শাহিন চোট না পেলে চিত্র ভিন্ন হতে পারত: বাবর

দলের মূল পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ফাইনালের মঞ্চে তিনি করতে পারলেন না পুরো ৪ ওভার। ১৩৭ রানের পুঁজি যেখানে পাকিস্তানের, সেখানে শাহিনের চোট প্রভাব রেখেছে ভালোমতো।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৫ উইকেটে হারের পর পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, শাহিন ইনজুরিতে না পড়লে চিত্র ভিন্ন হতে পারত। তবে এটা ম্যাচেরই অংশ।
‘এত কাছে তবু কত দূরে’র আক্ষেপে পুড়ছে পাকিস্তান শিবির। ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর ২০০৯ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান। ১৩ বছর অপেক্ষার পর আবার বিশ্বকাপের ফাইনালে আসে বাবর আজমরা। কিন্তু ভঙ্গুর ব্যাটিংয়ের পর দুর্বল বোলিং হতাশ করে তাদের।
৮ উইকেটে ১৩৭ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ইংল্যান্ড ১ ওভার হাতে রেখে পৌঁছায় জয়ের বন্দরে। বাবর আজম বলেন, ‘আমাদের ২০ রান কম ছিল স্কোর বোর্ডে। তারপরও শেষ পর্যন্ত লড়াইটা ছিল অবিশ্বাস্য।’
১২.৩ ওভারে শাদাবের বলে শাহিন ক্যাচ নেন ব্রুকের। সেই ক্যাচ নিতে বাউন্ডারি লাইনে পড়ে গুরুতর চোট পান। এর প্রভাব পড়ে তার বোলিংয়ে। আগে দুই ওভারে ১২ রান দেন শাহিন আফ্রিদি।
নিজের তৃতীয় ওভারে বল করতে এসে পারেননি তিনি। এক বল করেই মাঠের বাইরে চলে যান তিনি। ঠিক তখন ২৯ বলে ৪০ রান দরকার ছিল ইংল্যান্ডের। কে জানত, শাহিন দুটি ওভার করতে পারলে ম্যাচের চিত্রও বদলে যেতে পারত।
ম্যাচ শেষে বাবর আজম বলেন, ‘আমাদের বোলিং অন্যতম সেরা। দুর্ভাগ্যজনক শাহিনের ইনজুরি রেজাল্টে প্রভাব রেখেছে। কিন্তু এটাও বলব আমি, এটা ম্যাচেরই অংশ।’
এসজি
