দলের সবার কাছে মনে হয়েছে আউট ছিল না: শান্ত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ খেলতে এসেছিল কোেনা রকম আশা ছাড়াই। যদি একটি/দুইটি ম্যাচ জেতা যায়। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে অন্তত ভালো খেলা। সেখানে বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে সেরা নৈপুণ্য দেখিয়েছে।
এক আসরে প্রথমবারের মতো তুলে নিয়েছে দুই দুইটি জয়। যেখানে আগের সাত আসরে ছিল একটি মাত্র জয়। তাও ২০০৭ সালে প্রথম আসরে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে উইন্ডিজের বিপক্ষে। সেই বাংলাদেশ এবার নিজেদের শেষ ম্যাচে অবতীর্ণ হয়েছিল সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে।
এই পর্যায়ে আসতে বাংলাদেশ আবার পড়েছিল পক্ষপাতদুষ্ট ও ভুল আম্পায়ারিংয়ের কবলে। ভারতের বিপক্ষে ভেজা মাঠে খেলা আর ফেক ফিল্ডিং থেকে পেনাল্টি হিসেবে ৫ রান না পাওয়া নিয়ে বিতর্ক এখনো চলমান। সেই বিতর্কের অবসান না হতেই আবার নতুন করে বিতর্ক। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে অধিনায়ক সাকিব এলবিডব্লিউ না হও্রয়ার পরও আউট হয়েছেন। আর এই সিদ্ধান্ত এসেছে টিভি আম্পায়ারের কাছ থেকে। টিভি আম্পায়ার ছিলেন জিম্বাবুয়ের লেংটন রোজেরি।
ইনিংসের ১১তম ওভারে করছিলেন সাদাব খান। চতুর্থ বলে সৌম্য সরকার আউট হওয়ার পর সাকিব আসেন ক্রিজে। প্রথম বলই ক্রিজ ছেড়ে বের হয়ে এসেছিলেন খেলতে। বল তার ব্যাটে লাগে। পাকিস্তানের ফিল্ডারদের আবেদনে আম্পায়ার একটু সময় নিয়ে আঙুল তুলে দেন। সাকিব সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। টিভি রিপ্লেতে বল ব্যাটে লাগার বিষয়টি ফুটে উঠলেও টিভি আম্পায়ার সেটিকে মাটিতে লেগেছে ধরে নিয়ে একই সিদ্ধান্ত নেন।
সাকিব সঙ্গে সঙ্গে গিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ফিরে আসার পথে আবারও গিয়ে কথা বলেন। কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাই তাকে হতাশ বদনে ফিরে আসতে হয়। আর এখানেই বিষয়টি বিতর্কের ঝড় তুলে। কারণ, ফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত ভুল হেলে তার জন্যই টিভি আম্পায়ার। কিন্তু সেই টিভি আম্পায়ারও যদি ভুল সিদ্ধান্ত দেন, তা নিয়েতো সমালোচনার ঝড় উঠবেই। অন্য অনেকের মতো বাংলাদেশ দলের সবাইও সাকিব আউট ছিলেন না বলে জানান।
রবিবার (৬ নভেম্বর) খেলা শেষ সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার কাছেই মনে হয়েছে আউট টা হয়নি। আমরা নিশ্চিত ছিলাম আউটটা হয়নি। জানি না, সিদ্ধান্ত আম্পায়ারে কাছ থেকে আসলে এর উপরে কিছু বলার নেই আসলে যত যাই করি।’
নাজমুল হোসেন শান্ত মনে করেন এ সব বিষয় নিয়ে কথা বলে লাভ নেই। কোনো কাজ হবে না।
তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আসলে আলোচনা করে লাভ নেই, আমাদের কন্ট্রোলেও নেই এগুলো। সো এটা পুরাটাই আম্পায়ার বা ম্যাচ রেফরি যারাই আছে তাদের সিধান্ত। আমরা যতই আলোচনা করি বা যতই কথা বলি কোনো লাভই নেই। এটা নিয়ে আমরা বলব না যে ড্রেসিংরুমে খুব বেশি আমরা চিন্তিত ছিলাম বা কথা বলছি। কারণ, এটা কথা বলে আসলে লাভ নেই।
ভারতের বিপক্ষে খেলার দিন ভেজ মাঠ, লিটনের রান আউটের পর বাংলাদেশ দলের মনযোগে চিড় ধরেছিল আজ সাকিবের এই আউটের পর একইভাবে বাংলাদেশ দলের মনযোগনষ্ট হয়ে গিয়েছিল মনে করেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয় তারপরে আমাদের মনোযোগটা নড়ে গেছে। পরে আর আমরা ভাল খেলিনি। আমার মনে হয় শেষে মিডল ওভারেও।’
এমপি/এমএমএ/