শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ৫ আশ্বিন ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেলবোর্নে শেষ হাসির অপেক্ষায় পাকিস্তান-ইংল্যান্ড

একটি আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফাইনাল ম‌্যাচ। ফাইনাল মানেই উত্তেজনায় ভরপুর। একটি মনকাড়া ম্যাচ। কিন্তু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যেন এর ব‌্যতিক্রম। বড্ড বেশি ভারত কেন্দ্রিক! আইসিসির যেকোনো আসর মানেই যেন ফাইনালের এক পাশে ভারত থাকা। তা না হলে যেন ফাইনালের ‘মসলা’ ঠিকমতো হয় না। নিরামিষ ‘ভুরিভোজ’ হয়ে পড়ে।

ক্রিকেট বিশ্বেও বিষয়টি অনেকটা ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। আইসিসিও যেন চায় ভারত অন্তত ফাইনাল খেলুক। না হলে ক্রিকেট মার্কেটিং অনেক ক্ষতির মুখে পড়ে। গত কয়েক আসরের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরেও ভারত ফাইনালে উঠতে পারেনি। কাজেই মেলবোর্নের এক লাখ ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের ফাইনাল যেন অনেকটা নিরামিষ ভুরিভোজের মতোই আগামীকাল (১৩ নভেম্বর) রবিবার অনুষ্ঠিত হবে।

ফাইনালকে কেন্দ্র করে মেলবোর্ন প্রস্তুত হচ্ছে। কিন্তু সেখানে যেন কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। বিয়ের বাড়ির সাজ মনে হচ্ছে না। ভারত থাকলে সেখানে অন‌্যরকম আবহ থাকত। কিন্তু আইসিসি ফাইনালের আগেই ম্যাচের উত্তাপ সৃষ্টি আয়োজন করেছে দুই দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে সমর্থকদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে। এসময় দুই দলের সমর্থকদের, বিশেষ করে পাকিস্তানের সমর্থকদের বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। এসবই কিন্তু ম‌্যাচের আগের আবহ। ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার পর তা হারিয়ে যায়। দুই দলই অবতীর্ণ হয় শিরোপা যুদ্ধে। তাদের কাছে ভারত ফাইনালে আছে কি নেই সেটার কোনো গুরুত্ব থাকে না।

ফাইনালও অনেক সময় হয়ে উঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভরপুর। যেমনটি হয়েছিল ২০১৯ সালে ইংল‌্যান্ড ও নিউ জিল‌্যান্ডের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে। যেটিকে বলা হয়ে থাকে আইসিসিরি সেরা ফাইনাল। ইংল‌্যান্ড ও পাকিস্তানের কাছেও এরকম একটি ফাইনাল সবাই প্রত‌্যাশা করছেন। ভারত না থাকলেও এক লাখ দর্শক ধারণ ক্ষমতার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ভরে উঠবে। তবে সেখানে বাধ সাধতে পারে ক্রিকেটের আজন্ম শত্রু বৃষ্টি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে সারাদিন। ম্যাচ মাঠে গড়াতে না পারলে সেক্ষেত্রে পরের দিন সোমবার রিজার্ভ ডেতে চলে যাবে খেলা। সোমবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। বৃষ্টির কারণে পুরো খেলা না হলেও অন্তত ১০ ওভার খেলা আয়োজনের চেষ্টা করবে আইসিসি। কাট আউট টাইম রাখা হয়েছে দুই ঘণ্টা।

