শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫ | ২২ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

মেলবোর্নে শেষ হাসির অপেক্ষায় পাকিস্তান-ইংল্যান্ড

একটি আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফাইনাল ম‌্যাচ। ফাইনাল মানেই উত্তেজনায় ভরপুর। একটি মনকাড়া ম্যাচ। কিন্তু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যেন এর ব‌্যতিক্রম। বড্ড বেশি ভারত কেন্দ্রিক! আইসিসির যেকোনো আসর মানেই যেন ফাইনালের এক পাশে ভারত থাকা। তা না হলে যেন ফাইনালের ‘মসলা’ ঠিকমতো হয় না। নিরামিষ ‘ভুরিভোজ’ হয়ে পড়ে।

ক্রিকেট বিশ্বেও বিষয়টি অনেকটা ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। আইসিসিও যেন চায় ভারত অন্তত ফাইনাল খেলুক। না হলে ক্রিকেট মার্কেটিং অনেক ক্ষতির মুখে পড়ে। গত কয়েক আসরের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরেও ভারত ফাইনালে উঠতে পারেনি। কাজেই মেলবোর্নের এক লাখ ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের ফাইনাল যেন অনেকটা নিরামিষ ভুরিভোজের মতোই আগামীকাল (১৩ নভেম্বর) রবিবার অনুষ্ঠিত হবে।

ফাইনালকে কেন্দ্র করে মেলবোর্ন প্রস্তুত হচ্ছে। কিন্তু সেখানে যেন কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। বিয়ের বাড়ির সাজ মনে হচ্ছে না। ভারত থাকলে সেখানে অন‌্যরকম আবহ থাকত। কিন্তু আইসিসি ফাইনালের আগেই ম্যাচের উত্তাপ সৃষ্টি আয়োজন করেছে দুই দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে সমর্থকদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে। এসময় দুই দলের সমর্থকদের, বিশেষ করে পাকিস্তানের সমর্থকদের বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। এসবই কিন্তু ম‌্যাচের আগের আবহ। ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার পর তা হারিয়ে যায়। দুই দলই অবতীর্ণ হয় শিরোপা যুদ্ধে। তাদের কাছে ভারত ফাইনালে আছে কি নেই সেটার কোনো গুরুত্ব থাকে না।

ফাইনালও অনেক সময় হয়ে উঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভরপুর। যেমনটি হয়েছিল ২০১৯ সালে ইংল‌্যান্ড ও নিউ জিল‌্যান্ডের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে। যেটিকে বলা হয়ে থাকে আইসিসিরি সেরা ফাইনাল। ইংল‌্যান্ড ও পাকিস্তানের কাছেও এরকম একটি ফাইনাল সবাই প্রত‌্যাশা করছেন। ভারত না থাকলেও এক লাখ দর্শক ধারণ ক্ষমতার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ভরে উঠবে। তবে সেখানে বাধ সাধতে পারে ক্রিকেটের আজন্ম শত্রু বৃষ্টি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে সারাদিন। ম্যাচ মাঠে গড়াতে না পারলে সেক্ষেত্রে পরের দিন সোমবার রিজার্ভ ডেতে চলে যাবে খেলা। সোমবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। বৃষ্টির কারণে পুরো খেলা না হলেও অন্তত ১০ ওভার খেলা আয়োজনের চেষ্টা করবে আইসিসি। কাট আউট টাইম রাখা হয়েছে দুই ঘণ্টা।

