শনিবার, ১১ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

মেলবোর্নে শেষ হাসির অপেক্ষায় পাকিস্তান-ইংল্যান্ড

একটি আসরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ফাইনাল ম‌্যাচ। ফাইনাল মানেই উত্তেজনায় ভরপুর। একটি মনকাড়া ম্যাচ। কিন্তু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যেন এর ব‌্যতিক্রম। বড্ড বেশি ভারত কেন্দ্রিক! আইসিসির যেকোনো আসর মানেই যেন ফাইনালের এক পাশে ভারত থাকা। তা না হলে যেন ফাইনালের ‘মসলা’ ঠিকমতো হয় না। নিরামিষ ‘ভুরিভোজ’ হয়ে পড়ে।

ক্রিকেট বিশ্বেও বিষয়টি অনেকটা ওপেন সিক্রেট হয়ে গেছে। আইসিসিও যেন চায় ভারত অন্তত ফাইনাল খেলুক। না হলে ক্রিকেট মার্কেটিং অনেক ক্ষতির মুখে পড়ে। গত কয়েক আসরের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরেও ভারত ফাইনালে উঠতে পারেনি। কাজেই মেলবোর্নের এক লাখ ধারণ ক্ষমতার স্টেডিয়ামে পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের ফাইনাল যেন অনেকটা নিরামিষ ভুরিভোজের মতোই আগামীকাল (১৩ নভেম্বর) রবিবার অনুষ্ঠিত হবে।

ফাইনালকে কেন্দ্র করে মেলবোর্ন প্রস্তুত হচ্ছে। কিন্তু সেখানে যেন কান্নার আওয়াজ পাওয়া যায়। বিয়ের বাড়ির সাজ মনে হচ্ছে না। ভারত থাকলে সেখানে অন‌্যরকম আবহ থাকত। কিন্তু আইসিসি ফাইনালের আগেই ম্যাচের উত্তাপ সৃষ্টি আয়োজন করেছে দুই দলের খেলোয়াড়দের নিয়ে সমর্থকদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করে। এসময় দুই দলের সমর্থকদের, বিশেষ করে পাকিস্তানের সমর্থকদের বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। এসবই কিন্তু ম‌্যাচের আগের আবহ। ফাইনাল ম্যাচ শুরু হওয়ার পর তা হারিয়ে যায়। দুই দলই অবতীর্ণ হয় শিরোপা যুদ্ধে। তাদের কাছে ভারত ফাইনালে আছে কি নেই সেটার কোনো গুরুত্ব থাকে না।

ফাইনালও অনেক সময় হয়ে উঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভরপুর। যেমনটি হয়েছিল ২০১৯ সালে ইংল‌্যান্ড ও নিউ জিল‌্যান্ডের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে। যেটিকে বলা হয়ে থাকে আইসিসিরি সেরা ফাইনাল। ইংল‌্যান্ড ও পাকিস্তানের কাছেও এরকম একটি ফাইনাল সবাই প্রত‌্যাশা করছেন। ভারত না থাকলেও এক লাখ দর্শক ধারণ ক্ষমতার মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড ভরে উঠবে। তবে সেখানে বাধ সাধতে পারে ক্রিকেটের আজন্ম শত্রু বৃষ্টি।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বজ্রসহ মুষলধারে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে সারাদিন। ম্যাচ মাঠে গড়াতে না পারলে সেক্ষেত্রে পরের দিন সোমবার রিজার্ভ ডেতে চলে যাবে খেলা। সোমবারও বৃষ্টির পূর্বাভাস আছে। বৃষ্টির কারণে পুরো খেলা না হলেও অন্তত ১০ ওভার খেলা আয়োজনের চেষ্টা করবে আইসিসি। কাট আউট টাইম রাখা হয়েছে দুই ঘণ্টা।