দুই দলই যেভাবে সেমিতে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে তাতে করে জমজমাট একটি ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় আছে ক্রিকেট বিশ্ব। অথচ দুই দলই ছিল দুই গ্রুপের রানার্সআপ। পাকিস্তান যেভাবে নিউ জিল্যান্ডকে আর ইংল‌্যান্ড ভারতকে ‘বধ’ করেছে দুটি সেমি ফাইনাল এরকম এক পেশে হবে, তা ছিল সবার ভাবনার অতীত। পাকিস্তান ও ইংল‌্যান্ডকে এভাবে অনায়াসে ফাইনালে তোলার কারিগর ছিলেন দুই দলের উদ্বোধনী জুটি। দুই দলের সামনেই কিন্তু টার্গেট কম ছিল না। পাকিস্তানকে ১৫২ রানের টার্গেট দিয়েছিল নিউ জিল‌্যান্ড। ইংল‌্যান্ডের সামনে ভারতের ছুড়ে দেওয়া টার্গেট ছিল আরও বেশি, ১৬৮। কিন্তু পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজম এবং ইংল‌্যান্ডের অ‌্যালেক্স হেলস ও অধিনায়ক জস বাটলার ‘খুনি’ হয়ে উঠেছিলেন। দ্বিতীয় সেমিতে ইংল‌্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী হলেও প্রথম সেমিতে পাকিস্তানও ছিল সেই পথেই। কিন্তু ১০৫ রানে গিয়ে ভেঙে গিয়েছিল জুটি অধিনায়ক বাবর আজম আউট হওয়ায়। পরে তারা আরও ২ উইকেট হারিয়ে ম‌্যাচ জিতেছিল ৭ উইকেটে।

মেলবোর্নে ফাইনাল ম্যাচ মঞ্চস্থ হওয়ার আগে খুব বেশি করে সামনে চলে এসেছে ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্মৃতি। এই মেলবোর্নেই মঞ্চস্থ হয়েছিল পাকিস্তান ও ইংল‌্যান্ডের বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম কোনো ফাইনাল। যেখানে ইমরানের খানের পাকিস্তান জয়ী হয়েছিল ২২ রানে। ২০১৫ সালেও কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল‌্যান্ডের মাঝে এই মেলবোর্নেই। ৭ উইকেটে ম‌্যাচ জিতে চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ১৯৯২ সালের ফাইনাল ফিরে আসার কারণ ঘটনা প্রবাহ।

একে তো একই প্রতিপক্ষ। দ্বিতীয়ত পাকিস্তানের ফাইনালে উঠে আসার গল্প। সেবার তারা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেমিতে উঠে এসে পরে বিশ্ব জয় করেছিল। এবারও অনেকটা তাই। প্রথম দুই ম‌্যাচ হেরে যাত্রা শুরু করা পাকিস্তানের সেমিতেই আসার কথা ছিল না। কিন্তু নেদারল‌্যান্ডসের মতো পুচকে দলের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা, যারা জিতলেই চলে যেত সেমিতে, সেখানে তারা হেরে বসে। আর দুয়ার খুলে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সঙ্গে বাংলাদেশেরও। দুই দলের অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে ৫ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে পাকিস্তান আজ শিরোপা জেতার শেষ ধাপে।

পাকিস্তানের মতো ইংল‌্যান্ডের সেমিতে আসার রাস্তা এতটা কণ্টকাকীর্ণ ছিল না। শেষ ম‌্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তারা টিকিট নিশ্চিত করেছিল। তাদের বিজয়ে বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার। অনেকেই ১৯৯২ সালের ফাইনাল মঞ্চয়ানের পুনরাবৃত্তি দেখছেন। তবে এসবই গাণিতিক হিসেব। ফাইনালে এর কোনো মূল‌্যই নেই। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম আজ কিন্তু চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ার ব‌্যাপারে প্রচণ্ড রকমের আত্মবিশ্বসাী।

শনিবার (১২ নভেম্বর) তিনি ম‌্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা প্রথম দুই ম‌্যাচ হারলেও পরের ৪ ম‌্যাচ জিতে এ পর্যায়ে এসেছি। আমাদের এ ঘুরে দাঁড়ানো ফাইনালের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। ফাইনালে আমরা এই ছন্দ ধরে রাখতে চাই। ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।