দুই দলই যেভাবে সেমিতে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে তাতে করে জমজমাট একটি ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় আছে ক্রিকেট বিশ্ব। অথচ দুই দলই ছিল দুই গ্রুপের রানার্সআপ। পাকিস্তান যেভাবে নিউ জিল্যান্ডকে আর ইংল‌্যান্ড ভারতকে ‘বধ’ করেছে দুটি সেমি ফাইনাল এরকম এক পেশে হবে, তা ছিল সবার ভাবনার অতীত। পাকিস্তান ও ইংল‌্যান্ডকে এভাবে অনায়াসে ফাইনালে তোলার কারিগর ছিলেন দুই দলের উদ্বোধনী জুটি। দুই দলের সামনেই কিন্তু টার্গেট কম ছিল না। পাকিস্তানকে ১৫২ রানের টার্গেট দিয়েছিল নিউ জিল‌্যান্ড। ইংল‌্যান্ডের সামনে ভারতের ছুড়ে দেওয়া টার্গেট ছিল আরও বেশি, ১৬৮। কিন্তু পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজম এবং ইংল‌্যান্ডের অ‌্যালেক্স হেলস ও অধিনায়ক জস বাটলার ‘খুনি’ হয়ে উঠেছিলেন। দ্বিতীয় সেমিতে ইংল‌্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী হলেও প্রথম সেমিতে পাকিস্তানও ছিল সেই পথেই। কিন্তু ১০৫ রানে গিয়ে ভেঙে গিয়েছিল জুটি অধিনায়ক বাবর আজম আউট হওয়ায়। পরে তারা আরও ২ উইকেট হারিয়ে ম‌্যাচ জিতেছিল ৭ উইকেটে।

মেলবোর্নে ফাইনাল ম্যাচ মঞ্চস্থ হওয়ার আগে খুব বেশি করে সামনে চলে এসেছে ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্মৃতি। এই মেলবোর্নেই মঞ্চস্থ হয়েছিল পাকিস্তান ও ইংল‌্যান্ডের বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম কোনো ফাইনাল। যেখানে ইমরানের খানের পাকিস্তান জয়ী হয়েছিল ২২ রানে। ২০১৫ সালেও কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল‌্যান্ডের মাঝে এই মেলবোর্নেই। ৭ উইকেটে ম‌্যাচ জিতে চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ১৯৯২ সালের ফাইনাল ফিরে আসার কারণ ঘটনা প্রবাহ।

একে তো একই প্রতিপক্ষ। দ্বিতীয়ত পাকিস্তানের ফাইনালে উঠে আসার গল্প। সেবার তারা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেমিতে উঠে এসে পরে বিশ্ব জয় করেছিল। এবারও অনেকটা তাই। প্রথম দুই ম‌্যাচ হেরে যাত্রা শুরু করা পাকিস্তানের সেমিতেই আসার কথা ছিল না। কিন্তু নেদারল‌্যান্ডসের মতো পুচকে দলের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা, যারা জিতলেই চলে যেত সেমিতে, সেখানে তারা হেরে বসে। আর দুয়ার খুলে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সঙ্গে বাংলাদেশেরও। দুই দলের অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে ৫ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে পাকিস্তান আজ শিরোপা জেতার শেষ ধাপে।

পাকিস্তানের মতো ইংল‌্যান্ডের সেমিতে আসার রাস্তা এতটা কণ্টকাকীর্ণ ছিল না। শেষ ম‌্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তারা টিকিট নিশ্চিত করেছিল। তাদের বিজয়ে বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার। অনেকেই ১৯৯২ সালের ফাইনাল মঞ্চয়ানের পুনরাবৃত্তি দেখছেন। তবে এসবই গাণিতিক হিসেব। ফাইনালে এর কোনো মূল‌্যই নেই। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম আজ কিন্তু চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ার ব‌্যাপারে প্রচণ্ড রকমের আত্মবিশ্বসাী।

শনিবার (১২ নভেম্বর) তিনি ম‌্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা প্রথম দুই ম‌্যাচ হারলেও পরের ৪ ম‌্যাচ জিতে এ পর্যায়ে এসেছি। আমাদের এ ঘুরে দাঁড়ানো ফাইনালের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। ফাইনালে আমরা এই ছন্দ ধরে রাখতে চাই। ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।

অন্যদিকে ইংল‌্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার পাকিস্তানকে খুবই শক্তিশালী দল হিসেবে উল্লেখ করলেও ফাইনালে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে চান। তিনি বলেন, তারা (পাকিস্তান) চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে। এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলা খুবই চ‌্যালেঞ্জিং। আগেও আমরা তাদের বিপক্ষে বেশ কিছু ম‌্যাচ ভালো খেলেছি। আশা করি ফাইনালে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারব।

