মেলবোর্নে রোদ-বৃষ্টির খেলা
পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল আজ অনুষ্ঠিত হবে কি, হবে না সে শঙ্কা বেশ ভালো করেই পেয়ে বেসেছিল গতকাল শনিবার মেলবোর্নের ক্রিকেট সমর্থকদের। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ছিল সারাদিন মুষলধারে বজ্রপাতসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।
সেই শঙ্কা আরও ঘনিভূত হয়েছিল শনিবার রাত ১০টার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হলে। সঙ্গে ছিল খুব বাতাস। অনেকেই তখন বলাবলি শুরু করেন রাতেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। না জানি সকালে আরও কত বেশি বৃষ্টি হয়। খেলা না হওয়ার পক্ষেই সবাই মোটামুটি এক রকম নিশ্চিত হয়ে যান। কিন্তু সকাল থেকে মেলবোর্নের আকাশ সম্পূর্ণ বিপরীত। মেঘের দেখাই নেই। বৃষ্টি হবে কোথা থেকে। রোদ- উজ্জ্বল আকাশ। সময় পেরোনোর সঙ্গে সঙ্গে রোদের তেজও বাড়তে থাকে। দুপুর গড়িয়ে যায়। রোদের তেজ বাড়তেই থাকে। গুগলে গিয়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে সবারই মন আরও বেশি উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠে। বৃষ্টির যে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল সেখানে তা কেটে যাওয়া দেখাচ্ছে।
খেলা শুরুর আগে হালকা হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখালেও, ঠিক সন্ধে ৭টায় যখন খেলা শুরু হবে,সে সময় দেখাচ্ছে বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনাই নেই। আকাশ দেখাচ্ছে পুরোটাই পরিষ্কার। কিন্তু বিকেল ৪টার পর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে শুরু করে। রোদ আড়ালে পড়ে যায়। কিছুক্ষণ পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও শুরু হয়। এতে করে অনেকেই আবার খেলা শুরু নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিন্তু গুগলে আবার আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে সবাই আশাবাদী হয়ে ওঠেন। সেখানে খেলা শুরু সময় বৃষ্টি র সম্ভাবনা দেখাচ্ছে না। এভাবেই মেলবোর্নে বলছে রোদ বৃষ্টির খেলা। এই খেলার মাঝেই দর্শকরা মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যেতে শুরু করেছেন, যেখানে পাকিস্তানের সমর্থকদেরই চোখে পড়ছে বেশি। বলা যায় সর্বত্রই পাকিস্তানি সমর্থকরা তাদের জাতীয় পতাকা হাতে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে পুরো মেলবোর্ন রং যেন ধারণ করেছে সবুজ।
ট্রেন, বাস, প্রাইভেট কার, ট্রামে করে সবাই ছুটছেন মেলবোর্ন ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দিকে। বাস ও ট্রেন স্টেশনগুলোতে একটু পরপরই মাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে স্টেডিয়ামে যাওয়ার উপায় বলে দিয়ে। রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। রেলস্টেশনগুলোতে একটি গেট খোলাই রাখা হয়েছে যাতে শুধুমাত্র টিকেট পাঞ্চ করেই চলে যেতে পারেন দর্শকরা।
এমপি/এসএন