তারপরও এটি বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ: সাকিব
২০০৭ সালের পর বিশ্বকাপের মূলপর্বে জয়ই ছিল না। চলমান বিশ্বকাপে সেই খরা কাটে। নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে শুরুটা বাংলাদেশের। পরে হারায় জিম্বাবুয়েকে। নানা সমীকরণের বাঁকে বাংলাদেশের সামনে উঁকি দিচ্ছিল সেমির স্বপ্ন। পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই হতো। কিন্তু হয়নি। বেদনা সঙ্গী করে তাই দেশে ফেরার অপেক্ষায় এখন টিম বাংলাদেশ।
তবে ফল বিবেচনায় বাংলাদেশের এটি সেরা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এমনটাই ভাবছেন দলপতি সাকিব আল হাসান। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে হারের পর সাকিব বলেন, ‘ফলাফল বিবেচনায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি আমাদের সেরা পারফরম্যান্স। আগে এর চেয়ে ভালো পারফরম্যান্স আমরা দেখাতে পারিনি। দলে নবাগতদের অন্তর্ভুক্তি এবং পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে।’
আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন সাকিব। তার বিদায়ের পর মাত্র ৫৩ রানের মধ্যেই শেষ ৭টি উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, সাকিব আউট হওয়ায় বাংলাদেশ দল মোমেন্টাম হারিয়েছে। নিজের পারফরম্যান্সেও সন্তুষ্ট নন টাইগার অধিনায়ক। আরও ভালো কিছু করা যেত বলে মনে করেন তিনি। সাকিব বলেন, ‘আমি আরও ভালো করতে পারতাম। যতদিন পর্যন্ত আমি ফিট এবং পারফর্ম করতে পারব ততদিন আমি খেলেতে চাই।’
এদিকে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। জিম্বাবুয়ের কাছে পরাজিত হওয়ার ফল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে তারা। বাবর বলেন, ‘এটি হচ্ছে দলবদ্ধ খেলা। ক্রিকেট হচ্ছে মজার খেলা। সবগুলো ম্যাচে প্রশংসনীয় খেলা উপহার দিয়েছে সতীর্থরা। ব্যাটিংয়ের জন্য আজকের পিচটি মোটেই সহজ ছিল না। হারিসের আগ্রাসী ব্যাটিং দেখে ভালো লেগেছে। এখন আমরা সেমিফাইনালের অপেক্ষায় আছি। সেমিতে খেলার জন্য দলের সবাই উন্মুখ হয়ে আছে।’
এসজি