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে ইংল‌্যান্ড। পাকিস্তানের জয়ের দ্বিগুণ তাদের জয়। ২৮ বারের মোকাবিলায় ইংল‌্যান্ড জয়ী হয়েছে ১৮ বার। পাকিস্তান জিতেছে ৯ বার। একবার ম্যাচ পরিত‌্যক্ত হয়েছিল। আবার‍ দুই দলের সর্বশেষ দ্বি-পাক্ষিক সিরিজেও শেষ হাসি হেসেছিল ইংল‌্যান্ড। সাত ম‌্যাচের সিরিজে লড়াইও হয়েছিল দারুণ। শেষ দুই ম‌্যাচ জিতে ইংল‌্যান্ড সিরিজ জিতে নিয়েছিল ৪-৩ ব‌্যবধানে।

আসরে ব‌্যক্তিগতভাবে দৃষ্টি ফেরালে ব‌্যাটিংয়ে দেখা যায় সেমি ফাইনালে বিজয়ী দুই দলের উদ্বোধনী জুটিই আশার বাতি। পাঁচ ম‌্যাচের সবকটিতে ব‌্যাট করে অ্যালেক্স হেলস ২১১ ও জস বাটলার ১৯৯ রান করেছেন। আর কোনো ব‌্যাটসম‌্যান তিন অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। এখানে আবার পাকিস্তান কিছুটা এগিয়ে। তিন অঙ্কের ঘরে রান করা ব‌্যাটসম‌্যানের তালিকায় নেই অধিনায়ক বাবর আজমের নাম। নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে তিনি নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। এটি দলের জন‌্য একটি ভালো বার্তা। তার রান ৯২। তিন অঙ্কের ঘরে রান করা তিন ব‌্যাটসম‌্যান হলেন- মোহাম্মদ রিজওয়ানের (১৬০) সঙ্গে শান মাসুদ (১৩৭) ও ইফতেখার আহমেদ (১১৪)।

বোলিংয়েও পাকিস্তানের বোলাররা ব‌্যক্তিগত নৈপুণ‌্যে একটু এগিয়ে। পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও স্পিনার সাদাব খান দুই জনেই নিয়েছেন ১০টি করে উইকেট। এ ছাড়া দুই পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম ৭টি ও হারিস রউফ ৬টি উইকেট নিয়েছেন। ইংল‌্যান্ডের হয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন শুধুমাত্র স্যাম কারান। ৯ উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড। এ ছাড়া ৫টি করে উইকেট নিয়েছেন বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকস।

দুই দলেরই এটি তৃতীয় ফাইনাল। দুই দলের আগের সাফল‌্যও একই। একবার করে চ‌্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ। ২০০৭ সালে প্রথম আসরে ফাইনালে উঠে ভারতের কাছে হারের পর ২০০৯ সালে ইংল‌্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আসরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ইংল্যান্ড ২০১০ সালে উইন্ডিজে অনুষ্ঠিত আসরে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আসরে ফাইনালে উঠে হেরে গিয়েছিল উইন্ডিজের কাছে। এবার যে দল চ‌্যাম্পিয়ন হবে তারা উইন্ডিজের কাতারে চলে যাবে। উইন্ডিজ ২০১২ ও ২০১৬ সালে একমাত্র দল হিসেবে দুইবার চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

এমপি/এসজি

Header Ad
Header Ad

যমুনা সেতু মহাসড়কে র‍্যাবের টহল জোরদার (ভিডিও)

যমুনা সেতু মহাসড়কে র‍্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি শেষে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে ঘরমানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। নির্বিঘ্নে কর্মস্থলে ফেরা ও সড়কে ডাকাতিরোধে র‍্যাবের টহল টিম জোরদার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৪ এপ্রিল) রাতে মহাসড়কের এলেঙ্গা ও মির্জাপুরসহ গুরত্বপূর্ণ এলাকায় চেক পোস্ট বসিয়ে যাত্রীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি মহাড়কে চলাচলের সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছে র‍্যাব সদস্যরা।

