বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪ | ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেলবোর্নে শেষ হাসির অপেক্ষায় পাকিস্তান-ইংল্যান্ড

একটি আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফাইনাল ম‌্যাচ। ফাইনাল মানেই উত্তেজনায় ভরপুর। একটি মনকাড়া ম্যাচ। কিন্তু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যেন এর ব‌্যতিক্রম। বড্ড বেশি ভারত কেন্দ্রিক! আইসিসির যেকোনো আসর মানেই যেন ফাইনালের এক পাশে ভারত থাকা। তা না হলে যেন ফাইনালের ‘মসলা’ ঠিকমতো হয় না। নিরামিষ ‘ভুরিভোজ’ হয়ে পড়ে।

ক্রিকেট বিশ্বেও বিষয়টি অনেকটা ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। আইসিসিও যেন চায় ভারত অন্তত ফাইনাল খেলুক। না হলে ক্রিকেট মার্কেটিং অনেক ক্ষতির মুখে পড়ে। গত কয়েক আসরের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরেও ভারত ফাইনালে উঠতে পারেনি। কাজেই মেলবোর্নের এক লাখ ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের ফাইনাল যেন অনেকটা নিরামিষ ভুরিভোজের মতোই আগামীকাল (১৩ নভেম্বর) রবিবার অনুষ্ঠিত হবে।

ফাইনালকে কেন্দ্র করে মেলবোর্ন প্রস্তুত হচ্ছে। কিন্তু সেখানে যেন কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। বিয়ের বাড়ির সাজ মনে হচ্ছে না। ভারত থাকলে সেখানে অন‌্যরকম আবহ থাকত। কিন্তু আইসিসি ফাইনালের আগেই ম্যাচের উত্তাপ সৃষ্টি আয়োজন করেছে দুই দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে সমর্থকদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে। এসময় দুই দলের সমর্থকদের, বিশেষ করে পাকিস্তানের সমর্থকদের বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। এসবই কিন্তু ম‌্যাচের আগের আবহ। ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার পর তা হারিয়ে যায়। দুই দলই অবতীর্ণ হয় শিরোপা যুদ্ধে। তাদের কাছে ভারত ফাইনালে আছে কি নেই সেটার কোনো গুরুত্ব থাকে না।

ফাইনালও অনেক সময় হয়ে উঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভরপুর। যেমনটি হয়েছিল ২০১৯ সালে ইংল‌্যান্ড ও নিউ জিল‌্যান্ডের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে। যেটিকে বলা হয়ে থাকে আইসিসিরি সেরা ফাইনাল। ইংল‌্যান্ড ও পাকিস্তানের কাছেও এরকম একটি ফাইনাল সবাই প্রত‌্যাশা করছেন। ভারত না থাকলেও এক লাখ দর্শক ধারণ ক্ষমতার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ভরে উঠবে। তবে সেখানে বাধ সাধতে পারে ক্রিকেটের আজন্ম শত্রু বৃষ্টি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে সারাদিন। ম্যাচ মাঠে গড়াতে না পারলে সেক্ষেত্রে পরের দিন সোমবার রিজার্ভ ডেতে চলে যাবে খেলা। সোমবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। বৃষ্টির কারণে পুরো খেলা না হলেও অন্তত ১০ ওভার খেলা আয়োজনের চেষ্টা করবে আইসিসি। কাট আউট টাইম রাখা হয়েছে দুই ঘণ্টা।

দুই দলই যেভাবে সেমিতে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে তাতে করে জমজমাট একটি ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় আছে ক্রিকেট বিশ্ব। অথচ দুই দলই ছিল দুই গ্রুপের রানার্সআপ। পাকিস্তান যেভাবে নিউ জিল্যান্ডকে আর ইংল‌্যান্ড ভারতকে ‘বধ’ করেছে দুটি সেমি ফাইনাল এরকম এক পেশে হবে, তা ছিল সবার ভাবনার অতীত। পাকিস্তান ও ইংল‌্যান্ডকে এভাবে অনায়াসে ফাইনালে তোলার কারিগর ছিলেন দুই দলের উদ্বোধনী জুটি। দুই দলের সামনেই কিন্তু টার্গেট কম ছিল না। পাকিস্তানকে ১৫২ রানের টার্গেট দিয়েছিল নিউ জিল‌্যান্ড। ইংল‌্যান্ডের সামনে ভারতের ছুড়ে দেওয়া টার্গেট ছিল আরও বেশি, ১৬৮। কিন্তু পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজম এবং ইংল‌্যান্ডের অ‌্যালেক্স হেলস ও অধিনায়ক জস বাটলার ‘খুনি’ হয়ে উঠেছিলেন। দ্বিতীয় সেমিতে ইংল‌্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী হলেও প্রথম সেমিতে পাকিস্তানও ছিল সেই পথেই। কিন্তু ১০৫ রানে গিয়ে ভেঙে গিয়েছিল জুটি অধিনায়ক বাবর আজম আউট হওয়ায়। পরে তারা আরও ২ উইকেট হারিয়ে ম‌্যাচ জিতেছিল ৭ উইকেটে।

