বিশ্বকাপের সেরা পাঁচ মুহূর্ত
সুপার টুয়েলভ পর্ব শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এখন শেষের পথে। রয়েছে তিনটি ম্যাচ। দুটি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল। তিনটি ম্যাচই ঠাসা উত্তেজনায় ভরপুর থাকবে, তা অনুমেয়। এর আগে দেখে নেওয়া যাক সুপার টুয়েলভ পর্বের সেরা পাঁচ মুহূর্ত।
কোহলি ঝলক
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে তার অপরাজিত ৮২ রানের ইনিংস এখনো চোখে লেগে আছে সবার। হারিস রউফের ১৯তম ওভারে কোহলির দুই ছক্কা ছিল দেখার মতো। বলা চলে তার ব্যাটেই পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে ভারত।
টুর্নামেন্টে আরও দুটি হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ‘কিং কোহলি’। এর সুবাদে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এখন কোহলি। টপকে গেছেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক মাহেলা জয়বর্ধনের ১০১৬ রান।
আইরিশ উদযাপন
দুইবারের চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদায় করে ‘জায়ান্ট কিলার’ তকমা নিয়ে সুপার টুয়েলভ পর্ব নিশ্চিত করেছিল আয়ারল্যান্ড। কিন্তু এতেই ক্ষান্ত হয়নি এন্ড্রু বালবার্নির নেতৃত্বাধীন দলটি। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে তারা অঘটন ঘটায় টুর্নামেন্টের অন্যতম শিরোপা ফেভারিট ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। মেলবোর্নে বালবার্নি ৬২ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে ইংলিশদের সামনে ছুড়ে দেন ১৫৮ রানের টার্গেট।
জবাবে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি থেমে যাওয়ার আগে ১০৫ রান তুলতেই ৫ উইকেট হারায় থ্রি লায়ন্সরা। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আইনে ৫ রানে জেতে আয়ারল্যান্ড। আইরিশদের জয় উদযাপন ছিল বাঁধনহারা।
জিম্বাবুয়ের পাকিস্তান বধ
পার্থে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এক রানের জয়। সেমিতে উঠতে না পারলেও চলমান বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের এই ম্যাচটি স্মরণীয়। জিম্বাবুয়ে আগে ব্যাট করতে নেমে করে ১৩০ রান। পাকিস্তান আটকে যায় ১২৯ রানে। ম্যাচের শেষ বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি রানআউট হয়ে গেলে টুর্নামেন্টের সবচেয়ে অবিস্মরণীয় জয়টি উদযাপনে মেতে উঠে জিম্বাবুয়ে।
দর্শক অস্ট্রেলিয়া
গতবারের চ্যাম্পিয়ন। এবার তারা ঘরের মাঠে দর্শক। সুপার টুয়েলভ পর্বে নিউজিল্যান্ডের কাছে ৮৯ রানের বিশাল হার। তারপরও ৫ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে সেমির দৌড়ে ছিল অ্যারন ফিঞ্চরা। কিন্তু নেট রান রেটে অস্ট্রেলিয়াকে একরাশ দুঃখ উপহার দিয়ে সেমিতে চলে যায় ইংল্যান্ড। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের বাজে বিদায় ঘণ্টা।
প্রোটিয়া দুঃখ
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ‘মাস্ট ইউন’ ম্যাচের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা যখন অনুশীলন শুরু করেছিল, তখন অ্যাডিলেডের সকালটা ছিল আলোকোজ্জল। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দিনটি ছিল তীব্র অন্ধকার। যেখানে রোমাঞ্চকর জয়ে ডাচদের উৎসব ছিল পূর্ণ আলোকিত।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচ সেরা কলিন অ্যাকারম্যানের অপরাজিত ৪১ রানে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে নেদারল্যান্ডস। এরপর ভেল্কি দেখাতে শুরু করেন ডাচ বোলাররা। আসকিং রান রেটের চাপে পড়ে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানে গুটিয়ে যায় প্রোটিয়ারা। সুপার টুয়েলভ পর্বের শেষ দিনের এই ম্যাচটিই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় অঘটন। অথচ জিতলেই সেমিতে চলে যেত দক্ষিণ আফ্রিকা।
এসজি