দুই দলই যেভাবে সেমিতে প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে উঠে এসেছে তাতে করে জমজমাট একটি ফাইনাল দেখার অপেক্ষায় আছে ক্রিকেট বিশ্ব। অথচ দুই দলই ছিল দুই গ্রুপের রানার্সআপ। পাকিস্তান যেভাবে নিউ জিল্যান্ডকে আর ইংল‌্যান্ড ভারতকে ‘বধ’ করেছে দুটি সেমি ফাইনাল এরকম এক পেশে হবে, তা ছিল সবার ভাবনার অতীত। পাকিস্তান ও ইংল‌্যান্ডকে এভাবে অনায়াসে ফাইনালে তোলার কারিগর ছিলেন দুই দলের উদ্বোধনী জুটি। দুই দলের সামনেই কিন্তু টার্গেট কম ছিল না। পাকিস্তানকে ১৫২ রানের টার্গেট দিয়েছিল নিউ জিল‌্যান্ড। ইংল‌্যান্ডের সামনে ভারতের ছুড়ে দেওয়া টার্গেট ছিল আরও বেশি, ১৬৮। কিন্তু পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান ও অধিনায়ক বাবর আজম এবং ইংল‌্যান্ডের অ‌্যালেক্স হেলস ও অধিনায়ক জস বাটলার ‘খুনি’ হয়ে উঠেছিলেন। দ্বিতীয় সেমিতে ইংল‌্যান্ড ১০ উইকেটে জয়ী হলেও প্রথম সেমিতে পাকিস্তানও ছিল সেই পথেই। কিন্তু ১০৫ রানে গিয়ে ভেঙে গিয়েছিল জুটি অধিনায়ক বাবর আজম আউট হওয়ায়। পরে তারা আরও ২ উইকেট হারিয়ে ম‌্যাচ জিতেছিল ৭ উইকেটে।

মেলবোর্নে ফাইনাল ম্যাচ মঞ্চস্থ হওয়ার আগে খুব বেশি করে সামনে চলে এসেছে ১৯৯২ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের স্মৃতি। এই মেলবোর্নেই মঞ্চস্থ হয়েছিল পাকিস্তান ও ইংল‌্যান্ডের বিশ্ব ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম কোনো ফাইনাল। যেখানে ইমরানের খানের পাকিস্তান জয়ী হয়েছিল ২২ রানে। ২০১৫ সালেও কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনাল হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল‌্যান্ডের মাঝে এই মেলবোর্নেই। ৭ উইকেটে ম‌্যাচ জিতে চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ১৯৯২ সালের ফাইনাল ফিরে আসার কারণ ঘটনা প্রবাহ।

একে তো একই প্রতিপক্ষ। দ্বিতীয়ত পাকিস্তানের ফাইনালে উঠে আসার গল্প। সেবার তারা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে সেমিতে উঠে এসে পরে বিশ্ব জয় করেছিল। এবারও অনেকটা তাই। প্রথম দুই ম‌্যাচ হেরে যাত্রা শুরু করা পাকিস্তানের সেমিতেই আসার কথা ছিল না। কিন্তু নেদারল‌্যান্ডসের মতো পুচকে দলের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা, যারা জিতলেই চলে যেত সেমিতে, সেখানে তারা হেরে বসে। আর দুয়ার খুলে গিয়েছিল পাকিস্তানের। সঙ্গে বাংলাদেশেরও। দুই দলের অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে ৫ উইকেটে বাংলাদেশকে হারিয়ে পাকিস্তান আজ শিরোপা জেতার শেষ ধাপে।

পাকিস্তানের মতো ইংল‌্যান্ডের সেমিতে আসার রাস্তা এতটা কণ্টকাকীর্ণ ছিল না। শেষ ম‌্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তারা টিকিট নিশ্চিত করেছিল। তাদের বিজয়ে বিদায় ঘণ্টা বেজেছিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার। অনেকেই ১৯৯২ সালের ফাইনাল মঞ্চয়ানের পুনরাবৃত্তি দেখছেন। তবে এসবই গাণিতিক হিসেব। ফাইনালে এর কোনো মূল‌্যই নেই। পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম আজ কিন্তু চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ার ব‌্যাপারে প্রচণ্ড রকমের আত্মবিশ্বসাী।