মেলবোর্নে ফাইনাল ম্যাচ মঞ্চস্থ হওয়ার আগে খুব বেশি করে সামনে চলে এসেছে ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্মৃতি। এই মেলবোর্নেই মঞ্চস্থ হয়েছিল পাকিস্তান ও ইংল‌্যান্ডের বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম কোনো ফাইনাল। যেখানে ইমরানের খানের পাকিস্তান জয়ী হয়েছিল ২২ রানে। ২০১৫ সালেও কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল‌্যান্ডের মাঝে এই মেলবোর্নেই। ৭ উইকেটে ম‌্যাচ জিতে চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ১৯৯২ সালের ফাইনাল ফিরে আসার কারণ ঘটনা প্রবাহ।

একে তো একই প্রতিপক্ষ। দ্বিতীয়ত পাকিস্তানের ফাইনালে উঠে আসার গল্প। সেবার তারা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেমিতে উঠে এসে পরে বিশ্ব জয় করেছিল। এবারও অনেকটা তাই। প্রথম দুই ম‌্যাচ হেরে যাত্রা শুরু করা পাকিস্তানের সেমিতেই আসার কথা ছিল না। কিন্তু নেদারল‌্যান্ডসের মতো পুচকে দলের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা, যারা জিতলেই চলে যেত সেমিতে, সেখানে তারা হেরে বসে। আর দুয়ার খুলে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সঙ্গে বাংলাদেশেরও। দুই দলের অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে ৫ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে পাকিস্তান আজ শিরোপা জেতার শেষ ধাপে।

পাকিস্তানের মতো ইংল‌্যান্ডের সেমিতে আসার রাস্তা এতটা কণ্টকাকীর্ণ ছিল না। শেষ ম‌্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তারা টিকিট নিশ্চিত করেছিল। তাদের বিজয়ে বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার। অনেকেই ১৯৯২ সালের ফাইনাল মঞ্চয়ানের পুনরাবৃত্তি দেখছেন। তবে এসবই গাণিতিক হিসেব। ফাইনালে এর কোনো মূল‌্যই নেই। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম আজ কিন্তু চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ার ব‌্যাপারে প্রচণ্ড রকমের আত্মবিশ্বসাী।

শনিবার (১২ নভেম্বর) তিনি ম‌্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা প্রথম দুই ম‌্যাচ হারলেও পরের ৪ ম‌্যাচ জিতে এ পর্যায়ে এসেছি। আমাদের এ ঘুরে দাঁড়ানো ফাইনালের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। ফাইনালে আমরা এই ছন্দ ধরে রাখতে চাই। ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।

অন্যদিকে ইংল‌্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার পাকিস্তানকে খুবই শক্তিশালী দল হিসেবে উল্লেখ করলেও ফাইনালে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে চান। তিনি বলেন, তারা (পাকিস্তান) চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে। এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলা খুবই চ‌্যালেঞ্জিং। আগেও আমরা তাদের বিপক্ষে বেশ কিছু ম‌্যাচ ভালো খেলেছি। আশা করি ফাইনালে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারব।

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে ইংল‌্যান্ড। পাকিস্তানের জয়ের দ্বিগুণ তাদের জয়। ২৮ বারের মোকাবিলায় ইংল‌্যান্ড জয়ী হয়েছে ১৮ বার। পাকিস্তান জিতেছে ৯ বার। একবার ম্যাচ পরিত‌্যক্ত হয়েছিল। আবার‍ দুই দলের সর্বশেষ দ্বি-পাক্ষিক সিরিজেও শেষ হাসি হেসেছিল ইংল‌্যান্ড। সাত ম‌্যাচের সিরিজে লড়াইও হয়েছিল দারুণ। শেষ দুই ম‌্যাচ জিতে ইংল‌্যান্ড সিরিজ জিতে নিয়েছিল ৪-৩ ব‌্যবধানে।

