বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচের টুকিটাকি
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরুর হওয়ার আগে ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তর যেখানে একটিও ফিফটি ছিল না, সেখানে তিনি এক আসরে তুলে নিয়েছেন দ্বিতীয় ফিফটি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭১ রানের ইনিংস খেলার পর আজ তিনি পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলেন ৫৪ রানের ইনিংস।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন ৪৫ বলে। ফিফটি করার পর মারমুখি হয়ে পড়েন। পরে আরও ১০ বল খেলে যোগ করেন ২১ রান। আজও তিার ফিফটি ছিল টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের তুলনায় অনেক মন্থর। আজ তিনি ফিফটি করেন আগের ম্যাচের চেয়ে ১ বল বেশি খেলে ৪৬ বলে। কিন্তু ফিফটি করার পরপরই তিনি আউট হয়ে যান। ৫৪ রানে। ৫৪ রান করেন ৪৮ বলে। ফলে রানের সঙ্গে বলের ব্যবধানটা দৃষ্টিকটুই থেকে যায়।
আফিফের এক হাজার রান
বাংলাদে্রেশর সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আফিফ হোসেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক হাজার রানের মাইল ফলক অতিক্র করেছেন। তার আগে এক হাজার রান করেছেন সাকিব (২২৪৩), মাহমুদউল্লাহ (২১২২) তামিম ইকবাল (১৭০১), মুশফিকুর রহিম (১৫০০), লিটন দাস (১৩৮৮), সৌম্য সরকার (১২১২)। আফিফ এই রান করেছেন ৬০ ম্যাচ খেলে। এই ম্যাচ তিনি খেলতে নেমেছিল ২১ রান কম নেয়। হারিস রউফের বলে বাউন্ডারি মেরে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন।
১০ ওভারে ৭০, ১০ ওভারে ৫৭
টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর বাংলাদেশ দল বেশ ভালোই শুরু করেছিল। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে রান ছিল ১ উইকেটে ৪০। ১০ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৭০। এ সময় বাংলাদেশের রান দেড়শ রানেরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা জেগে উঠে। কারণ, ক্রিজে তখন নাজমুল হোসেন শান্ত ও সৌম্য সরকার সেট হয়ে গেছেন। লম্বা ব্যাটিং লাইন। তাই বড় সংগ্রহের আশা সবাই করতে শুরু করেন।
এমন কি সিডনিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম সেমি ফাইনালে বাংলাদেশের সম্ভাবনাও দেখতে শুরু করেন অনেকেই। কিন্তু ১১ ও্রভার পর থেকে বাংলাদেশ খেই হারিয়ে ফেলে। সৌম্য সরকার আউট হয়ার পর একই ওভারের পরের বলে অধিনায়ক সাকিবও আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তেন শিকার হয়ে এলবিডব্লিউ হলে চাপ শুরু হয় বাংলাদেশ। সেই চাপ সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে। যে কারণে পরের ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে যোগ করে ৫৭ রান।
শাহীন শাহ আফ্রিদির সেরা বোলিং
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে শাহীন শাহ আফ্রিদি ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করেন। তার আগের সেরা বোলিং ছিল ১৪ রানে ৩ উইকেট। আজ তিনি ২ ওভারের প্রথম স্পেলে ১৪ রান দিয়ে লিটন দাসের মূল্যবান উইকেট পান। দ্বিতীয় সেপল করেন ১ ওভারের। এ সময় তিনি উইকেটে সেট হয়া নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে সাকিবেরও মহা মুলকান উইকেট তুলে নেন। চতুর্থ স্পেল করেন ১৭ নম্বার ওভারে। এ সময় তিনি মোসাদ্দেককে বোল্ড আউট করেন।
বাংলাদেশের ইনিংসে ৫৫ ডট বল
বাংলাদেশের ইনিংসে পাকিস্তানের বোলাররা ৫৫ বলে কোন রান দেননি। বাকি ৬৫ বলে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২৭ রান। যেখানে ২টি ছক্কা ও ১২টি চার ছিল। পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি ডট বল করেন শাহীন শাহ আফ্রিদী। তিনি ৪ ওভারে ১৩টি ডট বল দেন। এরপর ৪ ওভারে ১১টি ডট বল করেন হারিস রউফ। ৯টি করে ডট বল করেন নাসিম শাহ ও ইফতেখার আহমেদ। দুই জনেই ৩ ওভার করে বোলিং করেন। সাদাব খান ৪ ওভারে পট বল করেন ৮টি। ৫টি ডট বল করেন মোাহম্মদ ওয়াসিম। তিনি বল করেন ২ ওভার।
এমপি/এমএমএ/