ভারতকে উড়িয়ে ফাইনালে ইংল্যান্ড
টি-টোয়েন্টিতে ১৬৯ রানের লক্ষ্য চ্যালেঞ্জিংই। বিশেষ করে বিশ্বকাপে সেমিফাইনালের মঞ্চে। তবে দূরন্ত ব্যাটিংয়ে এমন টার্গেট যে মামুলি করে দেওয়া যায়, তা দেখাল ইংল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) আলেক্স হেলস ও জস বাটলারের খুনে ব্যাটিংয়ে ভারতকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে ফাইনালে উঠেছে ইংলিশ শিবির। আগামী ১৩ নভেম্বর মেলবোর্নে ফাইনালে ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে পাকিস্তানের।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৬৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে ভারত। জবাবে হেলস-বাটলারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ড জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ৪ ওভার হাতে রেখে কোনো উইকেট না হারিয়ে।
জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখী ছিল ইংল্যান্ডের দুই ওপেনার আলেক্স হেলস ও জস বাটলার। ৪.৫ ওভারে ৫০ রান করা ইংল্যান্ড শত রান পূর্ণ করে ১০.১ ওভারে। ২৮ বলে ফিফটি করেন হেলস। বাটলার সেখানে ফিফটি করতে নেন ৩৬ বল।
শেষ পর্যন্ত হেলস আর বাটলারকে দমানো যায়নি। দুজনের বিধ্বংসী ব্যাটে রীতিমতো হাঁসফাঁস অবস্থা ছিল ভারতীয় বোলারদের। শেষ হাসি ইংলিশদের।
৪৭ বলে চারটি চার ও সাত ছক্কায় সর্বোচ্চ ৮৬ রানে অপরাজিত থাকা হেলস জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সেখানে ৭৪ বলে নয়টি চার ও তিন ছক্কায় ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নামে ভারত। শুরুতেই ক্রিস ওকসের শিকার হন ওপেনার লোকেশ রাহুল (৫)। এরপর বিরাট কোহলি ও রোহিতের ব্যাটে বড় সংগ্রহের দিকে আগায় ভারত।
দুজনের ৪৭ রানের জুটি ভাঙেন ক্রিস জর্ডান। ২৭ রানে আউট হন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত। ঝড় তুলতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব। ফেরেন ১৪ রানে রশিদের বলে সল্টের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
ক্যারিয়ারের ৩৭তম অর্ধশতক করে ক্রিস জর্ডানের শিকার হন বিরাট। যাওয়ার আগে করে যান ৪০ বলে ৫০ রানের ইনিংস। বিশ্বকাপে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১১০০ রানের মাইলফলকে পৌঁছান কোহলি। চলমান বিশ্বকাপে চতুর্থ ফিফটি।
শেষ দিকে উঠে হার্দিক পান্ডিয়ার ঝড়। ৩৩ বলে ৬৩ রানের টর্নেডো ইনিংস খেলে শেষ বলে আউট হন তিনি। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কার মার। বল হাতে ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান। ওকস ও রশিদ নেন একটি করে উইকেট।
এসজি