আসরে ব‌্যক্তিগতভাবে দৃষ্টি ফেরালে ব‌্যাটিংয়ে দেখা যায় সেমি ফাইনালে বিজয়ী দুই দলের উদ্বোধনী জুটিই আশার বাতি। পাঁচ ম‌্যাচের সবকটিতে ব‌্যাট করে অ্যালেক্স হেলস ২১১ ও জস বাটলার ১৯৯ রান করেছেন। আর কোনো ব‌্যাটসম‌্যান তিন অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। এখানে আবার পাকিস্তান কিছুটা এগিয়ে। তিন অঙ্কের ঘরে রান করা ব‌্যাটসম‌্যানের তালিকায় নেই অধিনায়ক বাবর আজমের নাম। নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে তিনি নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। এটি দলের জন‌্য একটি ভালো বার্তা। তার রান ৯২। তিন অঙ্কের ঘরে রান করা তিন ব‌্যাটসম‌্যান হলেন- মোহাম্মদ রিজওয়ানের (১৬০) সঙ্গে শান মাসুদ (১৩৭) ও ইফতেখার আহমেদ (১১৪)।

বোলিংয়েও পাকিস্তানের বোলাররা ব‌্যক্তিগত নৈপুণ‌্যে একটু এগিয়ে। পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও স্পিনার সাদাব খান দুই জনেই নিয়েছেন ১০টি করে উইকেট। এ ছাড়া দুই পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম ৭টি ও হারিস রউফ ৬টি উইকেট নিয়েছেন। ইংল‌্যান্ডের হয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন শুধুমাত্র স্যাম কারান। ৯ উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড। এ ছাড়া ৫টি করে উইকেট নিয়েছেন বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকস।

দুই দলেরই এটি তৃতীয় ফাইনাল। দুই দলের আগের সাফল‌্যও একই। একবার করে চ‌্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ। ২০০৭ সালে প্রথম আসরে ফাইনালে উঠে ভারতের কাছে হারের পর ২০০৯ সালে ইংল‌্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আসরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ইংল্যান্ড ২০১০ সালে উইন্ডিজে অনুষ্ঠিত আসরে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আসরে ফাইনালে উঠে হেরে গিয়েছিল উইন্ডিজের কাছে। এবার যে দল চ‌্যাম্পিয়ন হবে তারা উইন্ডিজের কাতারে চলে যাবে। উইন্ডিজ ২০১২ ও ২০১৬ সালে একমাত্র দল হিসেবে দুইবার চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

এমপি/এসজি

Header Ad

সচিবালয়ে প্রথমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু

সচিবালয়ে প্রথমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবার সচিবালয়ে অফিস করেছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ১১টায় তিনি সচিবালয়ে প্রবেশ করেন। প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের ১৩ তলায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

ড. ইউনূসের সচিবালয়ে আগমন উপলক্ষে প্রশাসনের কেন্দ্রস্থলকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শুধু সচিবালয় নয়, আশপাশের এলাকাতেও কঠোর নিরাপত্তা জারি করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। প্রশাসনের শীর্ষ ব্যক্তিদের এই বৈঠকে অংশগ্রহণ উপলক্ষে সচিবালয়ে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এদিন সচিবালয়ে শুধুমাত্র উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গাড়ি প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অন্যসব যানবাহন এবং দর্শনার্থীদের প্রবেশ একদিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছে।

প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Header Ad

রাশিয়ার বড় অগ্রগতি: ইউক্রেনকে কোণঠাসা করছে ক্রেমলিন

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেন যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ এক পর্যায়ে রাশিয়া তাদের সামরিক অভিযানে বড় সাফল্য অর্জন করছে। নতুন তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালে রাশিয়ার দখলে নেওয়া ভূখণ্ডের পরিমাণ ২০২৩ সালের চেয়ে ছয় গুণ বেশি। বিশেষত, দনবাস অঞ্চলে রসদ সরবরাহের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর দিকে অগ্রসর হচ্ছে রাশিয়ান বাহিনী।

ইন্সটিটিউট ফর দি স্টাডি অফ ওয়ার (আইএসডব্লিউ) থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর রাশিয়া ২,৭০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করেছে। ২০২৩ সালে এ পরিমাণ ছিল মাত্র ৪৬৫ বর্গকিলোমিটার। সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া আক্রমণের পর খারকিভের কুপিয়ানস্ক এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের কুরাখভসহ গুরুত্বপূর্ণ হাব পকরভস্ক এলাকাগুলোতে রাশিয়ার অবস্থান সুসংহত হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান গতিতে রাশিয়ার অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় ফ্রন্ট ধসে পড়তে পারে। লন্ডনের কিংস কলেজের প্রতিরক্ষা গবেষক ড. মারিনা মিরনের মতে, এই পরিস্থিতি ইউক্রেনের জন্য কৌশলগত বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

