বাংলাদেশ ম্যাচে পেরেছিলাম, আজ পারিনি: রোহিত
যত বড় ম্যাচ তত বেশি চাপ। সেমিফাইনালে এটা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন রোহিত শর্মা ও তার সতীর্থরা। বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) অ্যাডিলেড ওভালে ইংল্যান্ডের কাছে নাকানিচুবানি খেয়েছেন তারা। ১০ উইকেটের লজ্জার হারে এখন বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ভারতীয়রা। শেষ চারে মুখ থুবড়ে পড়ার পর রোহিতের অসহায় স্বীকারোক্তি, ‘বাংলাদেশ ম্যাচে পেরেছিলাম আমরা, কিন্তু আজ পারিনি।’
সেমিফাইনালে ভারতের পুঁজি ছিল ১৬৮ রান। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে এটা যথেষ্ট চ্যালেঞ্জিং স্কোর। কিন্তু জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলসের অতিমানবীয় ইনিংস হতাশায় ডুবিয়েছে ভুবনেশ্বর কুমার-মোহাম্মদ শামিদের। যেখানে লড়াইয়ের ভাবনা ছিল ভারতীয় পেসার ও স্পিনারদের, সেখানে ১৬ ওভারেই ম্যাচ বের করে নিয়ে আসেন দুই ইংলিশ ওপেনার।
তাই ম্যাচ শেষে এভাবেই আক্ষেপ ঝড়ে রোহিতের কণ্ঠ থেকে, ‘আজ যা হলো তা বেশ হতাশার। লড়াই করার মতো স্কোর পেতে আমরা ভালো ব্যাটিং করেছি। বল হাতে সেরা অবস্থানে ছিলাম না, মাঠে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। সবটাই নকআউট ম্যাচের চাপ সামলানোর বিষয়। এই ছেলেরা আইপিএলের ম্যাচগুলোতে চাপের মধ্যে খেলেছে। জানে যে সব সময় শান্ত থাকতে হয়।’
অ্যাডিলেড ওভালে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ভারতীয় অধিনায়ক আরও যোগ করেন, ‘শুরুর সময় আমরা স্নায়ুচাপে ছিলাম, কিন্তু আপনাকে তাদের ওপেনারদের কৃতিত্ব দিতে হবে। তারা সত্যিই ভালো খেলেছে। প্রথম ওভারে (বল) কিছুটা সুইং করেছে, কিন্তু সঠিক স্থানে ছিল না। আমরা জানি রান স্কয়ার অব দ্য উইকেটে হয়, আমরা এ নিয়ে সতর্ক ছিলাম।’
এরপরই বাংলাদেশ ম্যাচের প্রসঙ্গ সামনে টেনে আনেন রোহিত। সুপার টুয়েলভে টাইগারদের ১৮৫ রানের টার্গেট দিয়েছিল ভারত। রান তাড়ায় বাংলাদেশকে জয়ের সুবাস পাইয়ে দিয়েছিলেন লিটন দাস। ৭ ওভারে বিনা উইকেটেই টিম টাইগার্সের খাতায় যোগ হয়েছিল ৬৬ রান। সেদিন দুভার্গ্য বয়ে আনে বৃষ্টি। আকাশের কান্নায় ১৬ ওভারে ১৫১ রানের নতুন লক্ষ্য পায় বাংলাদেশ। ভেজা মাঠে কঠিন সেই সমীকরণ মেলাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন সাকিবরা।
ওই প্রসঙ্গ টেনে রোহিত বলেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটা কঠিন ছিল। আমি ভেবেছিলাম ৯ ওভারে ৮৫ রান ডিফেন্ড করা কঠিন, কিন্তু আমরা আমাদের স্নায়ু ধরে রেখে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পেরেছিলাম। আজ তা করতে পারিনি।’
এসজি