রামোসের কীর্তি
ফুটবল গোলের খেলা গোল না করলে ভালো খেলার কোন মূল্যই নেই। এরকম উদাহরণ ভুরি ভুরি দেওয়া যায় তার জন্য খুব দূরে যেতে হবে না। মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলর ম্যাচে মরক্কোর বিপক্ষে স্পেন নান্দনিক এবং একচেটিয়া খেলা খেলেও কোন গোলে মুখ দেখেনি। পরে টাইব্রেকারে হেরে যায় ৩-০ গোলে। এদিক দিয়ে পর্তুগালের গঞ্জালো রামোসকে মহা ভাগ্যবানই বলা যায়। জাতীয় দলের হয়ে শুরুতেই একাদশে থেকে তিনি সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করার অনন্য কীর্তি স্থাপন করেছেন। এই এক হ্যাটট্রিকে তার নামের পাশে জড়িয়ে গেছে বেশ কয়েকটি রেকর্ড।
একেতো জাতীয় দলের হয়ে শুরু থেকেই প্রথম একাদশে খেলে হ্যাটট্রিক করা। যে হ্যাটট্রিক আবার কাতার বিশ্বকাপের প্রথম।
রামোস এই হ্যাটট্রিক করে নাম লিখেছেন পর্তুগালের কিংবদন্তি ফুটবলার ইউসেবিওর পাশে। ১৯৬৬ সালে উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিকসহ চারগোল করে ছিলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে পর্তুগাল প্রথমে তিন গোলে পিছিয়ে ছিল। পরে তারা ম্যাচ জিতেছিল ৫-৩ গোলে।
গঞ্জালো রামোসের এই হ্যাটট্রিক বিশ্বকাপে পর্তুগালের হয়ে চতুর্থ। অপর দুটি হ্যাটট্রিক করেছিলেন পাওলেতা তা ও রোনালদো। পাওলেতা হ্যাটট্রিক করেছিলেন ২০০২ সালে গ্রুপ পর্বে পোল্যান্ডের বিপক্ষে। ২০১৮ সালে রোনালদোর হ্যাটট্রিকও ছিল একইভাবে গ্রুপ পর্বে স্পেনের বিপক্ষে।
আরেকটি দিক দিয়ে রামোস নিজের নাম লিখেছেন জার্মানির মিরোস্লাভ ক্লোসার পাশে। ক্লোসা ২০০২ সালে হ্যাটট্রিক করেছিলেন বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে শুরু থেকেই একাদশে নেমে। রামোস এর আগে পর্তুগালের হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছিলেন বদলি খেলোয়াড় হিসেবে। গোল করেছিলেন একটি।
এমপি/এএস