শনিবার (১২ নভেম্বর) তিনি ম‌্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমরা প্রথম দুই ম‌্যাচ হারলেও পরের ৪ ম‌্যাচ জিতে এ পর্যায়ে এসেছি। আমাদের এ ঘুরে দাঁড়ানো ফাইনালের আগে আমাদের আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে। ফাইনালে আমরা এই ছন্দ ধরে রাখতে চাই। ভক্তদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই।

অন্যদিকে ইংল‌্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার পাকিস্তানকে খুবই শক্তিশালী দল হিসেবে উল্লেখ করলেও ফাইনালে নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে চান। তিনি বলেন, তারা (পাকিস্তান) চ‌্যাম্পিয়ন হওয়ার সামর্থ্য রাখে। এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলা খুবই চ‌্যালেঞ্জিং। আগেও আমরা তাদের বিপক্ষে বেশ কিছু ম‌্যাচ ভালো খেলেছি। আশা করি ফাইনালে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারব।

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে ইংল‌্যান্ড। পাকিস্তানের জয়ের দ্বিগুণ তাদের জয়। ২৮ বারের মোকাবিলায় ইংল‌্যান্ড জয়ী হয়েছে ১৮ বার। পাকিস্তান জিতেছে ৯ বার। একবার ম্যাচ পরিত‌্যক্ত হয়েছিল। আবার‍ দুই দলের সর্বশেষ দ্বি-পাক্ষিক সিরিজেও শেষ হাসি হেসেছিল ইংল‌্যান্ড। সাত ম‌্যাচের সিরিজে লড়াইও হয়েছিল দারুণ। শেষ দুই ম‌্যাচ জিতে ইংল‌্যান্ড সিরিজ জিতে নিয়েছিল ৪-৩ ব‌্যবধানে।

আসরে ব‌্যক্তিগতভাবে দৃষ্টি ফেরালে ব‌্যাটিংয়ে দেখা যায় সেমি ফাইনালে বিজয়ী দুই দলের উদ্বোধনী জুটিই আশার বাতি। পাঁচ ম‌্যাচের সবকটিতে ব‌্যাট করে অ্যালেক্স হেলস ২১১ ও জস বাটলার ১৯৯ রান করেছেন। আর কোনো ব‌্যাটসম‌্যান তিন অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। এখানে আবার পাকিস্তান কিছুটা এগিয়ে। তিন অঙ্কের ঘরে রান করা ব‌্যাটসম‌্যানের তালিকায় নেই অধিনায়ক বাবর আজমের নাম। নিউ জিল‌্যান্ডের বিপক্ষে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে তিনি নিজেকে ফিরে পেয়েছেন। এটি দলের জন‌্য একটি ভালো বার্তা। তার রান ৯২। তিন অঙ্কের ঘরে রান করা তিন ব‌্যাটসম‌্যান হলেন- মোহাম্মদ রিজওয়ানের (১৬০) সঙ্গে শান মাসুদ (১৩৭) ও ইফতেখার আহমেদ (১১৪)।

বোলিংয়েও পাকিস্তানের বোলাররা ব‌্যক্তিগত নৈপুণ‌্যে একটু এগিয়ে। পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও স্পিনার সাদাব খান দুই জনেই নিয়েছেন ১০টি করে উইকেট। এ ছাড়া দুই পেসার মোহাম্মদ ওয়াসিম ৭টি ও হারিস রউফ ৬টি উইকেট নিয়েছেন। ইংল‌্যান্ডের হয়ে ১০ উইকেট নিয়েছেন শুধুমাত্র স্যাম কারান। ৯ উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড। এ ছাড়া ৫টি করে উইকেট নিয়েছেন বেন স্টোকস ও ক্রিস ওকস।