কুপিয়ানস্ক এবং ওসকিল নদীর পূর্ব অংশ ২০২২ সালে ইউক্রেন মুক্ত করলেও রাশিয়া পুনরায় তা দখল করে নিয়েছে। সাম্প্রতিক গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়ান বাহিনী কুপিয়ানস্ক শহরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রবেশের চেষ্টা করছে। ভিডিও প্রমাণে দেখা গেছে, রাশিয়ান সেনারা শহরের একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর চার কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থান নিয়েছে।

আইএসডব্লিউ জানিয়েছে, বর্তমানে রাশিয়া ইউক্রেনের মোট ১,১০,৬৪৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছে। তবে এই অগ্রগতির জন্য রাশিয়াকে ব্যাপক মূল্য দিতে হয়েছে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়ার অন্তত ৭৮,৩২৯ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের বিস্ময়কর অনুপ্রবেশ এখন দুর্বল হয়ে পড়ছে। রাশিয়া ওই অঞ্চলে ৫০ হাজার সেনা মোতায়েন করে দ্রুত পাল্টা আক্রমণ চালাচ্ছে। অক্টোবরের শুরু থেকে রাশিয়া ৫৯৩ বর্গকিলোমিটার ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইউক্রেন এই যুদ্ধে লোকবল সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ার স্থায়ী অগ্রগতি এবং সামরিক শক্তি ইউক্রেনকে ক্রমেই চাপের মুখে ফেলছে।

এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার ভূখণ্ডে আক্রমণ চালিয়েছে ইউক্রেন। এতে রাশিয়া কঠোর প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়ার এই অগ্রগতি ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ কৌশল এবং আন্তর্জাতিক সমর্থনের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

Header Ad

ঢাকার যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ইসলামবাগ, রহমতগঞ্জ, লালবাগ, লাকশাম বাজার এবং চান্দিরঘাটসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে বৃহস্পতিবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, পাইপলাইনের জরুরি প্রতিস্থাপন কাজের জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই এলাকাগুলোতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।

তিতাস গ্যাসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, লালবাগ ডিপিডিসি সাব-স্টেশনসংলগ্ন এলাকাসহ আশপাশের অঞ্চলের সব ধরনের গ্রাহক এই সময়ে গ্যাস সরবরাহ থেকে বঞ্চিত হবেন। পাশাপাশি আশপাশের এলাকাগুলোতেও গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এই সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের প্রতি আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেছে।

গ্রাহকদের অনুরোধ করা হচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে যেন বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিজেদের দৈনন্দিন কাজ চালিয়ে নেন। গ্যাস সংক্রান্ত এই কাজ শেষ হলে পুনরায় স্বাভাবিক সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সচিবালয়ে প্রথমবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শুরু
রাশিয়ার বড় অগ্রগতি: ইউক্রেনকে কোণঠাসা করছে ক্রেমলিন
ঢাকার যেসব এলাকায় ১২ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বৃহস্পতিবার
বিয়ের ২৯ বছর পড় সংসার ভাঙল এ আর রহমানের
জেরল্ড কুটসিয়াকে আইসিসির তিরস্কার
জাবি ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
মুক্তিযুদ্ধে জামায়াতের ভুল প্রমাণিত হলে জাতির কাছে ক্ষমা চাইবো : ডা. শফিকুর রহমান
৭৪ দেশকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের হাফেজ আনাস মাহফুজ
রাজনৈতিক দলগুলো সংস্কার না চাইলে এখনই নির্বাচন দেয়া হবে: ড. ইউনূস
মেসির রেকর্ডে আর্জেন্টিনার জয়, হতাশায় বছর শেষ ব্রাজিলের
সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসি অনুসন্ধান কমিটির সাক্ষাৎ
বছরের শেষ ম্যাচে মাঠে নামছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা: ভোরে জমজমাট লড়াই
তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত: সাত দিনের মধ্যে কমিটি গঠনের আশ্বাস
যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় ইউক্রেনের হামলা
দুই লাখ কর্মী নেবে জার্মানি: নতুন সুযোগ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে আমন্ত্রণ পেলেন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান
এবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৩ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
প্রকাশ্যে এল নুসরাতের প্রাক্তনের প্রেম ও প্রেমিকা
নামের আগে উপাধি ব্যবহার না করার অনুরোধ তারেক রহমানের
হাসান মুরাদের হ্যাটট্রিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের দাপট