এছাড়াও ডাকাতিরোধসহ জরুরি প্রয়োজনে যাতে র‍্যাবের যোগাযোগ করতে জরুরি মোবাইল নম্বরও সরবরাহ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে র‍্যাব- ১৪ এর ৩ নং কোম্পানী কমান্ডার মেজর কাওছার বাঁধন বলেন, ঈদের আনন্দ শেষে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে তাদের একাধিক টহল টিম দায়িত্ব পালন করছে।

Header Ad
Header Ad

শরীয়তপুরে দু’পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ, শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরে দু’পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ।ছবি: সংগৃহীত

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শরীয়তপুরের জাজিরায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে কমপক্ষে ৮ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।

শনিবার (৫ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বেলা ১২ টার দিকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিলাসপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কুদ্দুস বেপারী ও স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা জলিল মাদবরের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন বিরোধ চলছে। প্রায় চার বছর আাগে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করেন আওয়ামী লীগের এই দুই নেতা। ওই সময় পুরানোর বিরোধ আরও চাঙা হয়। গত ৫ আগস্টের পরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে দূর্বাডাঙ্গা এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সমর্থকরা আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় অন্তত শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ও হাতবোমা বিস্ফোরণের ১৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা যায়, একটি খোলা মাঠে উভয় পক্ষের লোক মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে অনেকের হাতে বালতি ও হেলমেট পরিহিত অবস্থায় দেখা যাচ্ছে। বালতি থেকে হাতবোমা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। পরে সেগুলো বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়ে ধোঁয়ার সৃষ্টি করছে।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুদ্দুস বেপারী ও জলিল মাদবরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আখন্দ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

গরমে তৃষ্ণা মেটানোর বদলে ডিহাইড্রেটেড করবে যেসব পানীয়

ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মের তাপদাহে তৃষ্ণা নিবারণ করা প্রতিটি মানুষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে গ্রীষ্মের তীব্র তাপমাত্রায়, গরমে হাইড্রেটেড থাকা অনেক বেশি জরুরি, কারণ অতিরিক্ত তাপ আমাদের শরীর থেকে পানি শূন্য করে দেয়। তৃষ্ণা মেটানোর জন্য আমরা সাধারণত কোল্ড ড্রিঙ্ক, কোল্ড কফি বা আইসড টি বেছে নি, কিন্তু আপনি কি জানেন কিছু পানীয় আমাদের আরও বেশি ডিহাইড্রেটেড করে ফেলতে পারে?

পচলুন জেনে নেওয়া যাক, গ্রীষ্মে কোন পানীয়গুলো আমাদের শরীরের জলশূন্যতা বাড়িয়ে দিতে পারে:

১. কোল্ড কফি/আইসড কফি
গরমে ঠান্ডা কফি বেশ জনপ্রিয় পানীয়। এটা যেমন আমাদের তৃষ্ণা মেটায়, তেমনই আমাদের শক্তিও বৃদ্ধি করে। তবে কফিতে থাকা ক্যাফেইন আমাদের শরীরে জলশূন্যতা সৃষ্টি করতে পারে, কারণ ক্যাফেইন একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক। তাই কোল্ড কফি বেশি পরিমাণে পান করলে তা শরীর থেকে পানি দ্রুত বের করে দিতে পারে, যার ফলে আপনি আরও বেশি ডিহাইড্রেটেড হয়ে পড়তে পারেন।

২. আইসড টি
আইসড টি গ্রীষ্মকালীন এক জনপ্রিয় পানীয়, যা ঠান্ডা থাকার পাশাপাশি স্বাদেও ভালো। কিন্তু এই পানীয়তে কফির মতোই ক্যাফেইন থাকে, যা তৃষ্ণা মেটানোর বদলে শরীর থেকে পানি বের করে দেয়। গ্রীষ্মকালে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে, আইসড টি পান করার পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া উচিত। অতিরিক্ত আইসড টি শরীরের পানির ভারসাম্য বিঘ্নিত করতে পারে।