দুই দলেরই এটি তৃতীয় ফাইনাল। দুই দলের আগের সাফল‌্যও একই। একবার করে চ‌্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ। ২০০৭ সালে প্রথম আসরে ফাইনালে উঠে ভারতের কাছে হারের পর ২০০৯ সালে ইংল‌্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় আসরে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। ইংল্যান্ড ২০১০ সালে উইন্ডিজে অনুষ্ঠিত আসরে প্রথমবার ফাইনালে উঠেই চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত আসরে ফাইনালে উঠে হেরে গিয়েছিল উইন্ডিজের কাছে। এবার যে দল চ‌্যাম্পিয়ন হবে তারা উইন্ডিজের কাতারে চলে যাবে। উইন্ডিজ ২০১২ ও ২০১৬ সালে একমাত্র দল হিসেবে দুইবার চ‌্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

এমপি/এসজি

Header Ad
Header Ad

তামিমের বিদায়ে যা বললেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্যরা

ছবি কোলাজ: ঢাকাপ্রকাশ

আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি উপলক্ষে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন তামিম ইকবালকে আবারো দলে চান। তার অনুরোধে নির্বাচক কমিটি তামিমকে জাতীয় দলে ফেরানোর পরিকল্পনা নেয় এবং বিসিবিও সে উদ্যোগ গ্রহণ করে। ভক্ত-সমর্থকরাও তামিমকে আবারো জাতীয় দলের জার্সিতে দেখতে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলে তার প্রত্যাবর্তন নিয়ে সংশয়ের মধ্যে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান তামিম।

এদিকে বিদায়ের ঘোষণা দেওয়ার পর ফেসবুকে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তার সাবেক সতীর্থ শাহরিয়ার নাফীস, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা।

২০০৭ বিশ্বকাপে প্রথম বারের মতো বাংলাদেশের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন তামিম। সেবার তার সঙ্গী ছিলেন শাহরিয়ার নাফীস। বিদায় বেলায় তাকে বার্তা দিলেন বর্তমানে বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের দায়িত্বে থাকা এই সাবেক ক্রিকেটার। নাফীস তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তোমার অবদান বাংলাদেশ সবসময় মনে রাখবে…তামিম ইকবাল।’ এরপর একটা ভিডিও প্রকাশ করেছেন যিনি, যা ২০০৭ বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে তার সেই ফিফটির ক্লিপ। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘তামিমের আবির্ভাব।’

জাতীয় দলে আপনার সবচেয়ে ভালো বন্ধু কে? এক সাক্ষাৎকারে সে প্রশ্নের জবাবে বছর চারেক আগে তামিম বলেছিলেন মুশফিকুর রহিমের নাম। সেই মুশফিক গতকাল তামিমের সঙ্গে ছবি দিয়ে নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘তোমার অবসর ঘোষণার সময়ে তোমাকে জানাতে চাই, তুমি যা কিছু অর্জন করেছ, তার জন্য আমি বেশ গর্বিত, তামিম। দোস্ত, তুমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের একজন অসামান্য দূত, ব্যাটার হিসেবেও বিশ্বমানের।’

২০১৮ এশিয়া কাপে মুশফিক তার ক্যারিয়ারসেরা ১৪৪ রানের ইনিংসটা খেলেছিলেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে, সে ম্যাচে শেষ পর্যায়ে তাকে সঙ্গ দিতে ভাঙা হাত নিয়েই ব্যাট করতে নেমেছিলেন তামিম। সে ইনিংসের কথাও স্মরণ করেন মুশফিক। বলেন, ‘দুবাইয়ে আমাদের জুটিটার কথা আমি সবসময় মনে রাখব। বিশেষ করে যখন তুমি ভাঙা আঙুল নিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলে তখনকার কথা। এটাই দেশের প্রতি তোমার নিবেদন, খেলাটার প্রতি তোমার অনুরাগটা প্রকাশ করে।’