অন্যদিকে ইংল‌্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার পাকিস্তানকে খুবই শক্তিশালী দল হিসেবে উল্লেখ করলেও ফাইনালে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে চান। তিনি বলেন, তারা (পাকিস্তান) চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে। এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলা খুবই চ‌্যালেঞ্জিং। আগেও আমরা তাদের বিপক্ষে বেশ কিছু ম‌্যাচ ভালো খেলেছি। আশা করি ফাইনালে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারব।

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে ইংল‌্যান্ড। পাকিস্তানের জয়ের দ্বিগুণ তাদের জয়। ২৮ বারের মোকাবিলায় ইংল‌্যান্ড জয়ী হয়েছে ১৮ বার। পাকিস্তান জিতেছে ৯ বার। একবার ম্যাচ পরিত‌্যক্ত হয়েছিল। আবার‍ দুই দলের সর্বশেষ দ্বি-পাক্ষিক সিরিজেও শেষ হাসি হেসেছিল ইংল‌্যান্ড। সাত ম‌্যাচের সিরিজে লড়াইও হয়েছিল দারুণ। শেষ দুই ম‌্যাচ জিতে ইংল‌্যান্ড সিরিজ জিতে নিয়েছিল ৪-৩ ব‌্যবধানে।

আসরে ব‌্যক্তিগতভাবে দৃষ্টি ফেরালে ব‌্যাটিংয়ে দেখা যায় সেমি ফাইনালে বিজয়ী দুই দলের উদ্বোধনী জুটিই আশার বাতি। পাঁচ ম‌্যাচের সবকটিতে ব‌্যাট করে অ্যালেক্স হেলস ২১১ ও জস বাটলার ১৯৯ রান করেছেন। আর কোনো ব‌্যাটসম‌্যান তিন অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। এখানে আবার পাকিস্তান কিছুটা এগিয়ে। তিন অঙ্কের ঘরে রান করা ব‌্যাটসম‌্যানের তালিকায় নেই অধিনায়ক বাবর আজমের নাম। নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে তিনি নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। এটি দলের জন‌্য একটি ভালো বার্তা। তার রান ৯২। তিন অঙ্কের ঘরে রান করা তিন ব‌্যাটসম‌্যান হলেন- মোহাম্মদ রিজওয়ানের (১৬০) সঙ্গে শান মাসুদ (১৩৭) ও ইফতেখার আহমেদ (১১৪)।

বোলিংয়েও পাকিস্তানের বোলাররা ব‌্যক্তিগত নৈপুণ‌্যে একটু এগিয়ে। পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও স্পিনার সাদাব খান দুই জনেই নিয়েছেন ১০টি করে উইকেট। এ ছাড়া দুই পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম ৭টি ও হারিস রউফ ৬টি উইকেট নিয়েছেন। ইংল‌্যান্ডের হয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন শুধুমাত্র স্যাম কারান। ৯ উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড। এ ছাড়া ৫টি করে উইকেট নিয়েছেন বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকস।

দুই দলেরই এটি তৃতীয় ফাইনাল। দুই দলের আগের সাফল‌্যও একই। একবার করে চ‌্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ। ২০০৭ সালে প্রথম আসরে ফাইনালে উঠে ভারতের কাছে হারের পর ২০০৯ সালে ইংল‌্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আসরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ইংল্যান্ড ২০১০ সালে উইন্ডিজে অনুষ্ঠিত আসরে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আসরে ফাইনালে উঠে হেরে গিয়েছিল উইন্ডিজের কাছে। এবার যে দল চ‌্যাম্পিয়ন হবে তারা উইন্ডিজের কাতারে চলে যাবে। উইন্ডিজ ২০১২ ও ২০১৬ সালে একমাত্র দল হিসেবে দুইবার চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