৩. কোমল পানীয়
কোমল পানীয় বা সোডা, সাধারণত চিনি এবং ক্যাফেইনের বড় উৎস। এই পানীয় শরীরকে ডিহাইড্রেটেড করে ফেলতে পারে। সোডা শরীরে জলশূন্যতা বাড়ানোর পাশাপাশি, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে ডিহাইড্রেশন আরও তীব্র হতে পারে। তাই কোমল পানীয় পানের পর সাথে পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত। এর পাশাপাশি, কোমল পানীয় শরীরের মেটাবলিজমেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

৪. এনার্জি ড্রিংক
এনার্জি ড্রিংক সাধারণত খেলা বা ব্যায়ামের পর শরীরের ইলেক্ট্রোলাইট ভারসাম্য পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে এগুলোতে অতিরিক্ত চিনি এবং কৃত্রিম রাসায়নিক থাকে, যা শরীরে পানি শূন্যতা বাড়াতে সহায়তা করে। এগুলি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে, কিন্তু যদি সঠিকভাবে পানি পান না করা হয়, তবে তা দ্রুত ডিহাইড্রেশন সৃষ্টি করতে পারে। গ্রীষ্মের সময় এনার্জি ড্রিংক পানের পর পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি।

৫. অ্যালকোহল
অ্যালকোহল একটি প্রাকৃতিক মূত্রবর্ধক, যা প্রস্রাবের উৎপাদন বাড়িয়ে দেয় এবং শরীরের পানি শূন্যতা সৃষ্টি করে। গ্রীষ্মকালীন তাপদাহে যখন শরীরের হাইড্রেশন প্রয়োজন, তখন অ্যালকোহল পান করা অতি ক্ষতিকর হতে পারে। অ্যালকোহল শরীরের জলীয় পরিমাণ কমিয়ে দেয়, ফলে আপনার তৃষ্ণা মেটানোর বদলে তা আরও বাড়িয়ে দেয়।

অতিরিক্ত সতর্কতা
গ্রীষ্মকালে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হল পানি। তাছাড়া, খেজুরের রস, ফলের শরবত, স্যালটেড লেবুর পানি বা নারিকেল পানি পান করলে শরীরের জলশূন্যতা প্রতিরোধ করা যায়। তৃষ্ণা মেটানোর জন্য যেগুলো খাওয়া বা পান করা উচিত, সেগুলির মধ্যে বেশি ক্যাফেইন বা চিনি না থাকাই ভালো। গ্রীষ্মকালীন পানীয় সঠিকভাবে বেছে নিন, যাতে শরীর থাকে সজীব এবং সুস্থ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

যমুনা সেতু মহাসড়কে র‍্যাবের টহল জোরদার (ভিডিও)
শরীয়তপুরে দু’পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ, শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ
গরমে তৃষ্ণা মেটানোর বদলে ডিহাইড্রেটেড করবে যেসব পানীয়
পরকীয়া থেকে ফেরাতে না পেরে স্বামীকে হত্যা করলেন স্ত্রী
গাজায় প্রতিদিন ১০০ শিশু হতাহতের শিকার: জাতিসংঘ
আয়ারল্যান্ডের পাসপোর্ট বিশ্বসেরা, বাংলাদেশের অবস্থান ১৮১তম
ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছে মানুষ, নেই যানজট ও ভোগান্তি
আইএমএফের প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসছে আজ
অস্ট্রেলিয়া পাঠানোর কথা বলে ২৮ জনের ৩ কোটি আত্মসাৎ, ফেরত দেওয়ার দাবি
প্রশাসনে রেকর্ড সংখ্যক কর্মকর্তা ওএসডি, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে নতুন রেকর্ড
ড. ইউনূস-মোদির বৈঠক আশার আলো তৈরি করেছে: মির্জা ফখরুল
সাভারে আবারও চলন্ত বাসে ডাকাতি, স্বর্ণালঙ্কারসহ মালামাল লুটপাট
দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
এক দিনেই পাঁচ রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ড. ইউনূস
যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছর ৬৮২ ভারতীয়কে ফেরত পাঠিয়েছে
কাকে বিয়ে করলেন জনপ্রিয় অভিনেতা শামীম?
ঢাকার পথে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস
মানিকগঞ্জে বাঁশঝাড়ে কার্টনে মিললো তরুণীর লাশ
ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ প্রকাশ
দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ নিয়ে বড় দুঃসংবাদ