এরপর মুশফিক জানান, তামিমকে খুব মিস করবেন তিনি। বললেন, ‘অবসর সুখের হোক, দোস্ত। তোমাকে মাঠের ক্রিকেটে অনেক মিস করব। তবে আমি ক্রিকেটের কাছে কৃতজ্ঞ, কারণ এখানে এসেই তোমার মতো দারুণ একটা বন্ধু পেয়েছি।’

তার বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও স্ট্যাটাসে তামিমকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তার ফেসবুক প্রোফাইলে এক পোস্টে বলা হয়, ‘তামিম, লম্বা ও দারুণ একটা ক্যারিয়ারে তুমি যা কিছু অর্জন করেছ, তার জন্য তোমাকে অভিনন্দন। তুমি অনেক কিছু অর্জন করেছ, এবং বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় অবদান রেখেছ। আমার মনে আছে আমরা যখন শেষ বারের মতো বাংলাদেশের হয়ে খেলেছি, আমরা একসঙ্গে ব্যাটও করেছি। তোমার সঙ্গে খেলা, মাঠে আর মাঠের বাইরে অনেক স্মৃতি ভাগাভাগি করাটা আনন্দের ছিল। আমি তোমাকে একটা সুখের অবসর সময় চাই, তোমার ভবিষ্যৎ সব চেষ্টার জন্য রইল শুভকামনা। তোমার কথা সবসময় স্মরণে থাকবে।’

বেশ কিছু ম্যাচে ওপেনিংয়ে তামিমের সঙ্গী ছিলেন সৌম্য সরকার। তিনিও একটি ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘নতুন শুরুর জন্য এবং সারা জীবনের অমূল্য স্মৃতিগুলোর জন্য শুভেচ্ছা। অবসর কোনো শেষ নয়, বরং এটি এক নতুন সুন্দর অধ্যায়ের সূচনা। সামনের যাত্রাটা উপভোগ করুন। হ্যাপি রিটায়ারমেন্ট, ভাই। মাঠে তোমার অভাব অনুভব করব।’

Header Ad
Header Ad

আওয়ামী লীগের পলাতক নেতার সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজ

সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। ছবি: সংগৃহীত

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপে ক্ষমতাচ্যুত হয় আওয়ামী লীগ সরকারের। এরপরই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান দলটির মন্ত্রী-এমপি ও নেতাকর্মীরা। এবার সেই আওয়ামী লীগের পলাতক নেতা ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে নৈশভোজের অনুষ্ঠানে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা গেছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারকে।

বিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে গ্লাসগোর ক্রাউন প্লাজা হোটেলে লেবার পার্টির আয়োজিত নৈশভোজে যান আনোয়ারুজ্জামান। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হলে আনোয়ারুজ্জামান পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে এরপর হত্যাসহ একাধিক মামলা হয়।

প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম দ্য ফিন্যান্সিয়াল টাইমস গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর স্টারমারের সমালোচনা করে বলেছে, অর্থ আত্মসাৎ এবং আন্দোলনকারীদের গুলি করে হত্যায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও বিতাড়িত আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে দেখা করেছেন স্টারমার।

গত জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে জয় পায় লেবার পার্টি। এতে তার পক্ষ হয়ে কাজ করে আওয়ামী লীগ। কিছু আসনে জয় পেতে ও বাংলাদেশি ব্রিটিশদের ভোট পেতে আওয়ামী লীগের সহযোগিতা তাদের কাজে লেগেছে। এমনকি লেবারকে আওয়ামীপন্থি এক ব্যক্তি নির্বাচনী অনুদানও দিয়েছিলেন।

