ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় মুহূর্তের অপেক্ষায় সেনেগাল
সামনে থ্রি লায়ন্স। হোক। তবুও বড় মুহূর্তের অপেক্ষায় সেনেগাল। ফুটবলের জনকদের বিপক্ষে নিজেদের উন্নতি ছাপ রাখতে চায় আফ্রিকান দলটি। অন্যদিকে নকআউটে সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে ভালো পারফর্যান্সের অপেক্ষায় ইংল্যান্ড।
আজ (৪ ডিসেম্বর) আল বায়েত স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে সেনেগাল। দুই দলের শেষ ষোলোর ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। ফুটবলে এটাই প্রথম সাক্ষাৎ দুই দলের।
ঐতিহ্য, শক্তি-সামর্থ্য এবং অতীত ও সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স, সব দিক বিবেচনায় ম্যাচে ‘নিরঙ্কুশ’ ফেবারিট থ্রি লায়ন্সরা। এটা বুঝতে পারছে ব্ল্যাক স্টারসরা। এটাও মানছে যে ইংলিশ মিডিয়া এবং ভক্তরাও চাপ সৃষ্টি করবে তাদের উপর।
তবে সেসব সামলে বড় দলকে হারানোর বড় স্বপ্নই দেখছে সেনেগাল। শনিবার সংবাদ সম্মেলনে দলটির সহকারী কোচ রেগিস বোগার্ট বলেন, ‘ইংল্যান্ডকে হারানো অনেক বড় মুহূর্ত হবে। আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য আগামীকালের (আজকের) ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
অসুস্থতার কারণে সেনেগালের সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন না সেনেগাল কোচ আলিউ সিসে। তার অনুপস্থিতিতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বোগার্ট বলেছেন, ‘আমরা জানি যে ইংল্যান্ড পাঁচটি সেরা দেশের একটি। আমাদের যে অগ্রগতি হয়েছে তার বাস্তব প্রতিফলন দেখানোর জন্য এই পর্যায়ে তাদের মতো একটি দলকে পরাস্ত করতে হবে।’
বোগার্টের সুরে সুর মিলিয়েছেন আলফ্রেড গোমিসও। সেনেগাল গোলরক্ষক বলেছেন, ‘ইংলিশ মিডিয়া আমাদের অবমূল্যায়ন করবে, এটাই স্বাভাবিক। সত্যি বলতে আমি এটা আশা করি যে ইংলিশরাও আমাদের অবমূল্যায়ন করবে। তবে আমরা এগারোর বিপক্ষে এগারো হব এবং আফ্রিকান ভক্তরা আমাদের পাশে থাকবে।’
এটা নিশ্চিত করেই বলা যায়, ইংল্যান্ডকে হারাতে আজ তাদের সেরাটা খেলতে হবে সেনেগালকে। সবশেষ বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল খেলেছে থ্রি লায়ন্সরা। ওই আসরে কলম্বিয়ার বিপক্ষে তাদের শেষ ষোলোর বাধা টপকাতে হয়েছিল টাইব্রেকারে জিতে। সবশেষ শুটআউটে অবশ্য জয়ের দেখা পায়নি গ্যারেথ সাউথগেটের দল।
গত ওয়েম্বলিতে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে টাইব্রেকারে হারিয়েছিল ইতালি। তাই আজ নকআউট শুরুর আগে পেনাল্টি শুটআউট নিয়েও বিশেষ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে থ্রি লায়ন্সরা।
কোচ সাউথগেট বলেছেন, ‘আমরা যা করেছি তা থেকে খুব বেশি দূরে সরে যাচ্ছি না। তবে এমন কিছু দিক আছে যেখানে আমাদের আরও উন্নতির প্রয়োজন এবং আমরা কিছু সময়ের জন্য এটি নিয়ে কাজ করছি।’
এসজি