এমপি/এসজি

Header Ad

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নান। ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী ও সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত তার নিজ বাড়ি হিজল করচ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সাবেক এ মন্ত্রীকে। গ্রেপ্তারের পরে এম এ মান্নানকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এম এ মান্নানকে সুনির্দিষ্ট মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে তিনি সদর থানায় পুলিশ হেফাজতে আছেন। তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সুনামগঞ্জ শহরে গত ৪ আগস্ট বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়। গত ২ সেপ্টেম্বর হাফিজ আহমদ নামে এক ব্যক্তি দ্রুত বিচার আইনে মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় এম এ মান্নানসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। বাদীর ভাই শিক্ষার্থী জহুর আহমদ হামলার ঘটনায় আহত হয়েছিলেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। এর পর থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, উপদেষ্টা ও শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মিলিয়ে ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সভা শেষে একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সিন্ডিকেট সদস্য জানান, আজ সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত উপাচার্য লাউঞ্জে একটি জরুরি সিন্ডিকেট মিটিং হয়। সেখানে ২ ঘণ্টা আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরেকজন সিন্ডিকেট সদস্য জানান, একটি বিষয়ে আজকের অ্যাজেন্ডা ছিল, ছাত্র রাজনীতি। পরে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাইকে যুক্ত করে রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সমাজের বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিদের নিয়ে কমিটি করে এটিকে কোন ফরম্যাটে রাখা হবে—সেটির ভিত্তিতে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করা হবে।

কমিটির নেতৃত্বে সহ–উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ থাকতে পারেন বলে জানা গেছে।

উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদ, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা, উপাচার্যের আমন্ত্রণে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সিন্ডিকেট সদস্যরা।

সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল

রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংক। ছবি: সংগৃহীত

রাষ্ট্রায়ত্ত ৬ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) চুক্তিভিক্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এ সংক্রান্ত আলাদা ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।

ব্যাংকগুলো হলো- সোনালী, অগ্রণী, জনতা, রূপালী, বেসিক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল)।

অপসারণ করা ব্যাংক এমডিরা হলেন- সোনালী ব্যাংকের এমডি মো. আফজাল করিম, জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আবদুল জব্বার, অগ্রণী ব্যাংকের এমডি মো. মুরশেদুল কবীর, রূপালী ব্যাংকের এমডি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, বেসিক ব্যাংকের এমডি মো. আনিসুর রহমান এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (বিডিবিএল) এমডি মো. হাবিবুর রহমান গাজী।

ছয়টি ব্যাংকের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে এমডির সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে নতুন করে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সর্বশেষ সংবাদ

সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেপ্তার
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা
সরকারি ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল
প্রধান উপদেষ্টার সহকারী প্রেস সচিব হলেন সাংবাদিক সুচিস্মিতা তিথি ও নাইম আলী
৫০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অধ্যাদেশের খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন
ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাইবে বাংলাদেশ: আসিফ নজরুল
সালমান শাহ এক অকৃত্রিম ভালোবাসার নাম: শাবনূর
সাবেক মন্ত্রী রেজাউল-এমপি হেনরিসহ ৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মানুষটার শরীর দেখে বারবার আবরারের কথা মনে পড়েছে: সারজিস
দিল্লিতে মেয়ের সঙ্গে থাকছেন শেখ হাসিনা, ঘুরে বেড়াচ্ছেন পার্কে
ফিফা র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষেই আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল ও বাংলাদেশের অবস্থান কত?
ঢাবিতে যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ২ শিক্ষার্থী আটক
সৌদি আরবে হতে পারে আইপিএলের নিলাম
নিউইয়র্কে ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক হচ্ছে না
শেখ হাসিনার ভারতেই থাকা উচিত : শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
জাতিসংঘের ই-গভর্নমেন্ট সূচকে বাংলাদেশের উন্নতি
আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের মৃত্যু
ঢাবি ও জাবিতে পিটিয়ে হত্যা দুঃখজনক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাড়ে ২০ লাখ টাকা খরচে চালু হচ্ছে কাজিপাড়া স্টেশন