স্টারমারের সঙ্গে দেখা করার ব্যাপারে আনোয়ারুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল ফিন্যান্সিয়াল টাইমস। তবে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ইউনিভার্সিটি কলেজ, লন্ডনের সামাজিক নৃতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশরাফ হক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেছেন, “সংখ্যালঘুদের (বাংলাদেশি-ব্রিটিশ) ভোট পেতে আওয়ামী লীগকে ব্যবহার করার বিষয়টি লেবার পার্টিকে পরিবর্তন করতে হবে। যদিও লেবার মনে করে এসব ভোট পেতে আওয়ামী লীগই তাদের জন্য সবচেয়ে ভালো বাহন। তবে তারা ভুল ধারণার মধ্যে আছে, তারা বুঝতে পারছে না আওয়ামী লীগের সমর্থন আর ব্রিটিশ-বাংলাদেশিদের মধ্যে নেই। অনেক কিছু পরিবর্তিত হয়েছে।”

Header Ad
Header Ad

সুশাসন প্রতিষ্ঠার কারণে দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে: গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর। ছবি: সংগৃহীত

‘সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেল ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন তিনি।

গভর্নর বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা হওয়ায় দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে। রিজার্ভ চুরির ৮০ শতাংশ অর্থ ইতোমধ্যে ফেরানো হয়েছে। বাকি অর্থ আদায়ে মামলা চলছে। আশা করি, মামলায় জিতবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামের একটি প্রতিষ্ঠানই ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করেছে। সব অর্থ উদ্ধারে কাজ চলছে। বিদেশিরাও সহযোগিতা করছে। পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনসহ (এফবিআই) অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা হচ্ছে। বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্ত্বেও রেমিট্যান্স প্রবাহ স্মরণকালের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে আড়াই শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় বছরে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হচ্ছে সরকারের।

প্রবাসীদের সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে তিনি এরপর বলেন, সৌদি আরবকে টপকে রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষে উঠেছে দুবাই। এটা ভালো লক্ষণ নয়। কারণ, সৌদি আরব থেকে অর্থ প্রথমে দুবাই আসছে। সেখান থেকে বাংলাদেশে আসছে। দুবাইয়ের কিছু প্রতিষ্ঠান এই সুযোগে মুদ্রা বিনিময় হার ম্যানুপুলেট করার চেষ্টা করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

তামিমের বিদায়ে যা বললেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সৌম্যরা
আওয়ামী লীগের পলাতক নেতার সঙ্গে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজ
সুশাসন প্রতিষ্ঠার কারণে দেশ থেকে টাকা পাচার বন্ধ হয়েছে: গভর্নর
আ.লীগ নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে: সিইসি
যশোরে তীব্র শীতে ফুটপাতের দোকানে ভিড়, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ
আমি মানুষ, দেবতা নই: মোদি
টিউলিপের বিকল্প খুঁজছে যুক্তরাজ্য সরকার!
বুধবার বাইডেনের বিদায়ী ভাষণ
মেঘনায় বাল্কহেড-স্পিডবোট সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের, নিখোঁজ একাধিক
ঘুষের মামলায় দোষী সাব্যস্ত, তবুও নিঃশর্ত খালাস পেলেন ট্রাম্প
১০ জেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা নিয়ে নতুন বার্তা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হাতাহাতি, আহত ৩
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন তামিম ইকবাল
ঢাকার হারের হেক্সা, প্রথম জয় পেল সিলেট
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য স্থিতিশীল, চিকিৎসায় নতুন পরিবর্তন
কিশোরগঞ্জে একটি আম বিক্রি হলো ১৬০০ টাকায়
সিঙ্গারা খেয়ে টাকা না দেয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, বিএনপি নেতাসহ আহত ১৩
নওগাঁ সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখতে সম্মত বিএসএফ
ইসলাম ‘অবমাননার’ দায়ে শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর জেল
৩০০ আসনেই প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ: শাকিল উজ্জামান