বাঁচা-মরার লড়াইয়ে বাংলাদেশের পুঁজি ১২৭
বাঁচা-মরার লড়াইয়ে জ্বলে উঠতে পারল না টাইগার ব্যাটাররা। হাসল কেবল নাজমুল হোসেন শান্তর ব্যাট। বিশ্বমঞ্চে দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন টাইগার ওপেনার। কিন্তু অন্যদের ব্যর্থতায় দেড়শ স্পর্শ করেনি বাংলাদেশের সংগ্রহ।
রবিবার (৬ নভেম্বর) অ্যাডিলেড ওভালে পাকিস্তানের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৭ রানের পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।
ইনিংসের প্রথম ওভারে সুইং আর গতির ঝল তুলেছিলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। চতুথ বলে লেগে ব্যাট চালিয়েছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে সীমানা পেরিয়ে যায় অফসাইড দিয়ে! দ্বিতীয় ওভারে নাসিম শাহের একটি শট বলে দ্বিতীয় বাউন্ডারি পান শান্ত।
লিটন দাস বাউন্ডারির খাতা খুলেন শাহিন শাহকে ছক্কা হাঁকিয়ে। প্রতিশোধটা দ্রুতই নেন এই পাকিস্তানি পেসার। ওই ওভারের পঞ্চম বলে লিটনকে শান মাসুদের ক্যাচ বানান শাহিন শাহ। ৮ বল খেলে ১০ রান করতে পারেন টাইগার ওপেনার।
ব্যক্তিগত ১১ রানে বড় বাঁচা বেঁচে যান শান্ত। মোহাম্মদ ওয়াসিমের প্রথম বলে ক্যাচ তুলেছিলেন তিনি, যা ছিল কভারে থাকা শাদাব খানের বরাবর। কিন্তু সহজ ক্যাচটি লুফে নিতে পারেননি পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। পরের ৫ বলে আর কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেননি ওয়াসিম; উল্টো দেয় ১৩ রান।
পাওয়ারপ্লেতে শেষ ওভারে আরও একবার জীবন পান শান্ত। পুল শট খেলতে চেয়েছিলেন তিনি, কিন্তু ব্যাটে-বলে সংযোগ ভালো ছিল না এবং বল চলে যায় শট লেগে থাকা শাহিন শাহর দিকে। ঝাঁপিয়ে পড়েও বলের নাগাল পাননি তিনি। বাংলাদেশও প্রথম ৬ ওভার শেষ করে ১ উইকেটে ৪০ রানের সংগ্রহ নিয়ে।
১০ ওভার পর্যন্ত শান্ত আর সৌম্য’র ব্যাটেই লড়েছে বাংলাদেশ। টাইগারদের সেই পথচলায় বাধা হয়ে দাঁড়ান শাদাব। সৌম্য সরকার ও সাকিব আল হাসানকে আউট করে সহজ ক্যাচ মিসের মাশুল দেন তিনি। লেগস্পিনে টাইগারদের ৫২ (৪৭ বলে) রানের জুটি ভাঙেন শাদাব।
পাকিস্তানির লেগির স্পিনের পরাস্ত হয়ে দলীয় ৭৩ এবং ব্যক্তিগত ২০ রানে আউট হন সৌম্য। পরের বলেই সাকিবকে এলবির ফাঁদে ফেলেন শাদাব। রিভিউ নিয়েছিলেন টাইগার দলপতি। টিভি রিপ্লে দেখা যায় বল যখন ব্যাটের কাছ দিয়ে যাচ্ছিল, তখন সংযোগ হয়েছিল কিছু একটায়।
একাধিকবার সেই রিপ্লেতে দেখে আউট দেন থার্ড আম্পায়ার। সেই সিদ্ধান্তে মোটেও খুশি ছিলেন না সাকিব। মাঠ আম্পায়ারদের সঙ্গে কিছু সময় কথা বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন আশাহত হয়ে। বাংলাদেশকে পথ দেখানো শান্তকে থামান ইফতিখার আহমেদ। ৪৮ বলে ৭ চারে ৫৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন টাইগার ওপেনার।
শান্ত যখন আউট হন, তখন ১৩.২ বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৯১ রান। ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ ৪০ বলে মাত্র ৩৬ রানই তুলতে পারে টাইগাররা! সেটাও সম্ভব হয়েছে আফিফ হোসেনের অপরাজিত ২৪ রানের ইনিংসের বদৌলতে। পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট শিকার করেন শাহিন শাহ।
আরএ/