বাংলাদেশের বিপক্ষেই ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বেশি হয়
আইসিসি হয়তো বুঝতে পেরেছিল বাংলাদেশ সেমিফাইনালে যেতে পারবে না। তাই তারা আ্যডিলেড থেকেই বাংলাদেশ দলের ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে রেখেছিল।
সোমবার (৭ নভেম্বর) অ্যাডিলেডের আকাশে সূর্য উঠার পরপরই বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়রা হোটেল ছাড়তে শুরু করেন।
বাংলাদেশ দলের জন্য এবারের বিশ্বকাপ ছিল সাফল্য ব্যর্থতা আর পক্ষপাত দুষ্ট ও ভুল আম্পায়ারিং শিকার হওয়ার অম্লমধুর স্বাদ। ৯ তারিখ থেকে শুরু হবে ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ের দুই সেমিফাইনাল। অনেকেই পাক ভারত স্বপ্নের ফাইনালে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।
কিন্তু এসব ছাড়িয়ে আলোচনায় ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের খেলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে যাওয়া আম্পায়ার ম্যাচ ও থার্ড আম্পায়ারদের পক্ষপাতিত্বমূলক ও ভুল আম্পায়ারিং। হোটেল ছাড়ার আগে দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন জানান খেলায় ভুল সিদ্ধান্ত হতেই পারে।
কিন্তু বাংলাদেশের বিপক্ষে যেন বেশি হয়। তিনি বলেন, ‘ম্যাচে ভুল সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু আমাদের সঙ্গে একটু বেশিই ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাকিস্তানের ম্যাচে সাকিবের আউটটা আমরা কেউই মেনে নিতে পারিনি। ভারতের সাথে ম্যাচেও এমন দু-একটি ভুল সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা আম্পায়ারের সঙ্গে আলোচনা করতে পারি। কিন্তু একবার সিদ্ধান্ত দিয়ে দিলে আর কিছুই করার থাকে না। পরে অভিযোগ করলেও তো ম্যাচটা আর ফিরে আসবে না।’
এসবের মাঝেও খালেথ মাহমুদ সুজন এবারের বিশ্বকাপে প্রতিটি ম্যাচে বাংলাদেশের ইমপ্রুভমেন্ট হয়েছে বলে জানান। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের ইমপ্রুভমেন্ট ছিল। প্রত্যাশাও বেড়ে গিয়েছিল। সেমিতে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু সেটি হয়নি। তবে আমার মনে হয় আমরা মোটেই একেবারে খারাপ করিনি।’
এত কিছুর পরও খালেদ মাহমুদ সুজন ভারতের বিপক্ষে জেতা উচিত ছিল। এটাকে তিনি ব্যর্থতা বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘যা কিছুই হোক, ভারতের বিপক্ষে আমাদের জেতা উচিত ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি।এটা আমাদেরই ব্যর্থতা।’ পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ আরও ভালো খেলতে পারত বলে তিনি জানান।
খালেদ মাহমুদ সুজন বলেন, ‘পাকিস্তানের বিপক্ষেও যে অবস্থানে ছিলাম, সেখান থেকে আরও ভালো করতে পারতাম।’
এমপি/এমএমএ/